ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সৌদিতে প্রথমবারের মতো সুইমস্যুট পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা ‘আয়রনম্যান’ চরিত্রে ফিরতে ‘আপত্তি নেই’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা কাঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২ বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়র তাপস মনগড়া ও অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন : সাঈদ খোকন

চোখের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে করনীয়

নওরোজ স্বাস্থ্য ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৫২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • / ৫০ Time View

বর্ষায় কিছু রোগের সংক্রমণ ঘটে। ঘন ঘন বৃষ্টির ফলে আবহাওয়া আর্দ্র থাকে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটে। সাধারণত বর্ষার ব্যাধিগুলোর মধ্যে চোখের সংক্রমণ বা কনজেক্টিভাইটিস বেশি দেখা যায়।
এটি আমাদের চোখে অস্বস্তি এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। অনেককে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারের তথ্য দিচ্ছেন, যা আপনাদের বেশ উপকারে আসবে।
মধু
মধু চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মধুতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার উপাদান রয়েছে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চোখের ব্যথা ও জ্বালা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
গোলাপজল
এ কাজে গোলাপজল খুবই উপকারী।
এতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার এবং জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে, যা সংক্রমণ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। গোলাপজল চোখকে শীতল রাখার পাশাপাশি পরিষ্কার করে। চোখে শুধু দুই ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে এক মিনিটের জন্য বন্ধ করে রাখুন। এতে তাৎক্ষণিক চোখের ব্যথা এবং জ্বালা থেকে মুক্তি মেলে।
আলু
আলুর শীতল স্পর্শ আমাদের চোখের জ¦ালা কমাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এ জন্য আলু পাতলা করে কেটে টুকরাগুলো রাতে ঘুমানোর আগে চোখের ওপর ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর সেগুলো সরিয়ে নিন। এতে চোখের ফোলাভাব এবং ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।
তুলসীপাতা
তুলসীপাতায় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। চোখের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি চোখের জ্বালা বা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে। তুলসীপাতা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে এই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তিন-চার দিন ব্যবহার করলে ব্যথা কিছুটা কমে যাবে।
হলুদ
পুষ্টিগুণ এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য এই মসলার বেশ কিছু ওষুধি ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে, হলুদ চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। এটি চোখের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হালকা গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে সেই পানিতে একটি তুলার পেড ভিজিয়ে রাখুন এবং তা দিয়ে আপনার চোখ মুছে নিন। এটি চোখের চারপাশের ময়লা পরিষ্কার করবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি খনিজ, ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি চোখের ফোলা ভাব ও ব্যথা কমানোর পাশাপাশি আরাম বয়ে আনে। হালকা গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে প্রতিটি চোখের ওপর রাখতে পারেন। অথবা রেফ্রিজারেটরে এই টি ব্যাগগুলো ঠান্ডা করে আপনার চোখের ওপর ব্যবহার করুন।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

Please Share This Post in Your Social Media

চোখের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে করনীয়

Update Time : ১০:৫২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

বর্ষায় কিছু রোগের সংক্রমণ ঘটে। ঘন ঘন বৃষ্টির ফলে আবহাওয়া আর্দ্র থাকে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটে। সাধারণত বর্ষার ব্যাধিগুলোর মধ্যে চোখের সংক্রমণ বা কনজেক্টিভাইটিস বেশি দেখা যায়।
এটি আমাদের চোখে অস্বস্তি এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। অনেককে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারের তথ্য দিচ্ছেন, যা আপনাদের বেশ উপকারে আসবে।
মধু
মধু চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মধুতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার উপাদান রয়েছে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চোখের ব্যথা ও জ্বালা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
গোলাপজল
এ কাজে গোলাপজল খুবই উপকারী।
এতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার এবং জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে, যা সংক্রমণ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। গোলাপজল চোখকে শীতল রাখার পাশাপাশি পরিষ্কার করে। চোখে শুধু দুই ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে এক মিনিটের জন্য বন্ধ করে রাখুন। এতে তাৎক্ষণিক চোখের ব্যথা এবং জ্বালা থেকে মুক্তি মেলে।
আলু
আলুর শীতল স্পর্শ আমাদের চোখের জ¦ালা কমাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এ জন্য আলু পাতলা করে কেটে টুকরাগুলো রাতে ঘুমানোর আগে চোখের ওপর ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর সেগুলো সরিয়ে নিন। এতে চোখের ফোলাভাব এবং ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।
তুলসীপাতা
তুলসীপাতায় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। চোখের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি চোখের জ্বালা বা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে। তুলসীপাতা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে এই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তিন-চার দিন ব্যবহার করলে ব্যথা কিছুটা কমে যাবে।
হলুদ
পুষ্টিগুণ এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য এই মসলার বেশ কিছু ওষুধি ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে, হলুদ চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। এটি চোখের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হালকা গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে সেই পানিতে একটি তুলার পেড ভিজিয়ে রাখুন এবং তা দিয়ে আপনার চোখ মুছে নিন। এটি চোখের চারপাশের ময়লা পরিষ্কার করবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি খনিজ, ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি চোখের ফোলা ভাব ও ব্যথা কমানোর পাশাপাশি আরাম বয়ে আনে। হালকা গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে প্রতিটি চোখের ওপর রাখতে পারেন। অথবা রেফ্রিজারেটরে এই টি ব্যাগগুলো ঠান্ডা করে আপনার চোখের ওপর ব্যবহার করুন।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া