ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাঁধা

আকতার হোসেন
  • Update Time : ০৭:১৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • / ১৩৬ Time View

বিকারগ্রস্ত সিইসিকে দ্রুত বিদায় নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং ৫দফা প্রস্তাব ৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্লজ্জ অথর্ব সিইসিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে একজন প্রার্থীর উপর দফায় দফায় হামলার নজির ইতিহাসে বিরল। কিন্তু বরিশালে আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসীরা একজন বরেণ্য আলেম মেয়রপ্রার্থীর রক্ত ঝরিয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কিন্তু হামলায় এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও দলের দস্যুদের গ্রেফতার করতে না পারা রহস্যজনক। তিনি নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের ৫দফা প্রস্তাব ৮ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বর্বরোচিত হামলা, বরিশাল, খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ধারা অব্যাহত রাখার প্রতিবাদ এবং বিকারগ্রস্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও অথর্ব নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে অনুষ্ঠিত বিশাল গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জমায়েতে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিযাম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।

জমায়েত শেষে বেলা ১২টায় দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে একটি বিশাল গণমিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শান্তিরনগর চৌরাস্তায় পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে পূর্ব থেকেই কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলের গতি রোধ করে। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়।

এ সময় পীর সাহেব চরমোনাই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রশাসন বাঁধা দিয়েছে অন্যায় করেছে। তিনি মিছিলে বাধাদানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জনতার তীব্র স্রোতে বাধা দিলে, স্রোতের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তেমনি আমাদের মিছিলে বাধা দেয়ায় জনতার রুদ্ররোষ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রশাসন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়ে সরকারের একতরফা দালালী করলে তার ফল ভাল হয় না।

পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, বর্তমান সিইসি একজন বিকারগ্রস্ত। সিইসি পদত্যাগ না করলে প্রয়োজনে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। ঘটনার পর সাংবাদিকগণের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন অবিবেচক উন্মাদের মতো মুফতি ফয়জুল করীমের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছেন।

তিনি সাংবাদিকদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন,‘তিনি (মুফতি ফয়জুল করীম) কি ইন্তেকাল করেছেন?’ একজন মানুষ কোন পর্যায়ের বিবেক বর্জিত হলে দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তির ব্যাপারে এ জাতীয় বক্তব্য করতে পারেন, তা আমাদের ভাবতেও অবাক লাগে। বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমের উপর আক্রমনকারী এবং তাঁকে অপমান অপদস্তকারী সন্ত্রাসী এবং ভোট ডাকাত ও দস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

পীর সাহেব বলেন, দেশময় সংঘাত আর সহিংসতার অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ অতীতের ন্যায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনও যেনতেন ভাবে করার চক্রান্ত করছে। এধরনের স্বপ্ন দেখলে কোন কাজ হবে না। দেশবাসী জেগে উঠছে, আর ভোট ডাকাতির সুযোগ দিবে না।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের দুঃশাসন ও দুর্নীনির কারণে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট চলছে। বিদ্যুতের জন্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। নতুন করে কোন কলকারখানা করতে পারছেন না। বিদ্যুতের বিল তো জনগণ ঠিকই দেয়। কিন্তু পায়রাতে (বিদ্যুৎকেন্দ্র) কয়লার যে বিল, সেটি ওনারা শোধ করেন না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যর্থতা, অদূরদর্শিতা ও দুর্নীতির কারণে আজ জনগণকে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট সরকারের ভুল নীতি ও ভুল কৌশলের কারণে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে এখন সাধারণ মানুষকে। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাসের সংকট মারাত্মক রূপ নিয়েছে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। সরকার দলীয় লোকজন সিন্ডিকেটে জড়িত থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালা বদল প্রয়োজন। ক্ষমতাসীনরা এবারও জাতীয় সংসদ বহাল রেখে গায়ের জোরে তাদের অধিনেই একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চইলে জনগণ প্রতিহত করবে।

মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, অথর্ব নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের গাঢ়ে চেপে বসে আছে। এই ভোট চোর সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না।

মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকার অনুগত সিইসিকে নিয়োগ দিয়ে সরকারের গৃহপালিত কমিশনে পরিণত করেছে। কাজেই অথর্ব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে পদত্যাগ করতেই হবে। তিনি সরকারের দুর্নীতি অর্থপাচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাঁধা

Update Time : ০৭:১৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

বিকারগ্রস্ত সিইসিকে দ্রুত বিদায় নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং ৫দফা প্রস্তাব ৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্লজ্জ অথর্ব সিইসিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে একজন প্রার্থীর উপর দফায় দফায় হামলার নজির ইতিহাসে বিরল। কিন্তু বরিশালে আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসীরা একজন বরেণ্য আলেম মেয়রপ্রার্থীর রক্ত ঝরিয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কিন্তু হামলায় এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও দলের দস্যুদের গ্রেফতার করতে না পারা রহস্যজনক। তিনি নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের ৫দফা প্রস্তাব ৮ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বর্বরোচিত হামলা, বরিশাল, খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ধারা অব্যাহত রাখার প্রতিবাদ এবং বিকারগ্রস্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও অথর্ব নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে অনুষ্ঠিত বিশাল গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জমায়েতে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিযাম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।

জমায়েত শেষে বেলা ১২টায় দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে একটি বিশাল গণমিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শান্তিরনগর চৌরাস্তায় পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে পূর্ব থেকেই কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলের গতি রোধ করে। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়।

এ সময় পীর সাহেব চরমোনাই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রশাসন বাঁধা দিয়েছে অন্যায় করেছে। তিনি মিছিলে বাধাদানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জনতার তীব্র স্রোতে বাধা দিলে, স্রোতের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তেমনি আমাদের মিছিলে বাধা দেয়ায় জনতার রুদ্ররোষ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রশাসন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়ে সরকারের একতরফা দালালী করলে তার ফল ভাল হয় না।

পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, বর্তমান সিইসি একজন বিকারগ্রস্ত। সিইসি পদত্যাগ না করলে প্রয়োজনে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। ঘটনার পর সাংবাদিকগণের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন অবিবেচক উন্মাদের মতো মুফতি ফয়জুল করীমের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছেন।

তিনি সাংবাদিকদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন,‘তিনি (মুফতি ফয়জুল করীম) কি ইন্তেকাল করেছেন?’ একজন মানুষ কোন পর্যায়ের বিবেক বর্জিত হলে দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তির ব্যাপারে এ জাতীয় বক্তব্য করতে পারেন, তা আমাদের ভাবতেও অবাক লাগে। বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমের উপর আক্রমনকারী এবং তাঁকে অপমান অপদস্তকারী সন্ত্রাসী এবং ভোট ডাকাত ও দস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

পীর সাহেব বলেন, দেশময় সংঘাত আর সহিংসতার অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ অতীতের ন্যায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনও যেনতেন ভাবে করার চক্রান্ত করছে। এধরনের স্বপ্ন দেখলে কোন কাজ হবে না। দেশবাসী জেগে উঠছে, আর ভোট ডাকাতির সুযোগ দিবে না।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের দুঃশাসন ও দুর্নীনির কারণে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট চলছে। বিদ্যুতের জন্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। নতুন করে কোন কলকারখানা করতে পারছেন না। বিদ্যুতের বিল তো জনগণ ঠিকই দেয়। কিন্তু পায়রাতে (বিদ্যুৎকেন্দ্র) কয়লার যে বিল, সেটি ওনারা শোধ করেন না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যর্থতা, অদূরদর্শিতা ও দুর্নীতির কারণে আজ জনগণকে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট সরকারের ভুল নীতি ও ভুল কৌশলের কারণে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে এখন সাধারণ মানুষকে। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাসের সংকট মারাত্মক রূপ নিয়েছে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। সরকার দলীয় লোকজন সিন্ডিকেটে জড়িত থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালা বদল প্রয়োজন। ক্ষমতাসীনরা এবারও জাতীয় সংসদ বহাল রেখে গায়ের জোরে তাদের অধিনেই একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চইলে জনগণ প্রতিহত করবে।

মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, অথর্ব নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের গাঢ়ে চেপে বসে আছে। এই ভোট চোর সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না।

মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকার অনুগত সিইসিকে নিয়োগ দিয়ে সরকারের গৃহপালিত কমিশনে পরিণত করেছে। কাজেই অথর্ব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে পদত্যাগ করতেই হবে। তিনি সরকারের দুর্নীতি অর্থপাচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান।