ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপিত

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬৮ Time View

গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৬:১৫টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শোভাযাত্রা সহকারে কবি’র সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।

পরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি’র সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কবি নজরুলের কবিতা, নাটক,উপন্যাস, গানসহ সকল সৃষ্টিকর্মে যে মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার অসাধারণ ভাবনা ও দর্শন উপস্থাপিত হয়েছে, তা সর্বযুগে ও সর্বকালে সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, নজরুলের এসব মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে শোষণমুক্ত, ক্সবষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও নজরুলের দর্শনে অসাধারণ মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের দর্শন ও চেতনা যুগে যুগে সব জনগোষ্ঠীর জন্য প্রেরণার উৎস।

অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রসাদ দাঁ-এর নেতৃত্বে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ নজরুল সংগীত
পরিবেশন করেন।

বাংলা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

এছাড়া আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপিত

Update Time : ০৭:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৬:১৫টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শোভাযাত্রা সহকারে কবি’র সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।

পরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি’র সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কবি নজরুলের কবিতা, নাটক,উপন্যাস, গানসহ সকল সৃষ্টিকর্মে যে মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার অসাধারণ ভাবনা ও দর্শন উপস্থাপিত হয়েছে, তা সর্বযুগে ও সর্বকালে সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, নজরুলের এসব মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে শোষণমুক্ত, ক্সবষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও নজরুলের দর্শনে অসাধারণ মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের দর্শন ও চেতনা যুগে যুগে সব জনগোষ্ঠীর জন্য প্রেরণার উৎস।

অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রসাদ দাঁ-এর নেতৃত্বে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ নজরুল সংগীত
পরিবেশন করেন।

বাংলা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

এছাড়া আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।