ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

এবার মদের দোকান খুলছে সৌদি

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৩৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩ Time View

প্রথমবারের মতো মদের দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। রাজধানী রিয়াদে শুধু দেশের অমুসলিম কূটনীতিকদের জন্য এই দোকান খোলা হবে। এ সংক্রান্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

একটি নথি এবং মদের দোকান স্থাপনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নতুন এই মদের দোকানটি রিয়াদের কূটনৈতিক কোয়ার্টারে অবস্থিত । মূলত এই অঞ্চলটিতেই দূতাবাস এবং কূটনীতিকরা বসবাস করেন। সূত্র জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দোকান খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।

রয়টার্সের হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, অমুসলিমদের জন্য মদ ক্রয় ‘কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ’ থাকবে। মদ পেতে হলে প্রথমে গ্রাহকদের একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি ক্লিয়ারেন্স কোড পেলে গ্রাহকরা প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ কিনতে পারবেন । তবে অন্য অমুসলিম প্রবাসীরা এই দোকানে প্রবেশাধিকার পাবে কি না তা নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ নেই।

পর্যটন ও অন্যান্য ব্যবসা খাতকে সমৃদ্ধ করতে মদের দোকান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এছাড়া এটি মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন-২০৩০ এরও একটি অংশ। তাঁর ইচ্ছা ২০৩০ সালের পর সৌদির অর্থনীতিকে তেল বাণিজ্যের প্রভাব থেকে মুক্ত করবেন।

সৌদি আরবে এখন কিছু ‘হালাল বার’ আছে, যেখানে ‘অ্যালকোহলমুক্ত’ পানীয় পাওয়া যায়। তবে এবার ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম মদের দোকান খোলা হচ্ছে, যার ক্রেতা হবেন কেবল বিদেশি অমুসলিম কূটনীতিকরা।

বিবিসি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানীর রিয়াদের কেন্দ্রস্থলের কাছে কূটনীতিক পাড়ায় হবে এই অ্যালকোহল শপ। সেজন্য আইন সংশোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি সরকার।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, বাদশাহ আবদুল আজিজের ছেলে মিশারি বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ গুলি করে এক ব্রিটিশ কূটনীতিককে মেরে ফেলার পর ১৯৫২ সালে আইন করে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব। সে কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের গলা ভেজানোর জন্য এতদিন বিশেষ কূটনৈতিক সুবিধার সুযোগ নিতে হত।

একটি দেশ অন্য দেশে তার দূতাবাসে গোপনীয় নথি থেকে শুরু করে জরুরি সামগ্রী পাঠানোর জন্য ব্যবহার করে বিশেষভাবে সিল করা প্যাকেজ, যাকে বলে ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাউচ’। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, বিমানবন্দর বা কোনো জায়গায় রাষ্ট্রীয় সিলমোহরযুক্ত এসব প্যাকেজ খোলা বা পরীক্ষা করার সুযোগ নেই। সৌদি আরবে অ্যালকোহল আমদানি নিষিদ্ধ হলেও ওই ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাউচে’ করে এতদিন ঠিকই মদ ঢুকত বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য। সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, মদের অবৈধ কারবার বন্ধের জন্যই রিয়াদে এত বছর পর অ্যালকোহল বিক্রির দোকান খোলা হচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রিয়াদে ওই মদের দোকান চালু হতে পারে। তবে সেটা চালানো হবে কঠোর নিয়মের মধ্যে। বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে যারা ওই পানশালার ক্রেতা হতে চান, তাদের আগে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি সরকার অনুমতি দিলে তবেই তার নিবন্ধন কার্যকর হবে। কূটনৈতিক সুবিধা পান না, এমন বিদেশিরা নিবন্ধন করতে পারবেন না।

