ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

ওয়েব টেলিস্কোপের নতুন ছবি প্রকাশ করলো নাসা

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৬৪ Time View

দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করার এক বছর পর নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে নতুন ছবি প্রকাশ করেছে। টেলিস্কোপটি ৩৯০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত পৃথিবীর নিকটতম তারকা-গঠন অঞ্চলের একটি অত্যাশ্চর্য নতুন চিত্র ধারণ করেছে।

জেমস ওয়েব কক্ষপথের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এর ধারণ করা প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি ২০২২ সালের মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উন্মোচন করেন। এটি ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের আদি মহাবিশ্বের এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে পরিষ্কার দৃশ্য। পরবর্তী ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যারিনা নেবুলা নামক মহাকাশের একটি অঞ্চলে ‘পর্বত’ এবং ‘উপত্যকা’ সদৃশ্য নতুন তারকা-গঠনকারী অঞ্চলের ছবি, যাকে কসমিক ক্লিফস বা জায়ান্ট গ্যাসীয় মন্ডল বলা হয় এবং একটি মহাজাগতিক বৃত্তে আবদ্ধ পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল, যাকে বলা হয় স্তেফানের কুইন্টেট।

পেগাসাস নক্ষত্রমন্ডলে এই গ্যালাক্সি জোটের অবস্থান। এটি প্রথম ১৮৭৭ সালে এদোয়ার্দস্তেফান আবিষ্কার করেন। ইস্টার্ন টাইম সকাল ৬:০০ টায় (১০০০জিএমটি) নাসার ওয়েবসাইটে এগুলো দেখা যাবে। ওয়েব টেলিস্কোপে ২১ ফুট (৬.৫ মিটার) এরও বেশি পরিমাপের একটি প্রাইমারি মিরর রয়েছে, যা ১৮টি ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত অংশ একত্র করে তৈরি করা হয়েছে। এর পূর্বসূরি হাবলের বিপরীতে, এটি প্রাথমিকভাবে ইনফ্রারেড বর্ণালিতে কাজ করে। এটিকে সময়ের শুরুতে আরো কাছাকাছি ফিরে তাকানোর সুযোগ দেয় এবং ধূলিকণার মেঘগুলোকে আরো ভালোভাবে প্রবেশ করতে দেয় যেখানে তারা এবং গ্রহের সিস্টেমগুলো এখনো তৈরি হচ্ছে। মূল আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিগ ব্যাং-এর কয়েক শ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত প্রথমদিকের কিছু ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড খুঁজে পাওয়া এবং আমাদের সৌর জগতের বৃহস্পতি গ্রহের অত্যাশ্চর্য নতুন দৃশ্য। জ্যোতির্বিদ্যার একটি নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ বছরের দীর্ঘ মিশনের জন্য ওয়েবের যথেষ্ট জ্বালানি রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ওয়েব টেলিস্কোপের নতুন ছবি প্রকাশ করলো নাসা

Update Time : ১১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করার এক বছর পর নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে নতুন ছবি প্রকাশ করেছে। টেলিস্কোপটি ৩৯০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত পৃথিবীর নিকটতম তারকা-গঠন অঞ্চলের একটি অত্যাশ্চর্য নতুন চিত্র ধারণ করেছে।

জেমস ওয়েব কক্ষপথের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এর ধারণ করা প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি ২০২২ সালের মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উন্মোচন করেন। এটি ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের আদি মহাবিশ্বের এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে পরিষ্কার দৃশ্য। পরবর্তী ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যারিনা নেবুলা নামক মহাকাশের একটি অঞ্চলে ‘পর্বত’ এবং ‘উপত্যকা’ সদৃশ্য নতুন তারকা-গঠনকারী অঞ্চলের ছবি, যাকে কসমিক ক্লিফস বা জায়ান্ট গ্যাসীয় মন্ডল বলা হয় এবং একটি মহাজাগতিক বৃত্তে আবদ্ধ পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল, যাকে বলা হয় স্তেফানের কুইন্টেট।

পেগাসাস নক্ষত্রমন্ডলে এই গ্যালাক্সি জোটের অবস্থান। এটি প্রথম ১৮৭৭ সালে এদোয়ার্দস্তেফান আবিষ্কার করেন। ইস্টার্ন টাইম সকাল ৬:০০ টায় (১০০০জিএমটি) নাসার ওয়েবসাইটে এগুলো দেখা যাবে। ওয়েব টেলিস্কোপে ২১ ফুট (৬.৫ মিটার) এরও বেশি পরিমাপের একটি প্রাইমারি মিরর রয়েছে, যা ১৮টি ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত অংশ একত্র করে তৈরি করা হয়েছে। এর পূর্বসূরি হাবলের বিপরীতে, এটি প্রাথমিকভাবে ইনফ্রারেড বর্ণালিতে কাজ করে। এটিকে সময়ের শুরুতে আরো কাছাকাছি ফিরে তাকানোর সুযোগ দেয় এবং ধূলিকণার মেঘগুলোকে আরো ভালোভাবে প্রবেশ করতে দেয় যেখানে তারা এবং গ্রহের সিস্টেমগুলো এখনো তৈরি হচ্ছে। মূল আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিগ ব্যাং-এর কয়েক শ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত প্রথমদিকের কিছু ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড খুঁজে পাওয়া এবং আমাদের সৌর জগতের বৃহস্পতি গ্রহের অত্যাশ্চর্য নতুন দৃশ্য। জ্যোতির্বিদ্যার একটি নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ বছরের দীর্ঘ মিশনের জন্য ওয়েবের যথেষ্ট জ্বালানি রয়েছে।