ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

কামানের গোলায় নিহত ১৩ জনের বিচারে সাড়ে ৪ বছর সাক্ষ্য দেন না কেউ

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৪:২৮:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬০ Time View

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বাঙালি জাতির জীবনে একটি কালো অধ্যায়। এদিন ঘাতকরা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

একই দিন খুনিদের দিগ্বিদিক ছোড়া কামানের গোলায় নিহত হন মোহাম্মদপুরে শেরশাহ সুরী রোডের ১৩ জন। ১৭ বছর আগে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে ১৭ বছরে ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৮ জন। গত সাড়ে চার বছর কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি। যে কারণে থমকে আছে বিচার প্রক্রিয়া।

দীর্ঘদিন মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় হতাশায় বাদীর পরিবার। রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন শিগগির মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করবেন।

মোহাম্মদপুরের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে মামলা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

মামলার পর ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৭ বছর আগে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

১৭ বছরে আদালতে সাক্ষ্য দেন ১৮ জন। মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১৩ নম্বর আদালতে বিচারাধীন।

২০১৫ সালের ৭ মে মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী সাক্ষ্য দেন। এর মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সবশেষ ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলায় ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। সবশেষ গত ২১ জুন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

এদিনও কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত আগামী ১ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু জাগো নিউজকে বলেন, মোহাম্মদপুরে শেরশাহ সুরী রোডের ১৩ জন নিহতের মামলাটি শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগির মামলাটির বিচারিক কার্যাক্রম শেষ করা হবে।

এ মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যাওয়া। কিন্তু তার সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি বলে জানান স্ত্রী শাহানাজ বেগম।

তিনি বলেন, ‘দুই বছর আমার স্বামী মারা গেছেন। ওনার এ মামলার বিচার দেখে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। মামলাটির বিচার যেন দ্রুত শেষ হয় এ প্রত্যাশা আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, আমার দুই ছেলে-মেয়ে। স্বামী এ মামলার বিচারের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। নিজের যতটুকু সম্পদ ছিল সেটাও আর নেই।এখন দুই সন্তান নিয়ে নিরুপায় হয়ে জীবনযাপন করছি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণের সময় সেনা সদস্যরা কামানের গোলা ছুড়লে তা গিয়ে মোহাম্মদপুরের শেরশাহ সুরী রোডের ৮ ও ৯ এবং ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়ির (টিনশেড বস্তি) ওপর পড়ে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) ছোড়া কামানের গোলার বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তে ধুলায় মিশে যায় ওই বস্তি। ওই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১৩ জন মারা যান। প্রায় ৪০ জন আহত ব্যক্তির মধ্যে কয়েকজন সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

নিহতরা হলেন রিজিয়া বেগম ও তার ছয় মাসের মেয়ে নাসিমা, কাশেদা বেগম, ছাবেরা বেগম, সাফিয়া খাতুন, আনোয়ারা বেগম (প্রথম), ময়ফুল বিবি, আনোয়ারা বেগম (দ্বিতীয়), হাবিবুর রহমান, আবদুল্লাহ, রফিজল, সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ ও আমিন উদ্দিন আহম্মেদ।

ওই ঘটনায় ৮ নম্বর বাড়ির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।

২০০১ সালের এপ্রিলে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান। এরপর ২০০৬ সালের ১ নভেম্বর এ মামলায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

১৭ আসামি হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, তাহের উদ্দিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ (পলাতক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (পলাতক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ইবি (পলাতক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আব্দুল মাজেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী (পলাতক), মেজর রাশেদ চৌধুরী (পলাতক), মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মেজর আহম্মদ শরিফুল হোসেন ওরফে শরিফুল ইসলাম (পলাতক), ক্যাপ্টেন কিসমত হোসেন (পলাতক), ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসার (পলাতক), রিসালদার (অব.) মোসলেহ উদ্দিন (পলাতক), দফাদার মারফ আলী শাহ (পলাতক) ও এলডি মোহাম্মদ আবুল হাসেম মৃধা (পলাতক)।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) বজলুল হুদা ও মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ।

ওই পাঁচজন ছাড়া এ মামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে (প্রয়াত) গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদেরও ফাঁসি কার্যকর হয়। এছাড়া বাকি ১০ আসামি এখনো পলাতক।

