ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

এমটিএফই করেছে গ্রাহক প্রতারণা, নিঃস্ব করেছে জনগনকে কথিত সিইও সিন্ডিকেট

আব্দুস সবুর
  • Update Time : ০৪:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৬৯৮ Time View

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ফিলিপনগর ইউনিয়নের স্থানীয়দের মধ্যে চলছে নানান মন্তব্য,নানান গুন্জন, আত্মহত্যার ঝুকিতে স্থানীয় নারী ও পুরুষ! লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে নিঃস্ব করেছে স্থানীয়দের। শর্ত দিয়েছিলো সমস্যা হলে ইনভেষ্ট ফিরত দেবে সিইও সিন্ডিকেট।

তথ্যানুযায়ী একাধিক ব্যক্তি বলেছেন,এই নদীভাঙ্গন শিক্ষিত এলাকার ফ্রেশ মানসিকতার রুপধারী আমেরিকা প্রবাসী ফিরোজ ইকবাল দুখু সর্বপ্রথম ফিলিপনগর এলাকাতে নিয়ে আসেন এই এমটিএফই সিস্টেম-প্রতারনা ডেসটিনি পলিসি,সাথে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন,স্থানীয়দের মধ্যে গোপন ভাবে আই ওয়াশ করে সমাজের শিক্ষিত ব্যাক্তিদের টার্গেট করেছিলো।

স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে ফিরোজ ইকবাল দুখু আমেরিকা প্রবাসী,তার ভাই ফয়জুল্লাহ পেশা শিক্ষকতা,রশিদ মাস্টার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক,আরিফ এলাকার বড় বংশের জামাই ক্লিন ইমেজের ছেলে,মামুন মেম্বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,কামরুল স্থানীয় সুদ ব্যবসায়ী,সুমন ও শিরন স্বচ্ছ ইমেজের ছেলে,এরা সহ আরো অনেককেই ঢাল করে সিইও হয়ে ফিরোজ ইকবাল দুঃখুর প্ররোচনায়,সাধারন জনগনকে সমস্যা হলে অর্থ ফেরত দেবার প্রতিশ্রুতিতে স্থানীয়দের এই এমটিএফই সদস্যপদ প্রদান করায় এই সিইও সিন্ডিকেট।স্থানীয় বেশ কিছু নামধারী পরিচিত সুদ কারবারিরা ফাঁকা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়ে MTFE(এমটিএফই)এর সদস্য হবার জন্য কনভেন্স করা ব্যাক্তিদের চওড়া সুদে টাকা প্রদান করে MTFE তে নতুন যোগদান করিয়েছেন সদস্যদের।

এজেন্ট হয়েছিলেন উল্লেখিত আমেরিকা প্রবাসী, সমাজের আই ওয়াশ সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত ব্যাক্তি ও তার পরিচালনার বেশ কিছু ব্যাক্তিসহ তার আপন ভাই ফায়জুল্লা,লুফিয়ে নিয়েছেন লক্ষ-লক্ষ,কোটি-কোটি টাকা তাদের ব্যাক্তিস্বার্থ।তথ্য নিয়ে আরো পাওয়া যায়,এতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নেইকোনো অনুমোদন,নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স,নেই কোনো রাষ্ট্রের রাজস্ব,পাচার হয়েছে দেশী অর্থ বিদেশে,যাহা মানিলন্ডারিং সিস্টেমে পড়ে।

কেউ বলছেন,ভাগ্য বদলের আলাদ্দীনের চেরাগ। এসব সমীক্ষা,গাণিতিক নিরীক্ষা যে প্রোগ্রামিং করা তা খালি চোখে দেখা যাবে না।শুভংকরের ফাঁকি বুঝতে চাইছেন না কেউ,কারন এলাকার ফ্রেশ মানসিকতার রুপধারী একজন আই ওয়াশ বিশ্বাসযোগ্য তাই জনগনের এ সরল বিশ্বাসকে  পুজি করে মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য সদস্য করেছেন অত্র ফিলিপ নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন নামী-দামি স্কুলের শিক্ষক,সমাজ-সেবক ও সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তিবর্গদের,তবে সেটা ব্রেন ওয়াশ করে।

এই সিন্ডিকেটের সি-ই-ও এবং স্বত্বাধিকারী দাবী করা সেই আমেরিকা প্রবাসীর গড়ে তোলা সিন্ডিকেট সদস্যদের নিয়ে প্রচারে নেমেছিলেন বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্ট ও হল রুম ভাড়া করে হাত বদলের টাকায় করেছেন মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম।আর এই মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে সহায়-সম্বল বিক্রি করে এই অ্যাপস্ এ বিনিয়োগ করছেন অনেকেই।বাড়ছে নতুন গ্রাহক,বাড়ছে টাকার অংক।কিন্তুু সর্বকিছু রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে।কোন কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই ডলার।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত অ্যাপ টির কোন  নিয়ন্ত্রণ গ্রাহকের হাতে নাই।গ্রাহকের হাতে শুধু আইডির পাসওয়ার্ড। যা কাকতালীয় ও পরিকল্পিত।এই MTFE উধাও হয়ে নিঃস্ব হয়েছে লাখ লাখ মানুষ,বেড়েছে হতাশার মাধ্যমে আত্ম হত্যার প্রবণতা গুন্জন,বদনাম হতে চলেছে দেশ জাতি ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে।

কথিত সিইও সিন্ডিকেট সদস্য রসিদ মাষ্টারের বিষয়ে অভিযোগ প্রতারিত গ্রাহকদের,রসিদ মাষ্টার টাকা ফেরত দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক সাধারন ব্যাক্তিকে এমটিএফই সদস্য হতে প্ররোচনা করেছেন এ কথা রসিদ মাষ্টারের মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-আমি নিজে করেছি,কাউকে স্ট্যাম্পে সাক্ষর বা সদস্য হতে প্রতিশ্রুতি দেবার কথা ভিত্তিহীন।

তিনি আরো বলেন,আমি নিজেই অনেক টাকা ধরা খেয়েছি,সিইও কে জানানো হয়েছে সিদ্ধান্ত পাইনি।গ্রাহক প্রতারিত ও কথিত সিইও সিন্ডিকেট সম্পর্কে ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমাদের হাইস্কুলে বাজারের বাসিন্দা খাদেম ফলিপির ছেলে ফিরোজ ইকবাল দুখুর নেতৃত্বে এলাকার বহুত টাকা সে আত্মসাৎ করেছে,অভিযোগ আছে আমার কাছে কয়েকজনের টাকা ফিরতে দিতে চেয়েছে দুখু,তবে ফিরোজ ইকবাল দুখু টাকা ফিরত দিবে মর্মে চেয়ারম্যানের কাছে সময় চেয়েছে এ কথা জানায় সেন্টু চেয়ারম্যান।

Please Share This Post in Your Social Media

এমটিএফই করেছে গ্রাহক প্রতারণা, নিঃস্ব করেছে জনগনকে কথিত সিইও সিন্ডিকেট

Update Time : ০৪:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ফিলিপনগর ইউনিয়নের স্থানীয়দের মধ্যে চলছে নানান মন্তব্য,নানান গুন্জন, আত্মহত্যার ঝুকিতে স্থানীয় নারী ও পুরুষ! লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে নিঃস্ব করেছে স্থানীয়দের। শর্ত দিয়েছিলো সমস্যা হলে ইনভেষ্ট ফিরত দেবে সিইও সিন্ডিকেট।

তথ্যানুযায়ী একাধিক ব্যক্তি বলেছেন,এই নদীভাঙ্গন শিক্ষিত এলাকার ফ্রেশ মানসিকতার রুপধারী আমেরিকা প্রবাসী ফিরোজ ইকবাল দুখু সর্বপ্রথম ফিলিপনগর এলাকাতে নিয়ে আসেন এই এমটিএফই সিস্টেম-প্রতারনা ডেসটিনি পলিসি,সাথে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন,স্থানীয়দের মধ্যে গোপন ভাবে আই ওয়াশ করে সমাজের শিক্ষিত ব্যাক্তিদের টার্গেট করেছিলো।

স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে ফিরোজ ইকবাল দুখু আমেরিকা প্রবাসী,তার ভাই ফয়জুল্লাহ পেশা শিক্ষকতা,রশিদ মাস্টার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক,আরিফ এলাকার বড় বংশের জামাই ক্লিন ইমেজের ছেলে,মামুন মেম্বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,কামরুল স্থানীয় সুদ ব্যবসায়ী,সুমন ও শিরন স্বচ্ছ ইমেজের ছেলে,এরা সহ আরো অনেককেই ঢাল করে সিইও হয়ে ফিরোজ ইকবাল দুঃখুর প্ররোচনায়,সাধারন জনগনকে সমস্যা হলে অর্থ ফেরত দেবার প্রতিশ্রুতিতে স্থানীয়দের এই এমটিএফই সদস্যপদ প্রদান করায় এই সিইও সিন্ডিকেট।স্থানীয় বেশ কিছু নামধারী পরিচিত সুদ কারবারিরা ফাঁকা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়ে MTFE(এমটিএফই)এর সদস্য হবার জন্য কনভেন্স করা ব্যাক্তিদের চওড়া সুদে টাকা প্রদান করে MTFE তে নতুন যোগদান করিয়েছেন সদস্যদের।

এজেন্ট হয়েছিলেন উল্লেখিত আমেরিকা প্রবাসী, সমাজের আই ওয়াশ সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত ব্যাক্তি ও তার পরিচালনার বেশ কিছু ব্যাক্তিসহ তার আপন ভাই ফায়জুল্লা,লুফিয়ে নিয়েছেন লক্ষ-লক্ষ,কোটি-কোটি টাকা তাদের ব্যাক্তিস্বার্থ।তথ্য নিয়ে আরো পাওয়া যায়,এতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নেইকোনো অনুমোদন,নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স,নেই কোনো রাষ্ট্রের রাজস্ব,পাচার হয়েছে দেশী অর্থ বিদেশে,যাহা মানিলন্ডারিং সিস্টেমে পড়ে।

কেউ বলছেন,ভাগ্য বদলের আলাদ্দীনের চেরাগ। এসব সমীক্ষা,গাণিতিক নিরীক্ষা যে প্রোগ্রামিং করা তা খালি চোখে দেখা যাবে না।শুভংকরের ফাঁকি বুঝতে চাইছেন না কেউ,কারন এলাকার ফ্রেশ মানসিকতার রুপধারী একজন আই ওয়াশ বিশ্বাসযোগ্য তাই জনগনের এ সরল বিশ্বাসকে  পুজি করে মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য সদস্য করেছেন অত্র ফিলিপ নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন নামী-দামি স্কুলের শিক্ষক,সমাজ-সেবক ও সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তিবর্গদের,তবে সেটা ব্রেন ওয়াশ করে।

এই সিন্ডিকেটের সি-ই-ও এবং স্বত্বাধিকারী দাবী করা সেই আমেরিকা প্রবাসীর গড়ে তোলা সিন্ডিকেট সদস্যদের নিয়ে প্রচারে নেমেছিলেন বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্ট ও হল রুম ভাড়া করে হাত বদলের টাকায় করেছেন মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম।আর এই মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে সহায়-সম্বল বিক্রি করে এই অ্যাপস্ এ বিনিয়োগ করছেন অনেকেই।বাড়ছে নতুন গ্রাহক,বাড়ছে টাকার অংক।কিন্তুু সর্বকিছু রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে।কোন কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই ডলার।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত অ্যাপ টির কোন  নিয়ন্ত্রণ গ্রাহকের হাতে নাই।গ্রাহকের হাতে শুধু আইডির পাসওয়ার্ড। যা কাকতালীয় ও পরিকল্পিত।এই MTFE উধাও হয়ে নিঃস্ব হয়েছে লাখ লাখ মানুষ,বেড়েছে হতাশার মাধ্যমে আত্ম হত্যার প্রবণতা গুন্জন,বদনাম হতে চলেছে দেশ জাতি ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে।

কথিত সিইও সিন্ডিকেট সদস্য রসিদ মাষ্টারের বিষয়ে অভিযোগ প্রতারিত গ্রাহকদের,রসিদ মাষ্টার টাকা ফেরত দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক সাধারন ব্যাক্তিকে এমটিএফই সদস্য হতে প্ররোচনা করেছেন এ কথা রসিদ মাষ্টারের মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-আমি নিজে করেছি,কাউকে স্ট্যাম্পে সাক্ষর বা সদস্য হতে প্রতিশ্রুতি দেবার কথা ভিত্তিহীন।

তিনি আরো বলেন,আমি নিজেই অনেক টাকা ধরা খেয়েছি,সিইও কে জানানো হয়েছে সিদ্ধান্ত পাইনি।গ্রাহক প্রতারিত ও কথিত সিইও সিন্ডিকেট সম্পর্কে ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমাদের হাইস্কুলে বাজারের বাসিন্দা খাদেম ফলিপির ছেলে ফিরোজ ইকবাল দুখুর নেতৃত্বে এলাকার বহুত টাকা সে আত্মসাৎ করেছে,অভিযোগ আছে আমার কাছে কয়েকজনের টাকা ফিরতে দিতে চেয়েছে দুখু,তবে ফিরোজ ইকবাল দুখু টাকা ফিরত দিবে মর্মে চেয়ারম্যানের কাছে সময় চেয়েছে এ কথা জানায় সেন্টু চেয়ারম্যান।