ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

ইরাকে বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতন: চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

পরিমল কুমার পরাণ
  • Update Time : ০৫:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৮৫ Time View

ইরাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের একটি দল।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ইরাকে বাংলাদেশি কয়েকজন মোসলেম মোল্লাকে আটক করে নির্যাতন শুরু করে। পরে সেই নির্যাতনের ঘটনা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে তার মাকে দেখানো হয়। চক্রটি পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

কুদরত-ই-খুদা বলেন, ওই চক্রের বাংলাদেশ অংশের ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। ইরাকে যারা আছেন, তাদেরকেও শনাক্ত করা গেছে। শিগগিরই চক্রের বাকিদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ইরাকে অবস্থান কালে ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের ২৩ তারিখ সেলিম মিয়া নামের একজনের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সে ভিকটিমকে ভালো বেতনের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে আসামী আনোয়ার, শাহনেওয়াজ, রুহুল আমিন, মনির, হাসিবুর, সাব্বির দের হাতে তুলে দেয়। ভিকটিম মোসলেম কে নিয়ে আসামীরা একটি আবদ্ধ রুমে আটক করে ভিকটিমের সাথে থাকা ২০০০ ইউএস ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা ও একটি ১,৫০,০০০/= টাকা মূল্যের আইফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভিকটিমকে নির্যাতন করতে থাকে। তিনদিন ধরে নির্মম, বর্বর নির্যাতনের পর সেই নির্যাতনের দৃশ্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ইমো অ্যাপের মাধ্যমে লাইভ ভিডিও কলে ভিকটিমের মা খতেজা বেগমকে দেখায় এবং মোট ১১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ভিকটিমের মা খতেজা বেগম ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আসামীদের পাঠানো ১২ টি বিকাশ নাম্বারে ২৬ টি ট্রাঞ্জেকশনের মাধ্যমে মোট ছয় লক্ষ টাকা প্রদান করে।

পরে আসামী আনোয়ার, শাহনেওয়াজ, রুহুল আমিন, মনির, হাসিবুর, সাব্বিরগন ইরাকে অবস্থান করলেও বাংলাদশে তাদের পরিবারের সদস্যরা এই মুক্তিপণের টাকা বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের দোকান ও নিজেদের পারসোনাল বিকাশ নাম্বার থেকে ক্যাশ আউট করে নেয়। শাহনেওয়াজ অপহরণ চক্রের দলনেতা বলে গ্রেফতারকৃতরা জানান এবং পিবিআই কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম ইরাক প্রবাসী মোসলেম মোল্লা (৩০) বলেন, “২০১৬ সালে জীবিকার তাগিদে কাজের উদ্দশ্যে ইরাক যান। ইরাকে অবস্থানকালে আসামী মোঃ সেলিম মিয়া ও ওপর আসামী শামীমসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামীরা আমাকে কাজের কথা বলে ইরাকে আমার কর্মস্থল থেকে অন্যত্র অপহরন করে নিয়ে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ইমো অ্যাপের মাধ্যমে কল দিয়ে সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপন হিসেবে দাবি ও নির্যাতন করে এবং আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। আমার মা আমাকে বাঁচানোর জন্য আসামীদের বিকাশ নাম্বারে গত ২৮/০১/২১ তারিখ, ৩১/০১/২১ তারিখ এবং ০২/০২/২১ তারিখে মোট ছয় লক্ষ টাকা প্রদান করে।

পরবর্তীতে আসামীরা আমাকে মুক্তি না দিয়ে পুনঃরায় আমার মায়ের নিকট তিন লক্ষ টাকা দাবি করে।”

এই ঘটনায় ভিকটিমের মা খতেজা বেগম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানার মামলা করেন। মামলা নং ০৪, তারিখঃ ০১/০৩/২০২১ , ধারা- ৩৮৫ পেনাল কোড দায়ের করলে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার এর নির্দেশে পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।

পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় এবং পিবিআই ঢাকা জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মহোদয়দের সার্বিক সহযোগিতায় এসআই (নিঃ) একেএম সামসুল আলম এর নেতৃত্বে পিবিআই ঢাকার চৌকস টিম গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং, ০৬ অক্টোবর ২০২১ ইং, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং, এবং ১৪ আগষ্ট ২০২৩ ইং ও ২৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে বাংলাদেশের বরিশাল, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, মাগুরা এবং খুলনা থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। আলী হোসেন (৪৯) পিতা-মৃত আঃ জব্বার ব্যপারী, গ্রাম-দক্ষিন নন্দনপট্টি, থানা-গৌরনদী, জেলা-বরিশাল ২। মোঃ শামীম(২৫), পিতা-সুলতান চৌকিদা,গ্রাম-পেটুয়াজুরি উত্তরপাড়া, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া, ৩। শিরিন সুলতানা (৩৫), স্বামী- আনোয়ার হোসেন, গ্রাম-প্রহলাদপুর, বাগমার বাড়ি, থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুরকে ৪। মোহাম্মদ ঘরামী (৫১), পিতা-মৃত হেলাল উদ্দিন ঘরামী, গ্রাম-নন্দনপট্টি, থানা-গৌরনদী, জেলা-বরিশাল ৫। রবিউল ঘরামী(২৪), পিতা- ইয়াকুব ঘরামী, গ্রাম-নন্দনপট্টি, রাজাপুর বাজার, থানা-গৌরনদী, জেলা-বরিশাল ৬। শাহিদা বেগম (৫২), স্বামী- মোঃ নূর ইসলাম, গ্রাম-বাগবাড়ি পঞ্চসার, থানা-মুন্সীগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সীগঞ্জ ৭। সাহনাজ আক্তার লিপি (৩৮), স্বামী- দাদন মিয়া, গ্রাম-কুড়েরপাড় গোপচর, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়নগঞ্জ ৮। মোঃ আকবর সরদার (৫৫), পিতা মৃত-আছালত সরদার,গ্রাম-নিত্যান্দপুর, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-মাগুরা গ্রেফতার করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ইরাকে বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতন: চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

Update Time : ০৫:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

ইরাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের একটি দল।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ইরাকে বাংলাদেশি কয়েকজন মোসলেম মোল্লাকে আটক করে নির্যাতন শুরু করে। পরে সেই নির্যাতনের ঘটনা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে তার মাকে দেখানো হয়। চক্রটি পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

কুদরত-ই-খুদা বলেন, ওই চক্রের বাংলাদেশ অংশের ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। ইরাকে যারা আছেন, তাদেরকেও শনাক্ত করা গেছে। শিগগিরই চক্রের বাকিদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ইরাকে অবস্থান কালে ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের ২৩ তারিখ সেলিম মিয়া নামের একজনের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সে ভিকটিমকে ভালো বেতনের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে আসামী আনোয়ার, শাহনেওয়াজ, রুহুল আমিন, মনির, হাসিবুর, সাব্বির দের হাতে তুলে দেয়। ভিকটিম মোসলেম কে নিয়ে আসামীরা একটি আবদ্ধ রুমে আটক করে ভিকটিমের সাথে থাকা ২০০০ ইউএস ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা ও একটি ১,৫০,০০০/= টাকা মূল্যের আইফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভিকটিমকে নির্যাতন করতে থাকে। তিনদিন ধরে নির্মম, বর্বর নির্যাতনের পর সেই নির্যাতনের দৃশ্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ইমো অ্যাপের মাধ্যমে লাইভ ভিডিও কলে ভিকটিমের মা খতেজা বেগমকে দেখায় এবং মোট ১১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ভিকটিমের মা খতেজা বেগম ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আসামীদের পাঠানো ১২ টি বিকাশ নাম্বারে ২৬ টি ট্রাঞ্জেকশনের মাধ্যমে মোট ছয় লক্ষ টাকা প্রদান করে।