অবশ্য ২১ বছরের কম বয়সী কেউ ওই দোকানে ঢোকার সুযোগ পাবে না। ভেতরে মেনে চলতে হবে ‘পোশাক বিধি’। ড্রাইভার বা অন্য কাউকে পাঠিয়ে সেখান থেকে মদ কেনা যাবে না। অর্থাৎ, যার নামে নিবন্ধন, তাকেই সশরীরে যেতে হবে। একজন কতটুকু মদ কিনতে পারবেন, তার মাসিক কোটাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। একজন ক্রেতার জন্য মাসে বরাদ্দ থাকবে সব মিলিয়ে ২৪০ পয়েন্ট। প্রতি লিটার বিয়ারে এক পয়েন্ট, প্রতি লিটার ওয়াইনে তিন পয়েন্ট এবং প্রতি লিটার লিকারে ছয় পয়েন্ট কাটা হবে।

সব নিয়ম মেনে সুরা পানের সুযোগ পেলেও এটা মাথায় রাখতে হবে যে, জায়গাটা সৌদি আরব এবং মদপানের পর আচার আচরণে কোনো বেচাল হওয়া চলবে না।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের বর্তমান আইনে মদ পান করলে কিংবা নিজের কাছে রাখলে শাস্তি হিসেবে জেল-জরিমানা থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে দোররা মারা এমনকি নিজের দেশে ফেরত পাঠানোও হতে পারে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় সৌদি আরবকে বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এবার কূটনীতিকদের জন্য পানশালা খোলার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লষ্টরা।

পর্যটন ও অন্যান্য ব্যবসা খাতকে সমৃদ্ধ করতে মদের দোকান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এছাড়া এটি মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন-২০৩০ এরও একটি অংশ। তাঁর ইচ্ছা ২০৩০ সালের পর সৌদির অর্থনীতিকে তেল বাণিজ্যের প্রভাব থেকে মুক্ত করবেন।

সৌদি আরবে মদ্যপানের বিরুদ্ধে কিছু কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে মদ পান করলে শত শত বেত্রাঘাত, নির্বাসন, জরিমানা বা কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। তবে সৌদিতে কূটনৈতিক মাধ্যম ও কালোবাজারে মদ পাওয়া যায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদির কঠোর সামাজিক বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করেছে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এরমধ্যে রয়েছে দেশকে অধর্মীয় পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করা, কনসার্ট ও নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া।

Please Share This Post in Your Social Media

এবার মদের দোকান খুলছে সৌদি

Update Time : ১২:৩৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

প্রথমবারের মতো মদের দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। রাজধানী রিয়াদে শুধু দেশের অমুসলিম কূটনীতিকদের জন্য এই দোকান খোলা হবে। এ সংক্রান্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

একটি নথি এবং মদের দোকান স্থাপনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নতুন এই মদের দোকানটি রিয়াদের কূটনৈতিক কোয়ার্টারে অবস্থিত । মূলত এই অঞ্চলটিতেই দূতাবাস এবং কূটনীতিকরা বসবাস করেন। সূত্র জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দোকান খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।

রয়টার্সের হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, অমুসলিমদের জন্য মদ ক্রয় ‘কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ’ থাকবে। মদ পেতে হলে প্রথমে গ্রাহকদের একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি ক্লিয়ারেন্স কোড পেলে গ্রাহকরা প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ কিনতে পারবেন । তবে অন্য অমুসলিম প্রবাসীরা এই দোকানে প্রবেশাধিকার পাবে কি না তা নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ নেই।

পর্যটন ও অন্যান্য ব্যবসা খাতকে সমৃদ্ধ করতে মদের দোকান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এছাড়া এটি মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন-২০৩০ এরও একটি অংশ। তাঁর ইচ্ছা ২০৩০ সালের পর সৌদির অর্থনীতিকে তেল বাণিজ্যের প্রভাব থেকে মুক্ত করবেন।

সৌদি আরবে এখন কিছু ‘হালাল বার’ আছে, যেখানে ‘অ্যালকোহলমুক্ত’ পানীয় পাওয়া যায়। তবে এবার ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম মদের দোকান খোলা হচ্ছে, যার ক্রেতা হবেন কেবল বিদেশি অমুসলিম কূটনীতিকরা।

