ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

বাঞ্ছারামপুরে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে স্কুল ভাঙচুরের অভিযোগ

রাকিবুল হাসান রিয়ান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৩৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের রূপসদী ইউনুস আবুল হাসেম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় স্কুলের ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নিয়মিত ক্লাস করতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলে প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান একদল মিস্ত্রী দ্বারা ক্লাস রুমের টিনের বেড়া খুলতে অনুমতি দিলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক গালমন্দ করে স্কুল থেকে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে স্কুলের ফ্যান এবং বেঞ্চ নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে আমরা স্কুলে এসে ক্লাসে যাই। হঠাৎ আমাদের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান স্যার বলে তোমরা আজকে চলে যাও ক্লাস হবে না। আমাদেরকে ধমক দিয়ে উনি তাড়িয়ে দেন। তারপর দেখি মিস্ত্রি এনে স্কুলের বেড়া খুলে ক্লাস রুম থেকে বেঞ্চ বের করতেছে । পরে অনেক লোকজন চিল্লাপাল্লা করে হাতাহাতি করছে,পরে আমরা ভয়ে আতংকিত হয়ে দৌড়ে বাড়ি চলে আসি।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠিতা সভাপতি এ রহিছ খান বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত স্কুলের হিসাব-নিকাশ নিয়ে লুকোচুরি করছে, হিসাব চাইলে সে হিসাব আমাদের কোনো কথা তোয়াক্কা করে না। স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করে স্কুলের সুনাম নষ্ট করছে। আজকে শুনেছি প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান ও তার ভাই এরশাদুর রহমানের লোকজন এনে স্কুলের বেড়া খুলে নিয়ে গেছে। এই ঘটনাটা আমি তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। বর্তমানে আমি ঢাকা আছি ঢাকা থেকে এসে যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, বিদ্যালয় হচ্ছে আমাদের গ্রামের প্রতিষ্ঠান। তাদের ভাইদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব থাকলে পারিবারিকভাবে মিটিয়ে নিবে। স্কুল ভাঙচুর করার কোন অধিকার তাদের নেই শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক,সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, আমি ম্যানেজিং কমিটির অনুমতিক্রমে সকালে স্কুলের বেড়া খুলতে যাই। পরে রছিস খানের লোক এসে বাধা দিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নূরে আলম বলেন, স্কুলের জায়গা নিয়ে তাদের চাচাতো জেঠাতো ভাইদের মধ্যে দন্দ রয়েছে শুনেছি,স্কুলের একটি বেড়া খুলে অন্য জায়গায় স্কুল স্থাপনের কথা শুনেনি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বাঞ্ছারামপুরে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে স্কুল ভাঙচুরের অভিযোগ

Update Time : ০৪:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের রূপসদী ইউনুস আবুল হাসেম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় স্কুলের ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নিয়মিত ক্লাস করতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলে প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান একদল মিস্ত্রী দ্বারা ক্লাস রুমের টিনের বেড়া খুলতে অনুমতি দিলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক গালমন্দ করে স্কুল থেকে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে স্কুলের ফ্যান এবং বেঞ্চ নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে আমরা স্কুলে এসে ক্লাসে যাই। হঠাৎ আমাদের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান স্যার বলে তোমরা আজকে চলে যাও ক্লাস হবে না। আমাদেরকে ধমক দিয়ে উনি তাড়িয়ে দেন। তারপর দেখি মিস্ত্রি এনে স্কুলের বেড়া খুলে ক্লাস রুম থেকে বেঞ্চ বের করতেছে । পরে অনেক লোকজন চিল্লাপাল্লা করে হাতাহাতি করছে,পরে আমরা ভয়ে আতংকিত হয়ে দৌড়ে বাড়ি চলে আসি।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠিতা সভাপতি এ রহিছ খান বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত স্কুলের হিসাব-নিকাশ নিয়ে লুকোচুরি করছে, হিসাব চাইলে সে হিসাব আমাদের কোনো কথা তোয়াক্কা করে না। স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করে স্কুলের সুনাম নষ্ট করছে। আজকে শুনেছি প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান ও তার ভাই এরশাদুর রহমানের লোকজন এনে স্কুলের বেড়া খুলে নিয়ে গেছে। এই ঘটনাটা আমি তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। বর্তমানে আমি ঢাকা আছি ঢাকা থেকে এসে যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, বিদ্যালয় হচ্ছে আমাদের গ্রামের প্রতিষ্ঠান। তাদের ভাইদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব থাকলে পারিবারিকভাবে মিটিয়ে নিবে। স্কুল ভাঙচুর করার কোন অধিকার তাদের নেই শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক,সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, আমি ম্যানেজিং কমিটির অনুমতিক্রমে সকালে স্কুলের বেড়া খুলতে যাই। পরে রছিস খানের লোক এসে বাধা দিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নূরে আলম বলেন, স্কুলের জায়গা নিয়ে তাদের চাচাতো জেঠাতো ভাইদের মধ্যে দন্দ রয়েছে শুনেছি,স্কুলের একটি বেড়া খুলে অন্য জায়গায় স্কুল স্থাপনের কথা শুনেনি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।