ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

নাটোরে স্কুলছাত্রীকে গণধধর্ষণ, ৫ কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ

নাটোর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৬০ Time View

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে গণধধর্ষণের দায়ে পাঁচ কিশোরকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।

নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা একই উপজেলার। তাদের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাড. আনিছুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের মাহাবুল ইসলামের ছেলে পল্লব, আলাউদ্দিনের ছেলে শোভন , আব্দুর রহিমের ছেলে ছাইদুর রহমান, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ওম্বর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং মিজাউল ইসলামের ছেলে টুটুল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা এলাকার বখাটে হিসেবে পরিচিত। তারা প্রায় স্কুলে যাওয়ার সময় ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বখাটেরা। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।

এরই একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ওই ছাত্রী বাড়িতে নিজের শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে থাকাকালে কৌশলে এই ৫ যুবক দরজার ছিটকানি খুলে মুখে মাফলার বেঁধে তাকে বাড়ির পাশের একটি আখ খেতে তুলে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাকে একে একে পাঁচজন ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে প্রতিবেশীরাসহ ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

উদ্ধারের পর বাবা–মাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায় ভুক্তভোগী। পরে তার বাবা মেয়ের মুখে বিস্তারিত শুনে বড়াইগ্রাম থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পাঁচজনের নামেই আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে প্রত্যেককে ১০ বছর করে আটকাদেশ দেন আদালতের বিচারক।

মামলার বাদী শাহজাহান সরদার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সময় বয়স কম থাকলেও বর্তমানে প্রত্যেক আসামির বয়স ৩০ বছরের বেশি। তাদের যে বিচার করা হয়েছে তাতে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নাটোরে স্কুলছাত্রীকে গণধধর্ষণ, ৫ কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ

Update Time : ০৮:৪০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে গণধধর্ষণের দায়ে পাঁচ কিশোরকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।

নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা একই উপজেলার। তাদের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাড. আনিছুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের মাহাবুল ইসলামের ছেলে পল্লব, আলাউদ্দিনের ছেলে শোভন , আব্দুর রহিমের ছেলে ছাইদুর রহমান, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ওম্বর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং মিজাউল ইসলামের ছেলে টুটুল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা এলাকার বখাটে হিসেবে পরিচিত। তারা প্রায় স্কুলে যাওয়ার সময় ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বখাটেরা। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।

এরই একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ওই ছাত্রী বাড়িতে নিজের শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে থাকাকালে কৌশলে এই ৫ যুবক দরজার ছিটকানি খুলে মুখে মাফলার বেঁধে তাকে বাড়ির পাশের একটি আখ খেতে তুলে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাকে একে একে পাঁচজন ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে প্রতিবেশীরাসহ ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

উদ্ধারের পর বাবা–মাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায় ভুক্তভোগী। পরে তার বাবা মেয়ের মুখে বিস্তারিত শুনে বড়াইগ্রাম থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পাঁচজনের নামেই আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে প্রত্যেককে ১০ বছর করে আটকাদেশ দেন আদালতের বিচারক।

মামলার বাদী শাহজাহান সরদার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সময় বয়স কম থাকলেও বর্তমানে প্রত্যেক আসামির বয়স ৩০ বছরের বেশি। তাদের যে বিচার করা হয়েছে তাতে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।