ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

ডেঙ্গুর ভয়ে ব্যাগে মশা ভরে হাসপাতালে হাজির ব্যক্তি

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৯৩ Time View

সারা বছরই কমবেশি মশা দেখা যায়। মশার উপদ্রব নতুন নয়। কিন্তু চিন্তা অন্য কারণে। কারণ, ওই গৃহকর্তা এ ধরনের মশা আগে দেখেননি।

দেখতে সাধারণ মশার চেয়ে বড়, পাগুলোও লম্বা লম্বা। তাই তার চিন্তা বেড়েছে। গৃহকর্তার ধারণা, এগুলো ডেঙ্গু মশা।

আতঙ্কে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে দেড়শর মতো মশা ভরে হাসপাতালে ছোটেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমানে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

মশাভর্তি ব্যাগ নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মনসুর আলী শেখ। তিনি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার খুর্তুবা গ্রামের বাসিন্দা। মশা নিয়ে তিনি মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে যান।

কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জিজ্ঞেস করেন, বলুন আপনার শরীরে কী সমস্যা? তখন মনসুর আলী বলেন, এখনো পর্যন্ত কিছু হয়নি স্যার।

তবে কিছুদিন পরই মনে হয় ইন্তেকাল হয়ে যাবে। আপনারা এভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে? তখনো কিছু বুঝতে পারেননি চিকিৎসক জুলফিকার আলী। তিনি হাঁ করে ওই ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।

তখন মনসুর আলী একটি প্যাকেট চিকিৎসকের সামনে তুলে ধরে বলতে শুরু করেন, এই দেখুন। এই ধরনের ডেঙ্গু মশায় গ্রাম ছেয়ে গেছে।

চলাফেরা করার সময়ও মশা জেঁকে ধরছে। ডেঙ্গু মশার সঙ্গে থাকলে আর কতদিনই বা বাঁচতে পারব স্যার? আমার ওষুধ চাই না। মশা মারার ওষুধ দিন।

চিকিৎসক দেখেন, প্লাস্টিক ব্যাগে দেড়শর মতো মশা রয়েছে। সেখানে বেশকিছু জ্যান্ত মশাও রয়েছে।

মনসুর আলীর এ কাণ্ড দেখে হো-হো করে হাসতে শুরু করেন চিকিৎসক। দুজনের কথোপকথন শুনে আরও কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে ছুটে আসেন। ঘটনা শুনে তারাও হাসতে থাকেন।

চিকিৎসক বলেন, এ আবহাওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে এ কথা সত্য। আগে দেখেছি সাপে কাটলে সেই সাপ ধরে চিকিৎসা করাতে আসত মানুষ। মশা ধরে হাসপাতালে আসার ঘটনা আগে শুনিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

ডেঙ্গুর ভয়ে ব্যাগে মশা ভরে হাসপাতালে হাজির ব্যক্তি

Update Time : ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

সারা বছরই কমবেশি মশা দেখা যায়। মশার উপদ্রব নতুন নয়। কিন্তু চিন্তা অন্য কারণে। কারণ, ওই গৃহকর্তা এ ধরনের মশা আগে দেখেননি।

দেখতে সাধারণ মশার চেয়ে বড়, পাগুলোও লম্বা লম্বা। তাই তার চিন্তা বেড়েছে। গৃহকর্তার ধারণা, এগুলো ডেঙ্গু মশা।

আতঙ্কে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে দেড়শর মতো মশা ভরে হাসপাতালে ছোটেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমানে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

মশাভর্তি ব্যাগ নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মনসুর আলী শেখ। তিনি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার খুর্তুবা গ্রামের বাসিন্দা। মশা নিয়ে তিনি মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে যান।

কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জিজ্ঞেস করেন, বলুন আপনার শরীরে কী সমস্যা? তখন মনসুর আলী বলেন, এখনো পর্যন্ত কিছু হয়নি স্যার।

তবে কিছুদিন পরই মনে হয় ইন্তেকাল হয়ে যাবে। আপনারা এভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে? তখনো কিছু বুঝতে পারেননি চিকিৎসক জুলফিকার আলী। তিনি হাঁ করে ওই ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।

তখন মনসুর আলী একটি প্যাকেট চিকিৎসকের সামনে তুলে ধরে বলতে শুরু করেন, এই দেখুন। এই ধরনের ডেঙ্গু মশায় গ্রাম ছেয়ে গেছে।

চলাফেরা করার সময়ও মশা জেঁকে ধরছে। ডেঙ্গু মশার সঙ্গে থাকলে আর কতদিনই বা বাঁচতে পারব স্যার? আমার ওষুধ চাই না। মশা মারার ওষুধ দিন।

চিকিৎসক দেখেন, প্লাস্টিক ব্যাগে দেড়শর মতো মশা রয়েছে। সেখানে বেশকিছু জ্যান্ত মশাও রয়েছে।

মনসুর আলীর এ কাণ্ড দেখে হো-হো করে হাসতে শুরু করেন চিকিৎসক। দুজনের কথোপকথন শুনে আরও কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে ছুটে আসেন। ঘটনা শুনে তারাও হাসতে থাকেন।

চিকিৎসক বলেন, এ আবহাওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে এ কথা সত্য। আগে দেখেছি সাপে কাটলে সেই সাপ ধরে চিকিৎসা করাতে আসত মানুষ। মশা ধরে হাসপাতালে আসার ঘটনা আগে শুনিনি।