বিবিসি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানীর রিয়াদের কেন্দ্রস্থলের কাছে কূটনীতিক পাড়ায় হবে এই অ্যালকোহল শপ। সেজন্য আইন সংশোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি সরকার।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, বাদশাহ আবদুল আজিজের ছেলে মিশারি বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ গুলি করে এক ব্রিটিশ কূটনীতিককে মেরে ফেলার পর ১৯৫২ সালে আইন করে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব। সে কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের গলা ভেজানোর জন্য এতদিন বিশেষ কূটনৈতিক সুবিধার সুযোগ নিতে হত।

একটি দেশ অন্য দেশে তার দূতাবাসে গোপনীয় নথি থেকে শুরু করে জরুরি সামগ্রী পাঠানোর জন্য ব্যবহার করে বিশেষভাবে সিল করা প্যাকেজ, যাকে বলে ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাউচ’। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, বিমানবন্দর বা কোনো জায়গায় রাষ্ট্রীয় সিলমোহরযুক্ত এসব প্যাকেজ খোলা বা পরীক্ষা করার সুযোগ নেই। সৌদি আরবে অ্যালকোহল আমদানি নিষিদ্ধ হলেও ওই ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাউচে’ করে এতদিন ঠিকই মদ ঢুকত বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য। সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, মদের অবৈধ কারবার বন্ধের জন্যই রিয়াদে এত বছর পর অ্যালকোহল বিক্রির দোকান খোলা হচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রিয়াদে ওই মদের দোকান চালু হতে পারে। তবে সেটা চালানো হবে কঠোর নিয়মের মধ্যে। বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে যারা ওই পানশালার ক্রেতা হতে চান, তাদের আগে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি সরকার অনুমতি দিলে তবেই তার নিবন্ধন কার্যকর হবে। কূটনৈতিক সুবিধা পান না, এমন বিদেশিরা নিবন্ধন করতে পারবেন না।

অবশ্য ২১ বছরের কম বয়সী কেউ ওই দোকানে ঢোকার সুযোগ পাবে না। ভেতরে মেনে চলতে হবে ‘পোশাক বিধি’। ড্রাইভার বা অন্য কাউকে পাঠিয়ে সেখান থেকে মদ কেনা যাবে না। অর্থাৎ, যার নামে নিবন্ধন, তাকেই সশরীরে যেতে হবে। একজন কতটুকু মদ কিনতে পারবেন, তার মাসিক কোটাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। একজন ক্রেতার জন্য মাসে বরাদ্দ থাকবে সব মিলিয়ে ২৪০ পয়েন্ট। প্রতি লিটার বিয়ারে এক পয়েন্ট, প্রতি লিটার ওয়াইনে তিন পয়েন্ট এবং প্রতি লিটার লিকারে ছয় পয়েন্ট কাটা হবে।

সব নিয়ম মেনে সুরা পানের সুযোগ পেলেও এটা মাথায় রাখতে হবে যে, জায়গাটা সৌদি আরব এবং মদপানের পর আচার আচরণে কোনো বেচাল হওয়া চলবে না।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের বর্তমান আইনে মদ পান করলে কিংবা নিজের কাছে রাখলে শাস্তি হিসেবে জেল-জরিমানা থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে দোররা মারা এমনকি নিজের দেশে ফেরত পাঠানোও হতে পারে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় সৌদি আরবকে বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এবার কূটনীতিকদের জন্য পানশালা খোলার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লষ্টরা।

পর্যটন ও অন্যান্য ব্যবসা খাতকে সমৃদ্ধ করতে মদের দোকান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এছাড়া এটি মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন-২০৩০ এরও একটি অংশ। তাঁর ইচ্ছা ২০৩০ সালের পর সৌদির অর্থনীতিকে তেল বাণিজ্যের প্রভাব থেকে মুক্ত করবেন।

সৌদি আরবে মদ্যপানের বিরুদ্ধে কিছু কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে মদ পান করলে শত শত বেত্রাঘাত, নির্বাসন, জরিমানা বা কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। তবে সৌদিতে কূটনৈতিক মাধ্যম ও কালোবাজারে মদ পাওয়া যায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদির কঠোর সামাজিক বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করেছে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এরমধ্যে রয়েছে দেশকে অধর্মীয় পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করা, কনসার্ট ও নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া।