Please Share This Post in Your Social Media

কামানের গোলায় নিহত ১৩ জনের বিচারে সাড়ে ৪ বছর সাক্ষ্য দেন না কেউ

Update Time : ০৪:২৮:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বাঙালি জাতির জীবনে একটি কালো অধ্যায়। এদিন ঘাতকরা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

একই দিন খুনিদের দিগ্বিদিক ছোড়া কামানের গোলায় নিহত হন মোহাম্মদপুরে শেরশাহ সুরী রোডের ১৩ জন। ১৭ বছর আগে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে ১৭ বছরে ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৮ জন। গত সাড়ে চার বছর কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি। যে কারণে থমকে আছে বিচার প্রক্রিয়া।

দীর্ঘদিন মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় হতাশায় বাদীর পরিবার। রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন শিগগির মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করবেন।

মোহাম্মদপুরের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে মামলা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

মামলার পর ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৭ বছর আগে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

১৭ বছরে আদালতে সাক্ষ্য দেন ১৮ জন। মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১৩ নম্বর আদালতে বিচারাধীন।

২০১৫ সালের ৭ মে মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী সাক্ষ্য দেন। এর মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সবশেষ ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলায় ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। সবশেষ গত ২১ জুন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

এদিনও কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত আগামী ১ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু জাগো নিউজকে বলেন, মোহাম্মদপুরে শেরশাহ সুরী রোডের ১৩ জন নিহতের মামলাটি শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগির মামলাটির বিচারিক কার্যাক্রম শেষ করা হবে।

এ মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যাওয়া। কিন্তু তার সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি বলে জানান স্ত্রী শাহানাজ বেগম।

তিনি বলেন, ‘দুই বছর আমার স্বামী মারা গেছেন। ওনার এ মামলার বিচার দেখে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। মামলাটির বিচার যেন দ্রুত শেষ হয় এ প্রত্যাশা আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, আমার দুই ছেলে-মেয়ে। স্বামী এ মামলার বিচারের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। নিজের যতটুকু সম্পদ ছিল সেটাও আর নেই।এখন দুই সন্তান নিয়ে নিরুপায় হয়ে জীবনযাপন করছি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণের সময় সেনা সদস্যরা কামানের গোলা ছুড়লে তা গিয়ে মোহাম্মদপুরের শেরশাহ সুরী রোডের ৮ ও ৯ এবং ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়ির (টিনশেড বস্তি) ওপর পড়ে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) ছোড়া কামানের গোলার বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তে ধুলায় মিশে যায় ওই বস্তি। ওই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১৩ জন মারা যান। প্রায় ৪০ জন আহত ব্যক্তির মধ্যে কয়েকজন সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

নিহতরা হলেন রিজিয়া বেগম ও তার ছয় মাসের মেয়ে নাসিমা, কাশেদা বেগম, ছাবেরা বেগম, সাফিয়া খাতুন, আনোয়ারা বেগম (প্রথম), ময়ফুল বিবি, আনোয়ারা বেগম (দ্বিতীয়), হাবিবুর রহমান, আবদুল্লাহ, রফিজল, সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ ও আমিন উদ্দিন আহম্মেদ।

ওই ঘটনায় ৮ নম্বর বাড়ির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।

২০০১ সালের এপ্রিলে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান। এরপর ২০০৬ সালের ১ নভেম্বর এ মামলায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

১৭ আসামি হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, তাহের উদ্দিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ (পলাতক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (পলাতক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ইবি (পলাতক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আব্দুল মাজেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী (পলাতক), মেজর রাশেদ চৌধুরী (পলাতক), মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মেজর আহম্মদ শরিফুল হোসেন ওরফে শরিফুল ইসলাম (পলাতক), ক্যাপ্টেন কিসমত হোসেন (পলাতক), ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসার (পলাতক), রিসালদার (অব.) মোসলেহ উদ্দিন (পলাতক), দফাদার মারফ আলী শাহ (পলাতক) ও এলডি মোহাম্মদ আবুল হাসেম মৃধা (পলাতক)।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) বজলুল হুদা ও মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ।

ওই পাঁচজন ছাড়া এ মামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে (প্রয়াত) গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদেরও ফাঁসি কার্যকর হয়। এছাড়া বাকি ১০ আসামি এখনো পলাতক।