ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার দাবি ঢাবি ছাত্রদলের

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:২৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৯৪ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেড়ধক পেটানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

রোববার(১০ সেপ্টেম্বর) ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

ছাত্রদলের বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের মতো একটি পুরনো ছাত্রসংগঠনের এমন অমর্যাদাকর অবস্থানের কারণে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নিন্দা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনসহ অতীতের সকল পুলিশি নির্যাতনের দায়ে এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ বছর ধরে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ সারাদেশের ক্যাম্পসগুলোয় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছে। তারা ছাত্রদলসহ সকল বিরোধী ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রদের নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। নির্যাতিত, মুমূর্ষু ছাত্রদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশ তাদের গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে আবার নির্যাতন করেছে। বিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় বুনো উল্লাস করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ বাহিনী যখন ভোটডাকাতির দায়িত্ব নিয়েছে, তখন রাজনীতি ছেড়ে ছাত্রলীগ নেতারা টেন্ডারবাণিজ্য প্রশ্নফাঁস এবং চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত হয়েছে।

এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ তাদের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরেও ছাত্রলীগের কেউ কোনো প্রতিবাদ জানাতে সক্ষম হয়নি। এতেই বুঝা যায়, ছাত্রলীগ এখন নীতি-আদর্শহীন একটি দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার ভয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্রলীগ তটস্থ। উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ করার পরও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ন্যূনতম সাহস ছাত্রলীগ নেতারা দেখাতে পারেনি।

পুলিশের সাথে মিলেমিশে পুলিশি রাষ্ট্রে তারা যে মাৎস্যন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে তাতে তাদেরও বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই বলেও উল্লেখ করা হয় এ বিবৃতিতে৷

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেড়ধক পিটিয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।

Please Share This Post in Your Social Media

এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার দাবি ঢাবি ছাত্রদলের

Update Time : ০৭:২৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেড়ধক পেটানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

রোববার(১০ সেপ্টেম্বর) ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

ছাত্রদলের বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের মতো একটি পুরনো ছাত্রসংগঠনের এমন অমর্যাদাকর অবস্থানের কারণে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নিন্দা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনসহ অতীতের সকল পুলিশি নির্যাতনের দায়ে এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ বছর ধরে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ সারাদেশের ক্যাম্পসগুলোয় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছে। তারা ছাত্রদলসহ সকল বিরোধী ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রদের নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। নির্যাতিত, মুমূর্ষু ছাত্রদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশ তাদের গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে আবার নির্যাতন করেছে। বিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় বুনো উল্লাস করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ বাহিনী যখন ভোটডাকাতির দায়িত্ব নিয়েছে, তখন রাজনীতি ছেড়ে ছাত্রলীগ নেতারা টেন্ডারবাণিজ্য প্রশ্নফাঁস এবং চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত হয়েছে।

এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ তাদের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরেও ছাত্রলীগের কেউ কোনো প্রতিবাদ জানাতে সক্ষম হয়নি। এতেই বুঝা যায়, ছাত্রলীগ এখন নীতি-আদর্শহীন একটি দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার ভয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্রলীগ তটস্থ। উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ করার পরও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ন্যূনতম সাহস ছাত্রলীগ নেতারা দেখাতে পারেনি।

পুলিশের সাথে মিলেমিশে পুলিশি রাষ্ট্রে তারা যে মাৎস্যন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে তাতে তাদেরও বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই বলেও উল্লেখ করা হয় এ বিবৃতিতে৷

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেড়ধক পিটিয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।