ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

নয়াপল্টনেই মহাসমাবেশের অনুমতি পেলো বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৮৯ Time View

রাজধানীর নয়াপল্টনে শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিএনপিকে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের তিনটি অঙ্গ সংগঠনের শান্তি সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, দুই দলকে ২৩টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আশুরার চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। তবে, ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে।

যার মধ্যে ১৬ নম্বর শর্তে বলা হচ্ছে, কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কের যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। অথচ, দুটি সমাবেশের স্থানই মূল সড়কে।

দুটি স্থানই ব্যস্ত সড়কে। অর্থাৎ এই শর্ত মানতে হলে দুই দলের সমাবেশই সম্ভব নয়। তবে এমন শর্ত নিয়ে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চিন্তিত নন। তারা বলছেন, এর আগেও এমন শর্ত দিলেও শেষ পর্যন্ত সড়কেই সমাবেশ করতে দেয়া হয়।

তাছাড়া শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকবে। ওই দুই এলাকা দিয়ে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলো আশপাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে বলেও মত তাদের।

বিএনপিকে পল্টনে, আর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে মানতে হবে চৌহদ্দি।

আরও পড়ুন>>> যে ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি পেলো আওয়ামী লীগ-বিএনপি

আজকে সমাবেশ না করায় দুই দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাবেশকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে, বড় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সমাবেশকে ঘিরে পুলিশ, র‍্যাব, ও বিজিবি ও আনসার মোতায়েন থাকবে।

সমাবেশে ব্যাগ-লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি বলেন, সমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না। ডিএমপি থেকে যে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এই সীমানার বাইরে তারা মাইক ব্যবহার করতে পারবে না। জনদুর্ভোগ এড়ানোর জন্য তারা নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখবেন।

আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে তাদের স্বেচ্ছাসেবক থাকবে তারা পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠনের সমাবেশের দিন ও ভেন্যু নিয়ে চলে নাটকীয়তা।

দুদলই বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই)সমাবেশের ঘোষণা দেয়। বিএনপি নয়পল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে যানজটের আশঙ্কায় নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।

ডিএমপির পক্ষ থেকে দলটিকে সমাবেশের জন্য গোলাপবাগের মাঠ দেখার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জিমনেশিয়াম (ব্যায়ামারগার) মাঠ অথবা মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করতে বলা হয়।

পুলিশের আপত্তির কারণে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার বাদ জুমা নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর কিছুক্ষণ পরই যুবলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার ফলে তারা আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে মাঠ সমাবেশের জন্য উপযোগী না হওয়ায় শুক্রবার বিকেল ৩টায় শান্তি সমাবেশ করার কথা জানায় আওয়ামী লীগ।

শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার মহাসমাবেশ করতে আবারও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেয় বিএনপি। অবশেষে দুদলকেই তাদের পছন্দের স্থানে সমাবেশের অনুমতি দিল ডিএমপি।

আরও পড়ুন>>> ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

Please Share This Post in Your Social Media

নয়াপল্টনেই মহাসমাবেশের অনুমতি পেলো বিএনপি

Update Time : ০৬:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

রাজধানীর নয়াপল্টনে শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিএনপিকে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের তিনটি অঙ্গ সংগঠনের শান্তি সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, দুই দলকে ২৩টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আশুরার চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। তবে, ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে।

যার মধ্যে ১৬ নম্বর শর্তে বলা হচ্ছে, কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কের যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। অথচ, দুটি সমাবেশের স্থানই মূল সড়কে।

দুটি স্থানই ব্যস্ত সড়কে। অর্থাৎ এই শর্ত মানতে হলে দুই দলের সমাবেশই সম্ভব নয়। তবে এমন শর্ত নিয়ে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চিন্তিত নন। তারা বলছেন, এর আগেও এমন শর্ত দিলেও শেষ পর্যন্ত সড়কেই সমাবেশ করতে দেয়া হয়।

তাছাড়া শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকবে। ওই দুই এলাকা দিয়ে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলো আশপাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে বলেও মত তাদের।

বিএনপিকে পল্টনে, আর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে মানতে হবে চৌহদ্দি।

আরও পড়ুন>>> যে ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি পেলো আওয়ামী লীগ-বিএনপি

আজকে সমাবেশ না করায় দুই দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাবেশকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে, বড় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সমাবেশকে ঘিরে পুলিশ, র‍্যাব, ও বিজিবি ও আনসার মোতায়েন থাকবে।

সমাবেশে ব্যাগ-লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি বলেন, সমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না। ডিএমপি থেকে যে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এই সীমানার বাইরে তারা মাইক ব্যবহার করতে পারবে না। জনদুর্ভোগ এড়ানোর জন্য তারা নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখবেন।

আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে তাদের স্বেচ্ছাসেবক থাকবে তারা পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠনের সমাবেশের দিন ও ভেন্যু নিয়ে চলে নাটকীয়তা।

দুদলই বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই)সমাবেশের ঘোষণা দেয়। বিএনপি নয়পল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে যানজটের আশঙ্কায় নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।

ডিএমপির পক্ষ থেকে দলটিকে সমাবেশের জন্য গোলাপবাগের মাঠ দেখার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জিমনেশিয়াম (ব্যায়ামারগার) মাঠ অথবা মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করতে বলা হয়।

পুলিশের আপত্তির কারণে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার বাদ জুমা নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর কিছুক্ষণ পরই যুবলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার ফলে তারা আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে মাঠ সমাবেশের জন্য উপযোগী না হওয়ায় শুক্রবার বিকেল ৩টায় শান্তি সমাবেশ করার কথা জানায় আওয়ামী লীগ।

শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার মহাসমাবেশ করতে আবারও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেয় বিএনপি। অবশেষে দুদলকেই তাদের পছন্দের স্থানে সমাবেশের অনুমতি দিল ডিএমপি।

আরও পড়ুন>>> ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা