ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:
  • Update Time : ০৫:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৭৫ Time View

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের সকল কার্যক্রম। যে কোন সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণাধীন উপজেলার জমিদার জিতেন্দ্র নাথ দাসের দ্বিতল বাস ভবনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কার্যক্রম।

এ শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিলন কুমার লস্কর সহ প্রিন্সিপল অফিসার ৩ জন, সেকেন্ড অফিসার ১ জন, ফিল্ড অফিসার ৩ জন, অফিসার ক্যাশিয়ার ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে ৩ জন।

২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি অবহিত এবং স্থান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখোনো এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

ইংরেজ শাসন আমলে জমিদারি প্রথা পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে ইট সুরকি পলেস্তরা খসে পড়ছে এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ৮-১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে।

বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যায় দিনের বেলায় বিদুৎতের আলো জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এদিকে নাজুক ভবনটির সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। আতংক নিয়ে ব্যাংকের কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক তানিয়া আক্তার, অহিদুজ্জামান খান, আব্দুল হামিদ শেখ, সোহেল ফরাজী বলেন, ৬ বছর ধরে এ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়েছি।

লোন পরিশোধ করতে ব্যাংকে আসতে হয়। ব্যাংকে ঢুকে সার্বক্ষনিক ভয়ে থাকি। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ শাখায় ব্যবস্থাপক র মিলন কুমার লস্কর বলেন তিনি নিজেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয় ।

Please Share This Post in Your Social Media

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম

Update Time : ০৫:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের সকল কার্যক্রম। যে কোন সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণাধীন উপজেলার জমিদার জিতেন্দ্র নাথ দাসের দ্বিতল বাস ভবনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কার্যক্রম।

এ শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিলন কুমার লস্কর সহ প্রিন্সিপল অফিসার ৩ জন, সেকেন্ড অফিসার ১ জন, ফিল্ড অফিসার ৩ জন, অফিসার ক্যাশিয়ার ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে ৩ জন।

২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি অবহিত এবং স্থান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখোনো এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

ইংরেজ শাসন আমলে জমিদারি প্রথা পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে ইট সুরকি পলেস্তরা খসে পড়ছে এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ৮-১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে।

বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যায় দিনের বেলায় বিদুৎতের আলো জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এদিকে নাজুক ভবনটির সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। আতংক নিয়ে ব্যাংকের কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক তানিয়া আক্তার, অহিদুজ্জামান খান, আব্দুল হামিদ শেখ, সোহেল ফরাজী বলেন, ৬ বছর ধরে এ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়েছি।

লোন পরিশোধ করতে ব্যাংকে আসতে হয়। ব্যাংকে ঢুকে সার্বক্ষনিক ভয়ে থাকি। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ শাখায় ব্যবস্থাপক র মিলন কুমার লস্কর বলেন তিনি নিজেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয় ।