ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

কিশোরগঞ্জে ১২ ইউপি সদস্যের আস্থা হারালেন চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান

লাতিফুল আজম,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:২৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৯৫ Time View

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে অনাস্থা দিয়েছে ইউপি সদস্যরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবু গত ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ভোটে নির্বাচিত হয়।

দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সাথে কোন পরামর্শ না করেই একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিষদ পরিচালনা করছেন বলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ওই পরিষদের সকল নির্বাচিত সদস্যরা।

অভিযোগে বলা হয়,২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ভিডব্লিউবি চক্রের উপকারভোগীদের নিকট হতে জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের সঞ্চয়ের নামে জনপ্রতি ৭শ টাকা করে উত্তোলন করেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। সেই টাকা কোথাও কোন ভাবে জমা বা ফেরত না দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিমাসে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ভিডব্লিউবি’র চাল বিতরণের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে পরিবহন বাবদ ২০ টাকা হাড়ে ৭ হাজার ২০ টাকা করে আত্মসাৎ করেন। অথচ প্রতিমাসের পরিবহন খরচ বাবদ সরকারী ভাবে অর্থ দেয়া হয় পরিষদকে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের মাঝে কর্মসংস্থান (৪০ দিন) প্রকল্পের অনিয়ম,শ্রমিকদের নামে বিকাশ,নগদ একাউন্ট খোলা ১শ’ ৭৮টি সিম নিজের আয়ত্বে রাখেন। শ্রমিকদের নামে ১৬ হাজার টাকার স্থানে নামমাত্র টাকা প্রদান করলেও এখন পর্যন্ত কিছু সংখ্যক শ্রমিককে তাদের ন্যায্য মজুরীর টাকা প্রদান করেন নাই ওই চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানকে বললে চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্যদেরকে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন।

২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এডিপির অর্থায়নে ৪ লক্ষ টাকার বরাদ্দ পায় ওই ইউনিয়ন পরিষদ। সেই প্রকল্পের বিষয়ে কোন সভা না করে কোন সদস্যদের মতামত গ্রহন না করে চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে কোন রেজুলেশন না করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন।

২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ভূমি হস্তান্তর কর ১% বাবদ ৪ লক্ষ টাকা ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। সেই প্রকল্প গ্রহনেও ইউপি সদস্যদের মতামত গ্রহন করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ওয়ারিশন সনদ বাবদ ২শ’ ৫০ টাকা,জন্ম নিবন্ধন বাবদ ৩ শ’ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৫শ’ টাকা করে গ্রহন করেন। যাহা সরকারী নিয়ম পরীপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ২ টি টিআর প্রকল্পের ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন এবং রেজুলেশন পরবর্তীতে নতুন করে তৈরী করে জমা দেয়া হয়। এসব নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি ও একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনা করার অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টিও হয়। পরিষদের সকল সদস্যরা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোন প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবু তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় পরিষদের সকল সদস্য গত ৩০ অক্টোবর জেলা প্রশাসক নীলফামারী ও ৩১ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার রংপুর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবুর সাথে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আপনারা সাংবাদিকরা রিপোর্ট করতে পারেন। তদন্ত হলে আমি সকল জবাব দিব।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই আলম সিদ্দিকীর (০১৭৩৩৩৯০৬৬৫) সরকারী নম্বরে কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ (০১৭১৫০৮১৪৮০) নম্বরে কল করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে ১২ ইউপি সদস্যের আস্থা হারালেন চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান

Update Time : ০৬:২৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে অনাস্থা দিয়েছে ইউপি সদস্যরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবু গত ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ভোটে নির্বাচিত হয়।

দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সাথে কোন পরামর্শ না করেই একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিষদ পরিচালনা করছেন বলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ওই পরিষদের সকল নির্বাচিত সদস্যরা।

অভিযোগে বলা হয়,২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ভিডব্লিউবি চক্রের উপকারভোগীদের নিকট হতে জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের সঞ্চয়ের নামে জনপ্রতি ৭শ টাকা করে উত্তোলন করেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। সেই টাকা কোথাও কোন ভাবে জমা বা ফেরত না দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিমাসে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ভিডব্লিউবি’র চাল বিতরণের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে পরিবহন বাবদ ২০ টাকা হাড়ে ৭ হাজার ২০ টাকা করে আত্মসাৎ করেন। অথচ প্রতিমাসের পরিবহন খরচ বাবদ সরকারী ভাবে অর্থ দেয়া হয় পরিষদকে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের মাঝে কর্মসংস্থান (৪০ দিন) প্রকল্পের অনিয়ম,শ্রমিকদের নামে বিকাশ,নগদ একাউন্ট খোলা ১শ’ ৭৮টি সিম নিজের আয়ত্বে রাখেন। শ্রমিকদের নামে ১৬ হাজার টাকার স্থানে নামমাত্র টাকা প্রদান করলেও এখন পর্যন্ত কিছু সংখ্যক শ্রমিককে তাদের ন্যায্য মজুরীর টাকা প্রদান করেন নাই ওই চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানকে বললে চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্যদেরকে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন।

২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এডিপির অর্থায়নে ৪ লক্ষ টাকার বরাদ্দ পায় ওই ইউনিয়ন পরিষদ। সেই প্রকল্পের বিষয়ে কোন সভা না করে কোন সদস্যদের মতামত গ্রহন না করে চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে কোন রেজুলেশন না করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন।

২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ভূমি হস্তান্তর কর ১% বাবদ ৪ লক্ষ টাকা ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। সেই প্রকল্প গ্রহনেও ইউপি সদস্যদের মতামত গ্রহন করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ওয়ারিশন সনদ বাবদ ২শ’ ৫০ টাকা,জন্ম নিবন্ধন বাবদ ৩ শ’ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৫শ’ টাকা করে গ্রহন করেন। যাহা সরকারী নিয়ম পরীপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ২ টি টিআর প্রকল্পের ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন এবং রেজুলেশন পরবর্তীতে নতুন করে তৈরী করে জমা দেয়া হয়। এসব নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি ও একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনা করার অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টিও হয়। পরিষদের সকল সদস্যরা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোন প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবু তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় পরিষদের সকল সদস্য গত ৩০ অক্টোবর জেলা প্রশাসক নীলফামারী ও ৩১ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার রংপুর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবুর সাথে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আপনারা সাংবাদিকরা রিপোর্ট করতে পারেন। তদন্ত হলে আমি সকল জবাব দিব।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই আলম সিদ্দিকীর (০১৭৩৩৩৯০৬৬৫) সরকারী নম্বরে কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ (০১৭১৫০৮১৪৮০) নম্বরে কল করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।