ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

নির্বাচন কমিশন সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৯ Time View

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র চার মাস। এই চার মাসেই সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের কর্মযজ্ঞ শেষ করতে হবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনকে। আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সভায় প্রায় সব আলোচ্য বিষয়ই হবে সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক।

তবে এর মধ্যে একটি আলোচ্য বিষয় সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার’ সংক্রান্ত। তাহলে কি আরও সুযোগ-সুবিধা চাচ্ছে কমিশন, এ আলোচ্য বিষয়ে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে।

এর আগে, গত ৩১ জুলাই আচমকাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। তবে ওই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়। যদি সিইসি বলেছিলেন তার অফিস (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়) পরবর্তীতে সাক্ষাৎ বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানাবেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আর কিছু জানায়নি ইসি।

তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই ইসির প্রতিনিধি দল সুপ্রিম কোর্টে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় সিইসি জানান, আমাদের প্রধান বিচারপতি শপথ পড়িয়েছেন। আমি বিচার বিভাগে ছিলাম। তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। এটা আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলবো না। নির্বাচন ইস্যুতে হাইকোর্টে যে রুল তা নিয়ে আমার অফিস কথা বলবে।

নির্বাচন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ আইনে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হচ্ছিল। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির গত ৩১ জুলাই যে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানেও এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ, প্রধান বিচারপতি ও সিইসিসহ কমিশনাররা বিশেষ আইনে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

এছাড়া, আগামী সোমবার কমিশন সভায়ও সিইসিসহ কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৩’ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটা আলোচ্যবিষয়ের প্রথমেই আছে। যেহেতু কমিশন সভায় এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে, সেহেতু বলাই যায় নিজেদের ক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু একটা করতে চাচ্ছে বর্তমান কমিশন।

সোমবার কমিশনের সভায় যে ৭টি বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা-

ক. প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩।

খ. নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ এর সংশোধন।

গ. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন ২০১০ এর সংশোধন।

ঘ. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশিকা।

ঙ. নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালনের জন্য আপ্যায়ন বাবদ অর্থ প্রদান সংক্রান্ত গাইডলাইন।

চ. নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর ২০২৩-২৪ সালের প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জির খসড়া চূড়ান্তকরণ।

ছ. বিবিধ

Please Share This Post in Your Social Media

নির্বাচন কমিশন সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চায়

Update Time : ০৩:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র চার মাস। এই চার মাসেই সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের কর্মযজ্ঞ শেষ করতে হবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনকে। আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সভায় প্রায় সব আলোচ্য বিষয়ই হবে সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক।

তবে এর মধ্যে একটি আলোচ্য বিষয় সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার’ সংক্রান্ত। তাহলে কি আরও সুযোগ-সুবিধা চাচ্ছে কমিশন, এ আলোচ্য বিষয়ে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে।

এর আগে, গত ৩১ জুলাই আচমকাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। তবে ওই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়। যদি সিইসি বলেছিলেন তার অফিস (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়) পরবর্তীতে সাক্ষাৎ বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানাবেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আর কিছু জানায়নি ইসি।

তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই ইসির প্রতিনিধি দল সুপ্রিম কোর্টে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় সিইসি জানান, আমাদের প্রধান বিচারপতি শপথ পড়িয়েছেন। আমি বিচার বিভাগে ছিলাম। তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। এটা আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলবো না। নির্বাচন ইস্যুতে হাইকোর্টে যে রুল তা নিয়ে আমার অফিস কথা বলবে।

নির্বাচন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ আইনে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হচ্ছিল। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির গত ৩১ জুলাই যে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানেও এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ, প্রধান বিচারপতি ও সিইসিসহ কমিশনাররা বিশেষ আইনে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

এছাড়া, আগামী সোমবার কমিশন সভায়ও সিইসিসহ কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৩’ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটা আলোচ্যবিষয়ের প্রথমেই আছে। যেহেতু কমিশন সভায় এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে, সেহেতু বলাই যায় নিজেদের ক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু একটা করতে চাচ্ছে বর্তমান কমিশন।

সোমবার কমিশনের সভায় যে ৭টি বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা-

ক. প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩।

খ. নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ এর সংশোধন।

গ. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন ২০১০ এর সংশোধন।

ঘ. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশিকা।

ঙ. নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালনের জন্য আপ্যায়ন বাবদ অর্থ প্রদান সংক্রান্ত গাইডলাইন।

চ. নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর ২০২৩-২৪ সালের প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জির খসড়া চূড়ান্তকরণ।

ছ. বিবিধ