ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

প্রবল বর্ষণে চীনে নিহত ১০, নিখোঁজ ১৮

Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬৯ Time View

প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে চীনের  বেইজিংয়ের কাছে একটি শহরে অন্তত আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১৮ জন। কর্মকর্তারা শনিবার বলেছেন, উত্তর চীনে সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার ৬ আগস্ট সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সংলগ্ন প্রদেশ হেবেইয়ে প্রদেশে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বন্যায় হেবেইয়ে প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। সড়কগুলো রীতিমতো নদীতে পরিণত হয়েছে।উদ্ধারকর্মীরা ১ কোটির বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে। যারা বাড়িঘর ছাড়েননি তাদেরকে নৌকার মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে ‘রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

বন্যায ও ভুমিধ্বসে বেইজিং থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দূরে বাওডিং-এ কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে, এবং ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দেশটির আবহাওয়া অফিস বলছে, শুধু রাজধানী বেইজিংয়েই গত সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ ১৪০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে। চীনে চলতি সপ্তাহে গতকাল পর্যন্ত ৪০ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা জুলাই মাসের পুরো গড় বৃষ্টিপাতের সমান। মূলত ‘সুপার স্টর্ম’ আখ্যা পাওয়া ঝড় ডাকসুরির কারণে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।

চীন শুক্রবার বলেছে, দেশের রাজধানীতে রেকর্ড প্রবল বৃষ্টিপাতের আঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গত মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ পর্যন্ত ১৪৭  জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।  চীনের জরুরী ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলেছে যে জুলাই মাসে রেকর্ডকৃত মৃত্যু বা নিখোঁজের মধ্যে ১৪২টি বন্যা বা ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়ের কারণে ঘটেছে।

গতকাল পর্যন্ত টানা পঞ্চম দিন প্লাবিত হয় বেইজিংয়ের বিভিন্ন এলাকা। এরই মধ্যে দেশের পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে আরেক সামুদ্রিক ঝড় বা টাইফুন। তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি হবে চীন তথা পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানা তৃতীয় ঝড়।

চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, টানা ভারি বৃষ্টির ফলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বেইজিংয়ে। বেইজিং এবং নিকটবর্তী শহর তিয়ানজিন ও ঝুওঝোতে ভারি বৃষ্টির জেরে পানিবন্দি হয়েছে একাধিক এলাকা।

তিয়ানজিনে পানিবন্দি এক লাখ ২৫ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে প্রশাসন। বেইজিংয়ের পূর্বে অবস্থিত এই এলাকায় ভারি বৃষ্টির জেরে ইয়ংদিং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীসংলগ্ন বেশ কয়েকটি অঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গতদের স্থান হয়েছে এলাকার স্কুল ও সরকারি ভবনগুলোতে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

২০১২ সালের পর বেইজিংয়ে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। বর্ষণের পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে চীনে ব্যাপক তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রেকর্ড তাপমাত্রার ঘটনাও ঘটেছে। অতিবৃষ্টির পাশাপাশি অতি তাপমাত্রার এসব চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া ঘটনা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র : বিবিসি/ ইকোনোমিক টাইমস

Please Share This Post in Your Social Media

প্রবল বর্ষণে চীনে নিহত ১০, নিখোঁজ ১৮

Update Time : ০১:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে চীনের  বেইজিংয়ের কাছে একটি শহরে অন্তত আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১৮ জন। কর্মকর্তারা শনিবার বলেছেন, উত্তর চীনে সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার ৬ আগস্ট সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সংলগ্ন প্রদেশ হেবেইয়ে প্রদেশে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বন্যায় হেবেইয়ে প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। সড়কগুলো রীতিমতো নদীতে পরিণত হয়েছে।উদ্ধারকর্মীরা ১ কোটির বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে। যারা বাড়িঘর ছাড়েননি তাদেরকে নৌকার মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে ‘রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

বন্যায ও ভুমিধ্বসে বেইজিং থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) দূরে বাওডিং-এ কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে, এবং ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দেশটির আবহাওয়া অফিস বলছে, শুধু রাজধানী বেইজিংয়েই গত সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ ১৪০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে। চীনে চলতি সপ্তাহে গতকাল পর্যন্ত ৪০ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা জুলাই মাসের পুরো গড় বৃষ্টিপাতের সমান। মূলত ‘সুপার স্টর্ম’ আখ্যা পাওয়া ঝড় ডাকসুরির কারণে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।

চীন শুক্রবার বলেছে, দেশের রাজধানীতে রেকর্ড প্রবল বৃষ্টিপাতের আঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গত মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ পর্যন্ত ১৪৭  জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।  চীনের জরুরী ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলেছে যে জুলাই মাসে রেকর্ডকৃত মৃত্যু বা নিখোঁজের মধ্যে ১৪২টি বন্যা বা ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়ের কারণে ঘটেছে।

গতকাল পর্যন্ত টানা পঞ্চম দিন প্লাবিত হয় বেইজিংয়ের বিভিন্ন এলাকা। এরই মধ্যে দেশের পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে আরেক সামুদ্রিক ঝড় বা টাইফুন। তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি হবে চীন তথা পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানা তৃতীয় ঝড়।

চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, টানা ভারি বৃষ্টির ফলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বেইজিংয়ে। বেইজিং এবং নিকটবর্তী শহর তিয়ানজিন ও ঝুওঝোতে ভারি বৃষ্টির জেরে পানিবন্দি হয়েছে একাধিক এলাকা।

তিয়ানজিনে পানিবন্দি এক লাখ ২৫ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে প্রশাসন। বেইজিংয়ের পূর্বে অবস্থিত এই এলাকায় ভারি বৃষ্টির জেরে ইয়ংদিং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীসংলগ্ন বেশ কয়েকটি অঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গতদের স্থান হয়েছে এলাকার স্কুল ও সরকারি ভবনগুলোতে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

২০১২ সালের পর বেইজিংয়ে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। বর্ষণের পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে চীনে ব্যাপক তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রেকর্ড তাপমাত্রার ঘটনাও ঘটেছে। অতিবৃষ্টির পাশাপাশি অতি তাপমাত্রার এসব চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া ঘটনা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র : বিবিসি/ ইকোনোমিক টাইমস