ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

ফুটবলকে বিদায় জানালেন উরুগুয়ের গদিন

নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:০০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৬ Time View

হাতছানি ছিল অন্তত আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু মাঠের চেয়ে এখন বেশি টানে বাড়ি, ফুটবল নিয়ে কারিকুরির চেয়ে বেশি আবেদন সদ্যোজাত কন্যার। সব মিলিয়ে দিয়েগো গদিন সাড়া দিলেন হৃদয়ের ডাকেই।

দুই দশকের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন ‘উরুগুয়ের যোদ্ধা’ নামে পরিচিত ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। লম্বা সময় ইউরোপিয়ান ফুটবলে নানা ক্লাবের রক্ষণ ভরসা হয়ে থাকার পর গত বছর লাতিন আমেরিকায় ফিরে যান গদিন। বিদায় নিলেন সেখান থেকেই।

পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেললেন রোববার আর্জেন্টাইন ক্লাব ভেলে সারফিলের হয়ে। শেষটা অবশ্য ভালো হয়নি তার। উরাকানের কাছে ১-০তে হেরে যায় তার দল। তবে ক্যারিয়ার তার দারুণ সমৃদ্ধ। পেশাদার ফুটবলে সব মিলিয়ে খেলেছেন তিনি ৬২৭টি ম্যাচ।

নির্ভরযোগ্য সেন্টার ব্যাক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ফুটবল বিশ্বজুড়ে। পরিচিতি পেয়েছেন ‘যোদ্ধা’ হিসেবে। গোল করেছেন ৩৮টি। ট্রফি জিতেছেন ১০টি। এর মধ্যে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে দুটি ইউরোপা লিগ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, একটি করে লা লিগা ও কোপা দেল রের শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রানার্স আপ হয়েছেন দুই বার।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্ষসেরা একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি তিন দফায়, ২০১৫-১৬ মৌসুমে জিতেছেন লা লিগার বর্ষসেরা ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি। ২০০৩ সালে নিজ দেশের ক্লাব সেরোর হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু গদিনের। তিন বছর পর যোগ দেন উরুগুয়ের সফলতম ক্লাব নাসিওনালে। ২০০৭ সালে ভিয়ারিয়ালের হয়ে পা রাখেন ইউরোপিয়ান ফুটবলে।

এরপর ২০১০ সালে যোগ দেন আতলেতিকো মাদ্রিদে, যেখানে কেটেছে তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়। স্পেন ও ইউরোপের ফুটবলে আতলেতিকোর পুনর্জাগরণে বড় ভ‚মিকা রাখেন গদিন। দলকে নেতৃত্ব দেন ৯ মৌসুমে। পরে ইতালিতে ইন্টার মিলান ও কাইয়ারিতে কাটিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে যোগ দেন ব্রাজিলের ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরোয়। মাস ছয়েক পর নাম লেখান আর্জেন্টিনার ভেলে সারফিলে। পরের মৌসুমে তাকে দলে নিতে আগ্রহী ছিল তার পুরোনো ক্লাব নাসিওনাল।

কিন্তু গত মাসে মেয়ের জন্মের পর তার ভাবনা বদলে গেছে। এ ছাড়া ভালো অবস্থায় মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ভাবনা তার সবসময়ই ছিল বলে জানালেন আর্জেন্টাইন টিভিকে। “আমি সবসময়ই চেয়েছি সিদ্ধান্তটি এভাবে নিতে। ফিট থাকার পরও এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে বিস্ময়কর মনে হতে পারে। তবে আমি ভাবছিলাম বেশ কিছুদিন ধরেই।”

“এখন আমার ভাবনায় বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে আসলে অন্য দুটি ব্যাপার। আমার পরিবার এখন উরুগুয়েতে এবং স¤প্রতি আমি বাবা হয়েছি। এখন বিশ্রাম নিতে চাই এবং জীবনের অন্য দিকগুলো উপভোগ করতে চাই। ভালো ভাবমূর্তি নিয়েই মাঠ থেকে বিদায় নিতে চেয়েছি সবসময়।”

উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়েও গদিন কিংবদন্তি ও সর্বকালের সেরাদের একজন। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লম্বা সময়। ১৬১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন দেশের জার্সি গায়ে।

উরুগুয়ের হয়ে ১৪০ ম্যাচও খেলতে পারেননি আর কেউ। গত বছর পর্যন্তও তিনি ছিলেন জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ। ২০১০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলা ও ২০১১ কোপা আমেরিকা জয়ী উরুগুয়ের সোনালি প্রজন্মের উজ্জ্বল প্রতিনিধি তিনি। ২০১৮ বিশ্বকাপেও দারুণ খেলে জায়গা পেয়েছিলেন ফিফা ড্রিম টিমে। তার স্বপ্নময় সেই পথচলা থামল এবার।

Please Share This Post in Your Social Media

ফুটবলকে বিদায় জানালেন উরুগুয়ের গদিন

Update Time : ০৭:০০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

হাতছানি ছিল অন্তত আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু মাঠের চেয়ে এখন বেশি টানে বাড়ি, ফুটবল নিয়ে কারিকুরির চেয়ে বেশি আবেদন সদ্যোজাত কন্যার। সব মিলিয়ে দিয়েগো গদিন সাড়া দিলেন হৃদয়ের ডাকেই।

দুই দশকের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন ‘উরুগুয়ের যোদ্ধা’ নামে পরিচিত ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। লম্বা সময় ইউরোপিয়ান ফুটবলে নানা ক্লাবের রক্ষণ ভরসা হয়ে থাকার পর গত বছর লাতিন আমেরিকায় ফিরে যান গদিন। বিদায় নিলেন সেখান থেকেই।

পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেললেন রোববার আর্জেন্টাইন ক্লাব ভেলে সারফিলের হয়ে। শেষটা অবশ্য ভালো হয়নি তার। উরাকানের কাছে ১-০তে হেরে যায় তার দল। তবে ক্যারিয়ার তার দারুণ সমৃদ্ধ। পেশাদার ফুটবলে সব মিলিয়ে খেলেছেন তিনি ৬২৭টি ম্যাচ।

নির্ভরযোগ্য সেন্টার ব্যাক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ফুটবল বিশ্বজুড়ে। পরিচিতি পেয়েছেন ‘যোদ্ধা’ হিসেবে। গোল করেছেন ৩৮টি। ট্রফি জিতেছেন ১০টি। এর মধ্যে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে দুটি ইউরোপা লিগ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, একটি করে লা লিগা ও কোপা দেল রের শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রানার্স আপ হয়েছেন দুই বার।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্ষসেরা একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি তিন দফায়, ২০১৫-১৬ মৌসুমে জিতেছেন লা লিগার বর্ষসেরা ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি। ২০০৩ সালে নিজ দেশের ক্লাব সেরোর হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু গদিনের। তিন বছর পর যোগ দেন উরুগুয়ের সফলতম ক্লাব নাসিওনালে। ২০০৭ সালে ভিয়ারিয়ালের হয়ে পা রাখেন ইউরোপিয়ান ফুটবলে।

এরপর ২০১০ সালে যোগ দেন আতলেতিকো মাদ্রিদে, যেখানে কেটেছে তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়। স্পেন ও ইউরোপের ফুটবলে আতলেতিকোর পুনর্জাগরণে বড় ভ‚মিকা রাখেন গদিন। দলকে নেতৃত্ব দেন ৯ মৌসুমে। পরে ইতালিতে ইন্টার মিলান ও কাইয়ারিতে কাটিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে যোগ দেন ব্রাজিলের ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরোয়। মাস ছয়েক পর নাম লেখান আর্জেন্টিনার ভেলে সারফিলে। পরের মৌসুমে তাকে দলে নিতে আগ্রহী ছিল তার পুরোনো ক্লাব নাসিওনাল।

কিন্তু গত মাসে মেয়ের জন্মের পর তার ভাবনা বদলে গেছে। এ ছাড়া ভালো অবস্থায় মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ভাবনা তার সবসময়ই ছিল বলে জানালেন আর্জেন্টাইন টিভিকে। “আমি সবসময়ই চেয়েছি সিদ্ধান্তটি এভাবে নিতে। ফিট থাকার পরও এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে বিস্ময়কর মনে হতে পারে। তবে আমি ভাবছিলাম বেশ কিছুদিন ধরেই।”

“এখন আমার ভাবনায় বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে আসলে অন্য দুটি ব্যাপার। আমার পরিবার এখন উরুগুয়েতে এবং স¤প্রতি আমি বাবা হয়েছি। এখন বিশ্রাম নিতে চাই এবং জীবনের অন্য দিকগুলো উপভোগ করতে চাই। ভালো ভাবমূর্তি নিয়েই মাঠ থেকে বিদায় নিতে চেয়েছি সবসময়।”

উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়েও গদিন কিংবদন্তি ও সর্বকালের সেরাদের একজন। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লম্বা সময়। ১৬১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন দেশের জার্সি গায়ে।

উরুগুয়ের হয়ে ১৪০ ম্যাচও খেলতে পারেননি আর কেউ। গত বছর পর্যন্তও তিনি ছিলেন জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ। ২০১০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলা ও ২০১১ কোপা আমেরিকা জয়ী উরুগুয়ের সোনালি প্রজন্মের উজ্জ্বল প্রতিনিধি তিনি। ২০১৮ বিশ্বকাপেও দারুণ খেলে জায়গা পেয়েছিলেন ফিফা ড্রিম টিমে। তার স্বপ্নময় সেই পথচলা থামল এবার।