ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

জামিন পেলেন মমতাজ

নওরোজ বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:১২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৪৮ Time View

বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় জামিন পেলেন বাংলাদেশি ফোক গানের শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বহরমপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ দিন আদালতে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বিচারককে গত ৯ আগস্ট শুনানির দিন মমতাজ ঠিক কী কারণে বহরমপুর আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি সে বিষয়ে অবহিত করেন। মমতাজের আইনজীবীর বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারক মমতাজের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করেন এবং তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার চার্জ গঠন হয়ে যাওয়ার পরেও মূল আসামি এভাবে জামিন পেয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে আপত্তি জানান মামলাকারীর আইনজীবী। যদিও বিচারক এই আপত্তি আমলে না নিয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ৯ আগস্ট কানাডায় একটি কনসার্টের কারণে বহরমপুর আদালতের হাজিরা এড়িয়ে যান মমতাজ। এরপরেই তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বহরমপুর আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজকে প্রায় ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে বায়না করেছিলেন উদ্যোক্তারা। অভিযোগ ওঠে টাকা নেওয়ার পরও অনুষ্ঠানে হাজির হননি গায়িকা। যথারীতি অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর হয়। চরম হেনস্তার মুখে পড়তে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজক শক্তি শঙ্কর বাগচীকে। পরে টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন মমতাজ। এরপর চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন শক্তি।

মমতাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা করেন। সেই সূত্রে ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এরই মধ্যে নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন গায়িকা।

পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তি শঙ্কর বাগচী। ২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা। শুক্রবারও মামলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে চতুর্থবারের মতো জামিন পেলেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

জামিন পেলেন মমতাজ

Update Time : ০৪:১২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় জামিন পেলেন বাংলাদেশি ফোক গানের শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বহরমপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ দিন আদালতে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বিচারককে গত ৯ আগস্ট শুনানির দিন মমতাজ ঠিক কী কারণে বহরমপুর আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি সে বিষয়ে অবহিত করেন। মমতাজের আইনজীবীর বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারক মমতাজের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করেন এবং তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার চার্জ গঠন হয়ে যাওয়ার পরেও মূল আসামি এভাবে জামিন পেয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে আপত্তি জানান মামলাকারীর আইনজীবী। যদিও বিচারক এই আপত্তি আমলে না নিয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ৯ আগস্ট কানাডায় একটি কনসার্টের কারণে বহরমপুর আদালতের হাজিরা এড়িয়ে যান মমতাজ। এরপরেই তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বহরমপুর আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজকে প্রায় ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে বায়না করেছিলেন উদ্যোক্তারা। অভিযোগ ওঠে টাকা নেওয়ার পরও অনুষ্ঠানে হাজির হননি গায়িকা। যথারীতি অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর হয়। চরম হেনস্তার মুখে পড়তে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজক শক্তি শঙ্কর বাগচীকে। পরে টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন মমতাজ। এরপর চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন শক্তি।

মমতাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা করেন। সেই সূত্রে ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এরই মধ্যে নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন গায়িকা।

পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তি শঙ্কর বাগচী। ২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা। শুক্রবারও মামলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে চতুর্থবারের মতো জামিন পেলেন তিনি।