ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমা ৪১ সে.মি উপরে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬২ Time View

কুড়িগ্রামে তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র,দুধকুমার, ধরলাসহ অনান্য নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষজন বন্যার আতঙ্কে রয়েছে। তবে পাউবো  বলছে এ অবস্থায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্রে নদের  নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপদ সীমার  ৭২ সে.মি নীচে, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৮ সে.মি নিচে, কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।   কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।এ অবস্থায় জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ,নয়ারহাট,সাহেবের আলগাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

তিস্তার গড়াইপিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুর আলম বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ধান ক্ষেত নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের বারোমাসেই কষ্ট,কেউ দেখে না।

খিতাব খাঁ গ্রামে সুরমান আলী বলেন, দিন রাতে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে তিস্তার পানি বাড়ছে। গরু ছাগল নিয়ে ফের হামারগুলার ভোগান্তি শুরু হইল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,  ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারি বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন,  বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমা ৪১ সে.মি উপরে

Update Time : ০৩:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

কুড়িগ্রামে তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র,দুধকুমার, ধরলাসহ অনান্য নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষজন বন্যার আতঙ্কে রয়েছে। তবে পাউবো  বলছে এ অবস্থায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্রে নদের  নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপদ সীমার  ৭২ সে.মি নীচে, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৮ সে.মি নিচে, কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।   কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।এ অবস্থায় জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ,নয়ারহাট,সাহেবের আলগাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

তিস্তার গড়াইপিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুর আলম বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ধান ক্ষেত নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের বারোমাসেই কষ্ট,কেউ দেখে না।

খিতাব খাঁ গ্রামে সুরমান আলী বলেন, দিন রাতে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে তিস্তার পানি বাড়ছে। গরু ছাগল নিয়ে ফের হামারগুলার ভোগান্তি শুরু হইল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,  ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারি বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন,  বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।