টঙ্গীতে ধর্ষণের পর শিশু হত্যার দায় স্বীকার, কিশোর গ্রেফতার
- Update Time : ০৮:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৯৩ Time View
গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গীতে জান্নাত (৭)নামে এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খালার বাসায় বেড়াতে এসে চার দিন আগে নিঁখোজ ওই শিশুর খালাত ভাই তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে স্বীকার করায় ধর্ষককে গ্রেফতার ও তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় টঙ্গীর পূর্ব থানার শিলমুন যুগীবাড়ি বালুর মাঠের জঙ্গল থেকে বালিচাপা দেয়া ওই শিশুর লাশটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশু সিরাজগঞ্জ জেলার কামাখন্দ থানার দশসিকা গ্রামের আ. মান্নানের মেয়ে। গ্রেফতার জনি (১৮) ও তার বাবা ফজলু মিয়া (৪৫)। অভিযুক্তরা টঙ্গীর শিলমুন এলাকার জনৈক সোহেলের বাসায় ভাড়া থাকেন।
পুলিশ, নিহতের বাবা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েক দিন আগে জান্নাত টঙ্গীতে তার খালার বাসায় মায়ের সাথে বেড়াতে আসে। গত ১৭ বিকাল থেকে জান্নাত নিঁখোজ হয়। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর তার বাবা আ. মান্নান টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি জিডি করে। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ জনি ও তার বাবা ফজলু মিয়াকে আটক করে। জনি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিলে বুধবার বিকেলে জনিকে নিয়ে জঙ্গল থেকে জান্নাতের অর্ধগলিত ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ আরও জানায়, জনি চিপস খাওয়ানোর কথা বলে জঙ্গলে এনে জান্নাতকে ধর্ষন করে। ধর্ষণের পর জান্নাত তার বাবাকে ঘটনা জানাবে বলে জানালে জনি পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে জান্নাতকে হত্যা করে বালি দিয়ে লাশ ঢেকে রেখে বাড়িতে চলে যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (অপরাধ দক্ষিন বিভাগের) উপ-পুলিশ কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, জনি চিপসের লোভ দেখিয়ে জান্নাতকে ধর্ষনের পর হত্যা করে।
এই ঘটনায় জিডি হলে জিডির তদন্তের সূত্র ধরে জনি ও তার বাবাকে আটক করা হয়। জনি অপরাধ স্বীকার করলে তার দেয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউাদ্দন আহমদ মেডেকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়