ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাকৃবি টিএসসি ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৫১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৯ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে খাবারের রেস্তোঁরাগুলোর থেকে তুলনামূলক কম দাম ও মান ভালো হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের জায়গা হলো ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যান্টিন। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সময়ই ওই ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারে সংকট দেখা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে এসেও খাবার পাওয়া যায় না। আবার সকাল ও রাতের খাবারও পাওয়া যায় না। যার ফলে বাইরের রেস্তোরাঁ থেকে বেশি দামে খাবার কিনে থেতে হয় শিক্ষার্থীদের। আবার ক্যান্টিনে নেই পর্যাপ্ত আসন সংখ্যা। তাই বড় রকমের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, দুপুর ১২টা থেকে খাবার পাওয়া যায় ক্যান্টিনে। তবে দুপুর ১টা বাজলে প্রায়ই শেষ হয়ে যায় ভাত। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। মাঝে মধ্যেই ক্লাসের সময় হয়ে যাওয়াতে শিক্ষার্থীদের বাইরের খাবার হোটেল থেকে বেশি দামে খেতে হয় দুপুরের খাবার। যেখানে টিএসসিতে ১০ টাকায় দেড় প্লেট ভাত পাওয়া যায় সেটা বাইরে খেতে হলে ১৫ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া মাছ ও মাংসের দাম বাইরের হোটেলগুলোতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখতে দেখা যায়। বাইরের তুলনায় দাম কম হওয়াতে শিক্ষার্থীরা খেতে আসে টিএসটিতে।

টিএসটিতে দুপুরে খেতে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাস শেষে দুপুরের ১টার দিকে টিএসসির ক্যান্টিনে খেতে আসলে প্রায়ই ভাত শেষ হয়ে গেছে বলেন ক্যান্টিনের ম্যানেজার। এতো ভিড় থাকা সত্ত্বেও তারা আগে থেকে ভাত রান্না করে রাখে না। এছাড়া শুধু দুপুরের রান্না করা হয়। সকাল ও রাতের খাবার বাইরে থেকে বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের। খাবারের মানও তেমন ভালো না। কৃষি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে খাবারের সময় বসার আসন পাওয়া যায় না। অনেকে আড্ডা দেয় আবার অনেকে খাবার টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। এমনেই সময় স্বল্পতা অন্যদিকে ক্লাসও ধরতে হবে। অনেক সময় ক্লাসে যেতেও দেরি হয়ে যায়।

টিএসসি ক্যান্টিনের ম্যানেজার সোহেল এ বিষয়ে জানান, দ্বিতীয় বার ভাত রান্না হতে একটু সময় লাগে। আর অনেক সময় শিক্ষার্থী কম আসলে অতিরিক্ত রান্না ভাত নষ্ট হয়। এ ছাড়া দুপুরে খাওয়ার সময় অনেকে টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। অনেক শিক্ষার্থী খেতে এসে আসন পায় না। আমরা শিক্ষার্থীদেরকে অনুরোধ করি তারা যেন খাবার ৩ ঘণ্টা সময় পড়াশোনা না করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের চাওয়া এবং সমস্যার কথা লিখিত আকারে জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। শিক্ষার্থীরা চাইলে সেখানে সার্বক্ষণিক খাবার সরবারহ করা হবে, এতে সমস্যা হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবি টিএসসি ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

Update Time : ০৫:৫১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে খাবারের রেস্তোঁরাগুলোর থেকে তুলনামূলক কম দাম ও মান ভালো হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের জায়গা হলো ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যান্টিন। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সময়ই ওই ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারে সংকট দেখা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে এসেও খাবার পাওয়া যায় না। আবার সকাল ও রাতের খাবারও পাওয়া যায় না। যার ফলে বাইরের রেস্তোরাঁ থেকে বেশি দামে খাবার কিনে থেতে হয় শিক্ষার্থীদের। আবার ক্যান্টিনে নেই পর্যাপ্ত আসন সংখ্যা। তাই বড় রকমের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, দুপুর ১২টা থেকে খাবার পাওয়া যায় ক্যান্টিনে। তবে দুপুর ১টা বাজলে প্রায়ই শেষ হয়ে যায় ভাত। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। মাঝে মধ্যেই ক্লাসের সময় হয়ে যাওয়াতে শিক্ষার্থীদের বাইরের খাবার হোটেল থেকে বেশি দামে খেতে হয় দুপুরের খাবার। যেখানে টিএসসিতে ১০ টাকায় দেড় প্লেট ভাত পাওয়া যায় সেটা বাইরে খেতে হলে ১৫ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া মাছ ও মাংসের দাম বাইরের হোটেলগুলোতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখতে দেখা যায়। বাইরের তুলনায় দাম কম হওয়াতে শিক্ষার্থীরা খেতে আসে টিএসটিতে।

টিএসটিতে দুপুরে খেতে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাস শেষে দুপুরের ১টার দিকে টিএসসির ক্যান্টিনে খেতে আসলে প্রায়ই ভাত শেষ হয়ে গেছে বলেন ক্যান্টিনের ম্যানেজার। এতো ভিড় থাকা সত্ত্বেও তারা আগে থেকে ভাত রান্না করে রাখে না। এছাড়া শুধু দুপুরের রান্না করা হয়। সকাল ও রাতের খাবার বাইরে থেকে বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের। খাবারের মানও তেমন ভালো না। কৃষি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে খাবারের সময় বসার আসন পাওয়া যায় না। অনেকে আড্ডা দেয় আবার অনেকে খাবার টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। এমনেই সময় স্বল্পতা অন্যদিকে ক্লাসও ধরতে হবে। অনেক সময় ক্লাসে যেতেও দেরি হয়ে যায়।

টিএসসি ক্যান্টিনের ম্যানেজার সোহেল এ বিষয়ে জানান, দ্বিতীয় বার ভাত রান্না হতে একটু সময় লাগে। আর অনেক সময় শিক্ষার্থী কম আসলে অতিরিক্ত রান্না ভাত নষ্ট হয়। এ ছাড়া দুপুরে খাওয়ার সময় অনেকে টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। অনেক শিক্ষার্থী খেতে এসে আসন পায় না। আমরা শিক্ষার্থীদেরকে অনুরোধ করি তারা যেন খাবার ৩ ঘণ্টা সময় পড়াশোনা না করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের চাওয়া এবং সমস্যার কথা লিখিত আকারে জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। শিক্ষার্থীরা চাইলে সেখানে সার্বক্ষণিক খাবার সরবারহ করা হবে, এতে সমস্যা হবে না।