ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

লাতিফুল আজম,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৫৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৩ Time View

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মাহজুবা উম্মে লাবনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

মঙ্গলবার বিকালে বাহাগিলী ইউনিয়নের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ওই শিক্ষকের ২য় স্বামী কামরুজ্জামান সবুজ বলেন,প্রধান শিক্ষক মাহজুবা উম্মে লাবনীর সাথে গত ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর আমার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে কিছুদিন লাবনী তার স্বামীর সাথে ভাল ভাবে সংসার করলেও কিছুদিন সে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা শুরু করে ওই শিক্ষিকা। এতে আমি তাকে বাধা দিলেও সে কোনভাবে আমার কথায় কর্ণপাত না করে গোপনে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে রাতে করে বাড়ী ফিরতেন।

এ ব্যাপারে স্বামী হিসাবে তাকে বাধা নিষেধ করলে সে আমাকে মামলার ভয় দেখাতো। এক পর্যায়ে আমার নামে গত ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী করতে থাকে। মামলা করার পর ২০২১ সালের ২২ মার্চ আমি কাজীর মাধ্যমে তাকে তালাক দেই। পরে গত ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। সেই থেকে লাবনীর সাথে আর কোন বিষয়ে আমার এবং আমাদের পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। প্রধান শিক্ষক লাবনীর প্রথম স্বামীও তাকে পরকীয়া করার কারণে বাধা নিষেধ করায় তিনি তাকে তালাক দেন।

গত ২৯ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ মডেল মসজিদে ইমাম পদে চাকুরীর পরীক্ষায় নির্বাচিত হওয়ার খবর পেয়ে ওই প্রধান শিক্ষক ও কামরুজ্জামান সবুজের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী মাহজুবা উম্মে লাবনী সবুজকে স্বামী দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে উপজেলা মডেল মসজিদের নিয়োগ কমিটি কামরুজ্জামান সবুজকে বাতিল করে দেন। সেই থেকে প্রধান শিক্ষক লাবনী বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়েই চলছেন।

কামরুজ্জামানের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন,আমি আমার স্বামী ও সন্তানের নিরাপত্তা চাই। ওই শিক্ষিকা যেন আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সহযোগীতা চাই। এ সময় এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাহজুবা উম্মে লাবনীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজা বলেন,আমি এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৩:৫৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মাহজুবা উম্মে লাবনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

মঙ্গলবার বিকালে বাহাগিলী ইউনিয়নের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ওই শিক্ষকের ২য় স্বামী কামরুজ্জামান সবুজ বলেন,প্রধান শিক্ষক মাহজুবা উম্মে লাবনীর সাথে গত ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর আমার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে কিছুদিন লাবনী তার স্বামীর সাথে ভাল ভাবে সংসার করলেও কিছুদিন সে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা শুরু করে ওই শিক্ষিকা। এতে আমি তাকে বাধা দিলেও সে কোনভাবে আমার কথায় কর্ণপাত না করে গোপনে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে রাতে করে বাড়ী ফিরতেন।

এ ব্যাপারে স্বামী হিসাবে তাকে বাধা নিষেধ করলে সে আমাকে মামলার ভয় দেখাতো। এক পর্যায়ে আমার নামে গত ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী করতে থাকে। মামলা করার পর ২০২১ সালের ২২ মার্চ আমি কাজীর মাধ্যমে তাকে তালাক দেই। পরে গত ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। সেই থেকে লাবনীর সাথে আর কোন বিষয়ে আমার এবং আমাদের পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। প্রধান শিক্ষক লাবনীর প্রথম স্বামীও তাকে পরকীয়া করার কারণে বাধা নিষেধ করায় তিনি তাকে তালাক দেন।

গত ২৯ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ মডেল মসজিদে ইমাম পদে চাকুরীর পরীক্ষায় নির্বাচিত হওয়ার খবর পেয়ে ওই প্রধান শিক্ষক ও কামরুজ্জামান সবুজের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী মাহজুবা উম্মে লাবনী সবুজকে স্বামী দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে উপজেলা মডেল মসজিদের নিয়োগ কমিটি কামরুজ্জামান সবুজকে বাতিল করে দেন। সেই থেকে প্রধান শিক্ষক লাবনী বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়েই চলছেন।

কামরুজ্জামানের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন,আমি আমার স্বামী ও সন্তানের নিরাপত্তা চাই। ওই শিক্ষিকা যেন আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সহযোগীতা চাই। এ সময় এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাহজুবা উম্মে লাবনীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজা বলেন,আমি এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।