পরে আসামী আনোয়ার, শাহনেওয়াজ, রুহুল আমিন, মনির, হাসিবুর, সাব্বিরগন ইরাকে অবস্থান করলেও বাংলাদশে তাদের পরিবারের সদস্যরা এই মুক্তিপণের টাকা বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের দোকান ও নিজেদের পারসোনাল বিকাশ নাম্বার থেকে ক্যাশ আউট করে নেয়। শাহনেওয়াজ অপহরণ চক্রের দলনেতা বলে গ্রেফতারকৃতরা জানান এবং পিবিআই কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম ইরাক প্রবাসী মোসলেম মোল্লা (৩০) বলেন, “২০১৬ সালে জীবিকার তাগিদে কাজের উদ্দশ্যে ইরাক যান। ইরাকে অবস্থানকালে আসামী মোঃ সেলিম মিয়া ও ওপর আসামী শামীমসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামীরা আমাকে কাজের কথা বলে ইরাকে আমার কর্মস্থল থেকে অন্যত্র অপহরন করে নিয়ে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ইমো অ্যাপের মাধ্যমে কল দিয়ে সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপন হিসেবে দাবি ও নির্যাতন করে এবং আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। আমার মা আমাকে বাঁচানোর জন্য আসামীদের বিকাশ নাম্বারে গত ২৮/০১/২১ তারিখ, ৩১/০১/২১ তারিখ এবং ০২/০২/২১ তারিখে মোট ছয় লক্ষ টাকা প্রদান করে।

পরবর্তীতে আসামীরা আমাকে মুক্তি না দিয়ে পুনঃরায় আমার মায়ের নিকট তিন লক্ষ টাকা দাবি করে।”

এই ঘটনায় ভিকটিমের মা খতেজা বেগম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানার মামলা করেন। মামলা নং ০৪, তারিখঃ ০১/০৩/২০২১ , ধারা- ৩৮৫ পেনাল কোড দায়ের করলে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার এর নির্দেশে পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।

পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় এবং পিবিআই ঢাকা জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মহোদয়দের সার্বিক সহযোগিতায় এসআই (নিঃ) একেএম সামসুল আলম এর নেতৃত্বে পিবিআই ঢাকার চৌকস টিম গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং, ০৬ অক্টোবর ২০২১ ইং, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং, এবং ১৪ আগষ্ট ২০২৩ ইং ও ২৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে বাংলাদেশের বরিশাল, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, মাগুরা এবং খুলনা থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। আলী হোসেন (৪৯) পিতা-মৃত আঃ জব্বার ব্যপারী, গ্রাম-দক্ষিন নন্দনপট্টি, থানা-গৌরনদী, জেলা-বরিশাল ২। মোঃ শামীম(২৫), পিতা-সুলতান চৌকিদা,গ্রাম-পেটুয়াজুরি উত্তরপাড়া, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া, ৩। শিরিন সুলতানা (৩৫), স্বামী- আনোয়ার হোসেন, গ্রাম-প্রহলাদপুর, বাগমার বাড়ি, থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুরকে ৪। মোহাম্মদ ঘরামী (৫১), পিতা-মৃত হেলাল উদ্দিন ঘরামী, গ্রাম-নন্দনপট্টি, থানা-গৌরনদী, জেলা-বরিশাল ৫। রবিউল ঘরামী(২৪), পিতা- ইয়াকুব ঘরামী, গ্রাম-নন্দনপট্টি, রাজাপুর বাজার, থানা-গৌরনদী, জেলা-বরিশাল ৬। শাহিদা বেগম (৫২), স্বামী- মোঃ নূর ইসলাম, গ্রাম-বাগবাড়ি পঞ্চসার, থানা-মুন্সীগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সীগঞ্জ ৭। সাহনাজ আক্তার লিপি (৩৮), স্বামী- দাদন মিয়া, গ্রাম-কুড়েরপাড় গোপচর, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়নগঞ্জ ৮। মোঃ আকবর সরদার (৫৫), পিতা মৃত-আছালত সরদার,গ্রাম-নিত্যান্দপুর, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-মাগুরা গ্রেফতার করেন।