ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

ঘণ্টায় ৩৫০ কিমি বেগের বুলেট ট্রেন চালু ইন্দোনেশিয়ায়

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৭৯ Time View

নিজেদের প্রথম হাইস্পিড রেলওয়ে চালু করলো ইন্দোনেশিয়া। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। চীনের বেল অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মোট ৭৩০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।

২০১৯ সালেই চালু হওয়ার কথা ছিল হাইস্পিড ট্রেনটি। কিন্তু ভূমি নিয়ে বিরোধ, করোনাভাইরাস মহামারি এবং প্রকল্পের ব্যয় ১২০ কোটি ডলার বেড়ে যাওয়ার কারণে পিছিয়ে যায় কাজ।

এরপর গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ট্রেনটি উদ্বোধন করার কথা ছিল ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর। কিন্তু তার সময়সূচি না মেলায় একদিন পিছিয়ে সোমবার উদ্বোধন করা হয়েছে দেশটির প্রথম হাইস্পিড রেল।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে দেশটির অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক শহর বান্দুং পর্যন্ত চলবে বুলেট ট্রেনটি। এই রুটের দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।

দ্রুতগতির এই রেলওয়ের নাম রাখা হয়েছে ‘হুশ’, ইন্দোনেশীয় ভাষায় যার অর্থ সময় সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য। দেশটির তীব্র যানজট কমাতে এ ধরনের প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো।

‘হুশ’ পরিচালনা করবে পিটি কেসিআইসি নামে একটি সংস্থা। ইন্দোনেশিয়ার চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি ও বেইজিংয়ের চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগ এটি।

ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চগতির এই রেল দেশটির অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রেনটি বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় কার্বন নিঃসরণ কমাতেও সাহায্য করবে।

পরামর্শক সংস্থা গ্লোবাল কাউন্সেলের প্রধান ইন্দোনেশিয়া বিশ্লেষক দেদি দিনার্টোর মতে, ইন্দোনেশীয় বুলেট ট্রেন মূলত ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে চীন-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই প্রকল্প সরকারের জন্য লাভজনক হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

বুলেট ট্রেনের টিকিটের দাম এখনো চূড়ান্ত করেনি ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ। তবে পরিচালনা সংস্থার অনুমান, এক পথের যাত্রায় এর টিকিটের দাম আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ রুপাইয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা প্রায়) হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

ঘণ্টায় ৩৫০ কিমি বেগের বুলেট ট্রেন চালু ইন্দোনেশিয়ায়

Update Time : ০৭:১০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

নিজেদের প্রথম হাইস্পিড রেলওয়ে চালু করলো ইন্দোনেশিয়া। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। চীনের বেল অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মোট ৭৩০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।

২০১৯ সালেই চালু হওয়ার কথা ছিল হাইস্পিড ট্রেনটি। কিন্তু ভূমি নিয়ে বিরোধ, করোনাভাইরাস মহামারি এবং প্রকল্পের ব্যয় ১২০ কোটি ডলার বেড়ে যাওয়ার কারণে পিছিয়ে যায় কাজ।

এরপর গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ট্রেনটি উদ্বোধন করার কথা ছিল ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর। কিন্তু তার সময়সূচি না মেলায় একদিন পিছিয়ে সোমবার উদ্বোধন করা হয়েছে দেশটির প্রথম হাইস্পিড রেল।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে দেশটির অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক শহর বান্দুং পর্যন্ত চলবে বুলেট ট্রেনটি। এই রুটের দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।

দ্রুতগতির এই রেলওয়ের নাম রাখা হয়েছে ‘হুশ’, ইন্দোনেশীয় ভাষায় যার অর্থ সময় সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য। দেশটির তীব্র যানজট কমাতে এ ধরনের প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো।

‘হুশ’ পরিচালনা করবে পিটি কেসিআইসি নামে একটি সংস্থা। ইন্দোনেশিয়ার চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি ও বেইজিংয়ের চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগ এটি।

ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চগতির এই রেল দেশটির অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রেনটি বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় কার্বন নিঃসরণ কমাতেও সাহায্য করবে।

পরামর্শক সংস্থা গ্লোবাল কাউন্সেলের প্রধান ইন্দোনেশিয়া বিশ্লেষক দেদি দিনার্টোর মতে, ইন্দোনেশীয় বুলেট ট্রেন মূলত ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে চীন-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই প্রকল্প সরকারের জন্য লাভজনক হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

বুলেট ট্রেনের টিকিটের দাম এখনো চূড়ান্ত করেনি ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ। তবে পরিচালনা সংস্থার অনুমান, এক পথের যাত্রায় এর টিকিটের দাম আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ রুপাইয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা প্রায়) হতে পারে।