ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে সাবের হত্যা মামলার ৬ আসামী গ্রেফতার ইবিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক

বাংলাদেশ ক্রসফায়ারের মুখে: গয়েশ্বর

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫০ Time View

‘বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে’ বলে দাবি করেছে বিএনপি। প্রতিবেশী দুটি দেশের সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনার উল্লেখ করে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ দাবি করেন।

জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে মিয়ানমার সীমান্তে সরকার উত্তেজনা সৃষ্টি কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এটি নিয়ে শুধু আমাদের ভাবনা নয়, আপনাদেরও ভাবতে হবে, কি ঘটতে যাচ্ছে? এর অন্তরালে কী আছে? যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তার সাথে এই সরকারের (বাংলাদেশ) কেনো গোপন সম্পর্ক আছে কি না। অথবা এমনও হতে পারে যে, আজকে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই ব্যর্থ সরকার নানাভাবে জড়িত। জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র ফেরানোর জন্য সরকার ইতোপূর্বেও কিন্তু একের পর এক ইস্যু তৈরি করেছে। এই ইস্যু কি এককভাবে করছে না যৌথভাবে করেছে, যেই যৌথভাবে তারা সরকারে আসছে। যদি সম্পর্ক না থাকে নিশ্চয়ই সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জনগণের কাছে দৃশ্যমান করবে।

বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই প্রশ্ন রাখেন।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর নির্বাচন বিষয়ে দলের অবস্থান আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। যদিও এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছিলো না মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থতি ও বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনার বিষয়টি।

লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরম্ভ করে প্রতিনিয়ত গুলিবর্ষণের মাধ্যমে আমাদের বিজিবি সদস্য ও আমাদের জনগণকে হত্যা করছে। আবার পূর্ব দিক থেকে মিয়ানমারের গুলি আমাদের দেশের এই পর্যন্ত দুইজন নিহত, কয়েকজন আহত এবং ঝাঁকে ঝাঁকে সেখানে রাখাইন থেকে সেনা আশ্রয় নিচ্ছে। বলতে গেলে বাংলাদেশ আজকে ক্রসফায়ারের মুখে।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের মতো দেশ বাংলাদেশে গুলি ছোঁড়ে এই শক্তি-সাহস ইতোপূর্বে কোনোদিন পায়নি, আজকে কেনো পায়? এটা নিয়ে আপনারা সবাই ভাবেন। আমাদের দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে।

মিয়ানমার পরিস্থিতির সংকট উত্তরণে কোনো পরামর্শ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরামর্শ কাকে দেবো? আমি কি সরকারে আছি, সরকার কি আমাদের পরামর্শ চায়। মানুষকে এই ব্যাপারে প্রতিবাদী হতে হবে। যদি ষড়যন্ত্র থাকে অথবা ষড়যন্ত্র যদি নাও থাকে আমরা যেভাবে চারদিক থেকে অ্যাটাক হচ্ছি এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

গয়েশ্বর বলেন, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি জনগণকে দিয়েছি। আমরা চলমান সেই আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের গতি একেক সময়ে একেক দিকে রূপ নেয়। আপনারা অপেক্ষা করেন। আমরা আন্দোলনে আছি। নিশ্চয় আপনারা আমাদেরকে আন্দোলনে দেখতে পাবেন। আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা কি?

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, বিজন কান্তি সরকার, তাহসিনা রুশদীর লুনা, মইনুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুকুর রহমান মাশুক ও সেলিম রেজা হাবিব, রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশ ক্রসফায়ারের মুখে: গয়েশ্বর

Update Time : ১১:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

‘বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে’ বলে দাবি করেছে বিএনপি। প্রতিবেশী দুটি দেশের সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনার উল্লেখ করে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ দাবি করেন।

জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে মিয়ানমার সীমান্তে সরকার উত্তেজনা সৃষ্টি কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এটি নিয়ে শুধু আমাদের ভাবনা নয়, আপনাদেরও ভাবতে হবে, কি ঘটতে যাচ্ছে? এর অন্তরালে কী আছে? যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তার সাথে এই সরকারের (বাংলাদেশ) কেনো গোপন সম্পর্ক আছে কি না। অথবা এমনও হতে পারে যে, আজকে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই ব্যর্থ সরকার নানাভাবে জড়িত। জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র ফেরানোর জন্য সরকার ইতোপূর্বেও কিন্তু একের পর এক ইস্যু তৈরি করেছে। এই ইস্যু কি এককভাবে করছে না যৌথভাবে করেছে, যেই যৌথভাবে তারা সরকারে আসছে। যদি সম্পর্ক না থাকে নিশ্চয়ই সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জনগণের কাছে দৃশ্যমান করবে।

বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই প্রশ্ন রাখেন।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর নির্বাচন বিষয়ে দলের অবস্থান আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। যদিও এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছিলো না মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থতি ও বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনার বিষয়টি।

লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরম্ভ করে প্রতিনিয়ত গুলিবর্ষণের মাধ্যমে আমাদের বিজিবি সদস্য ও আমাদের জনগণকে হত্যা করছে। আবার পূর্ব দিক থেকে মিয়ানমারের গুলি আমাদের দেশের এই পর্যন্ত দুইজন নিহত, কয়েকজন আহত এবং ঝাঁকে ঝাঁকে সেখানে রাখাইন থেকে সেনা আশ্রয় নিচ্ছে। বলতে গেলে বাংলাদেশ আজকে ক্রসফায়ারের মুখে।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের মতো দেশ বাংলাদেশে গুলি ছোঁড়ে এই শক্তি-সাহস ইতোপূর্বে কোনোদিন পায়নি, আজকে কেনো পায়? এটা নিয়ে আপনারা সবাই ভাবেন। আমাদের দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে।

মিয়ানমার পরিস্থিতির সংকট উত্তরণে কোনো পরামর্শ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরামর্শ কাকে দেবো? আমি কি সরকারে আছি, সরকার কি আমাদের পরামর্শ চায়। মানুষকে এই ব্যাপারে প্রতিবাদী হতে হবে। যদি ষড়যন্ত্র থাকে অথবা ষড়যন্ত্র যদি নাও থাকে আমরা যেভাবে চারদিক থেকে অ্যাটাক হচ্ছি এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

গয়েশ্বর বলেন, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি জনগণকে দিয়েছি। আমরা চলমান সেই আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের গতি একেক সময়ে একেক দিকে রূপ নেয়। আপনারা অপেক্ষা করেন। আমরা আন্দোলনে আছি। নিশ্চয় আপনারা আমাদেরকে আন্দোলনে দেখতে পাবেন। আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা কি?

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, বিজন কান্তি সরকার, তাহসিনা রুশদীর লুনা, মইনুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুকুর রহমান মাশুক ও সেলিম রেজা হাবিব, রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।