ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অচল অবস্থা; ৭’শ বন্দির জন্য একজন নার্স, ডাক্তার নেই

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ১১৪ Time View

১৮ বছরের মধ্যে কোন শিশু-কিশোর অপরাধীকে আদালতের মাধ্যমে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি রাখা হয়।

বাংলাদেশের একমাত্র একই ধরণের বন্দিশালা এটি। এই বন্দিশালার উদ্দেশ্য শিশু বা কিশোর বয়সের অপরাধীদের জীবন মানের উন্নয়ন করে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে বেড়ে উঠার সুযোগ দেয়া।

কিন্তু টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি শিশু- কিশোররা মানবেতর জীবন যাপন করছে এমনকি তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরাও অমানবিকভাবে বসবাস করছেন।

প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সমাজ সেবা অধিপ্তরের লোকবলের সাথে আনসার সদস্যদের আভ্যন্তরীন বিরোধে অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে বন্দি শিশু-কিশোররা। প্রায় ৭’শ বন্দির চিকিৎসার জন্য কোন ডাক্তার নেই। আছে একজন নার্স মাত্র।

পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই সংশোধনী প্রতিষ্ঠানটি অনুপযোগী হয়ে যাবে শিঘ্রই এমন আশংকা দেখা দিয়েছে।

সোমবার(১৯জুন) সরজমিনে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় অবস্থিত টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে গিয়ে এসকল তথ্য পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের লোকবল রয়েছে ৩৯জন। এর মধ্যে ১০জন মহিলা ও ২৯জন পুরুষ।নিরাপত্তার জন্য আনসার রয়েছে ৫৪জন। বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ৬৯৮ জন।

কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রবেশ করার সাথে সাথে আনসার সদস্যদের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেল।

আনসারদের ব্যারাকে গিয়ে দেখা যায়, জ্বরাজীর্ণ ভবনেরপরিত্যক্ত রুমের ভেতরে আনসার সদস্যরা থাকেন। ছোট ছোট চৌকি রয়েছে কয়েকটি রুমে। বেশ কয়েকটি রুমে কোন চৌকিও নেই। ফ্লোরে বিছানা করে বন্দিদের মত থাকতে হচ্ছে আনসার সদস্যদের। আনসারদের থাকার অনেক রুমে পাওয়া যায়নি কোন ফ্যান বা লাইটও। এই মানবেতর জীবন যাপনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন অসংখ্য আনসার সদস্য।

তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেও কোন সুরাহা হয়নি। তারা আমাদের কোন কথা বা দাবী শুনেন না।

আনসার সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, কোন বন্দির জন্য খাবার আসলে সিভিল নিরাপত্তাকর্মীরা খাবার রেখে দেয়। টাকা দিলে খাবার বন্দিদের ডেকে ডেকে দেয়া হয়। যে সকল বন্দির টাকা নাই, তাদের খাবার দেয়া হয় না। এ ছাড়া কোন বন্দির পরিবারের লোকজন আসলে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসে। ওই সকল জিনিসপত্রের সাথে মাদক বা ক্ষতিকর কোন দ্রব্য আছে কি না তাও পরীক্ষা করা যায় না। কারণ সিভিল কর্মীরা আনসারদের সে দায়িত্ব পালন করতে দেয় না।

এই আনসার সদস্য বলেন, আমাদের কাজ হলো বন্দিদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তল্লাসী করার পর বন্দি বা তাদের জিনিসপত্র প্রবেশ করতে দেয়া। কিন্তু আমরা তা করতে পারছি না। কোন বন্দি অসুস্থ হলে বন্দিদের কক্ষ থেকে নামিয়ে নীচে আনা আমাদের কাজ। এরপর কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কোন বন্দি অসুস্থ হলে বার বার বলার পরও চিকিৎসা হয় না।

আনসার সদস্য খায়রুল ইসলাম বলেন, কোন বন্দি ব্লেড কিংবা অন্য কোন জিনিস পেয়ে গেলেও আমরা কিছু করতে পারি না। কারণ তাদের ও তাদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করতে দেয়া হয় না আমাদের। কোন বন্দি অসুস্থ হলে তাকে নাপা ও প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোন ঔষুধ দেয়া হয় না।

কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের গেটে অপেক্ষমান ফেনী সদর থানার রামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রায়হান মিয়া জানান, গেলো শনিবার তার আত্মীয় রুবেল হোটেল থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে এই কেন্দ্রে বন্দি আছে। আজকে তার জামিনের জন্য ওকালতনামা নিয়ে এসেছি। কিন্তু কাউকে পাচ্ছি না অনেকক্ষন ধরে।
রায়হানের মত অসংখ্য বন্দির আত্মীয় স্বজন নানা কারণে এসেছেন। কিন্তু কেউ তাদের সহযোগিতা পর্যন্ত করছেন না। ফলে দীর্ঘক্ষন তারা দাঁড়িয়ে আছেন
অসহায়ের মত।
টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে বাইরে ও একাধিক গোপন সূত্র জানায়, কোন বন্দি অসুস্থ হলে কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা পর তার চিকিৎসা শুরু হয়।
বন্দিদের প্রতিটি কক্ষে একজন করে ক্যাপ্টেন ও একজন করে সহকারী ক্যাপ্টেন রয়েছে। মোট ৬জন ক্যাপ্টেন ও ৬জন সহকারী ক্যাপ্টেন আছে। ক্যাপ্টেনরা বন্দিদের মারধর করে। টাকা না দিলে মোবাইলে ফোনে পরিবারের সাথে কথাও বলতে দেয় না। এমনকি খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র যা পরিবারের লোকজন দিয়ে যায় তাও দেয়া হয় না বন্দিদের। বন্দিদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের তিন সদস্যের একটি সিন্ডিকেট সব নিয়ন্ত্রন করে। ফলে এই প্রতিষ্ঠান অনিয়মের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে।

টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের আনসারদের প্রধান(পিসি) তোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমাদের কিছু সমস্যা আছে। গত রবিবার বেতনের জন্য আমরা দাবি করেছিলাম। আমাদের বেতন দেয়া হয়েছে। আরো কিছু সমস্যা আছে। আমি নতুন এসেছি ১৫দিন হল। আস্তে আস্তে সকল বিষয় জানতে পারবো।।

সার্বিক বিষয় সম্পর্ক জানতে ২০১৯ সালের ১আগষ্ট যোগদান করা টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ এহিয়াতুজ্জামানের সাথে দেখা করলে তিনি জানান, আনসারদের অভিযোগ সহ সকল অভিযোগ মিথ্যা। তবে আনসারদের আবাসন সমস্য সমাধানের জন্য চিঠি লেখা হয়েছে।

প্রায় ৭’শ বন্দির চিকিৎসার জন্য একজন নার্স মাত্র স্বীকার করে তিনি বলেন, আরো পোষ্ট আছে। লোক নেই। ডাক্তারও নেই। এ বিষয়ে উপরে লেখা হয়েছে।

এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের একমতা্র কিশোর সংশোধনাগার টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের অনিয়ম উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষৎ বড়
ধরণের বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশংকা ভুক্তভোগী সহ সংশ্লিষ্টদের।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অচল অবস্থা; ৭’শ বন্দির জন্য একজন নার্স, ডাক্তার নেই

Update Time : ০৮:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

১৮ বছরের মধ্যে কোন শিশু-কিশোর অপরাধীকে আদালতের মাধ্যমে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি রাখা হয়।

বাংলাদেশের একমাত্র একই ধরণের বন্দিশালা এটি। এই বন্দিশালার উদ্দেশ্য শিশু বা কিশোর বয়সের অপরাধীদের জীবন মানের উন্নয়ন করে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে বেড়ে উঠার সুযোগ দেয়া।

কিন্তু টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি শিশু- কিশোররা মানবেতর জীবন যাপন করছে এমনকি তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরাও অমানবিকভাবে বসবাস করছেন।

প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সমাজ সেবা অধিপ্তরের লোকবলের সাথে আনসার সদস্যদের আভ্যন্তরীন বিরোধে অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে বন্দি শিশু-কিশোররা। প্রায় ৭’শ বন্দির চিকিৎসার জন্য কোন ডাক্তার নেই। আছে একজন নার্স মাত্র।

পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই সংশোধনী প্রতিষ্ঠানটি অনুপযোগী হয়ে যাবে শিঘ্রই এমন আশংকা দেখা দিয়েছে।

সোমবার(১৯জুন) সরজমিনে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় অবস্থিত টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে গিয়ে এসকল তথ্য পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের লোকবল রয়েছে ৩৯জন। এর মধ্যে ১০জন মহিলা ও ২৯জন পুরুষ।নিরাপত্তার জন্য আনসার রয়েছে ৫৪জন। বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ৬৯৮ জন।

কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রবেশ করার সাথে সাথে আনসার সদস্যদের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেল।

আনসারদের ব্যারাকে গিয়ে দেখা যায়, জ্বরাজীর্ণ ভবনেরপরিত্যক্ত রুমের ভেতরে আনসার সদস্যরা থাকেন। ছোট ছোট চৌকি রয়েছে কয়েকটি রুমে। বেশ কয়েকটি রুমে কোন চৌকিও নেই। ফ্লোরে বিছানা করে বন্দিদের মত থাকতে হচ্ছে আনসার সদস্যদের। আনসারদের থাকার অনেক রুমে পাওয়া যায়নি কোন ফ্যান বা লাইটও। এই মানবেতর জীবন যাপনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন অসংখ্য আনসার সদস্য।

তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেও কোন সুরাহা হয়নি। তারা আমাদের কোন কথা বা দাবী শুনেন না।

আনসার সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, কোন বন্দির জন্য খাবার আসলে সিভিল নিরাপত্তাকর্মীরা খাবার রেখে দেয়। টাকা দিলে খাবার বন্দিদের ডেকে ডেকে দেয়া হয়। যে সকল বন্দির টাকা নাই, তাদের খাবার দেয়া হয় না। এ ছাড়া কোন বন্দির পরিবারের লোকজন আসলে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসে। ওই সকল জিনিসপত্রের সাথে মাদক বা ক্ষতিকর কোন দ্রব্য আছে কি না তাও পরীক্ষা করা যায় না। কারণ সিভিল কর্মীরা আনসারদের সে দায়িত্ব পালন করতে দেয় না।

এই আনসার সদস্য বলেন, আমাদের কাজ হলো বন্দিদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তল্লাসী করার পর বন্দি বা তাদের জিনিসপত্র প্রবেশ করতে দেয়া। কিন্তু আমরা তা করতে পারছি না। কোন বন্দি অসুস্থ হলে বন্দিদের কক্ষ থেকে নামিয়ে নীচে আনা আমাদের কাজ। এরপর কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কোন বন্দি অসুস্থ হলে বার বার বলার পরও চিকিৎসা হয় না।

আনসার সদস্য খায়রুল ইসলাম বলেন, কোন বন্দি ব্লেড কিংবা অন্য কোন জিনিস পেয়ে গেলেও আমরা কিছু করতে পারি না। কারণ তাদের ও তাদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করতে দেয়া হয় না আমাদের। কোন বন্দি অসুস্থ হলে তাকে নাপা ও প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোন ঔষুধ দেয়া হয় না।

কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের গেটে অপেক্ষমান ফেনী সদর থানার রামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রায়হান মিয়া জানান, গেলো শনিবার তার আত্মীয় রুবেল হোটেল থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে এই কেন্দ্রে বন্দি আছে। আজকে তার জামিনের জন্য ওকালতনামা নিয়ে এসেছি। কিন্তু কাউকে পাচ্ছি না অনেকক্ষন ধরে।
রায়হানের মত অসংখ্য বন্দির আত্মীয় স্বজন নানা কারণে এসেছেন। কিন্তু কেউ তাদের সহযোগিতা পর্যন্ত করছেন না। ফলে দীর্ঘক্ষন তারা দাঁড়িয়ে আছেন
অসহায়ের মত।
টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে বাইরে ও একাধিক গোপন সূত্র জানায়, কোন বন্দি অসুস্থ হলে কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা পর তার চিকিৎসা শুরু হয়।
বন্দিদের প্রতিটি কক্ষে একজন করে ক্যাপ্টেন ও একজন করে সহকারী ক্যাপ্টেন রয়েছে। মোট ৬জন ক্যাপ্টেন ও ৬জন সহকারী ক্যাপ্টেন আছে। ক্যাপ্টেনরা বন্দিদের মারধর করে। টাকা না দিলে মোবাইলে ফোনে পরিবারের সাথে কথাও বলতে দেয় না। এমনকি খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র যা পরিবারের লোকজন দিয়ে যায় তাও দেয়া হয় না বন্দিদের। বন্দিদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের তিন সদস্যের একটি সিন্ডিকেট সব নিয়ন্ত্রন করে। ফলে এই প্রতিষ্ঠান অনিয়মের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে।

টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের আনসারদের প্রধান(পিসি) তোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমাদের কিছু সমস্যা আছে। গত রবিবার বেতনের জন্য আমরা দাবি করেছিলাম। আমাদের বেতন দেয়া হয়েছে। আরো কিছু সমস্যা আছে। আমি নতুন এসেছি ১৫দিন হল। আস্তে আস্তে সকল বিষয় জানতে পারবো।।

সার্বিক বিষয় সম্পর্ক জানতে ২০১৯ সালের ১আগষ্ট যোগদান করা টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ এহিয়াতুজ্জামানের সাথে দেখা করলে তিনি জানান, আনসারদের অভিযোগ সহ সকল অভিযোগ মিথ্যা। তবে আনসারদের আবাসন সমস্য সমাধানের জন্য চিঠি লেখা হয়েছে।

প্রায় ৭’শ বন্দির চিকিৎসার জন্য একজন নার্স মাত্র স্বীকার করে তিনি বলেন, আরো পোষ্ট আছে। লোক নেই। ডাক্তারও নেই। এ বিষয়ে উপরে লেখা হয়েছে।

এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের একমতা্র কিশোর সংশোধনাগার টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের অনিয়ম উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষৎ বড়
ধরণের বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশংকা ভুক্তভোগী সহ সংশ্লিষ্টদের।