ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইবিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে অপহরণের অভিযোগ মেধা ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: ডিএনসিসি মেয়র রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে

ইবাদতের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার

 নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৩ Time View

হাঁটুর চোটে শল্যবিদের ছুরি কাঁচির নিচে যেতে হলো ইবাদত হোসেনকে। শুরুতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শের কথা বলা হলেও লন্ডনে শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারই করাতে হলো বাংলাদেশের এই পেসারকে।

তাতে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেলেন তিনি। ইবাদতের চোট মূলত হাঁটুর এসিএল-এ (এন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট)। এই চোটের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সময় লাগে আরও বেশি।

ইবাদতের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেল। গত মাসে পাওয়া হাঁটুর চোটে এশিয়া কাপের দল থেকে ছিটকে যান ইবাদত। তার হাঁটুর অবস্থা বোঝার জন্য পাঠানো হয় লন্ডনে।

বুধবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে হাসপাতালে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে ইবাদত লিখেন, “জীবনে প্রথমবার অপারেশন থিয়েটারে, সবার কাছে দোয়া চাইছি, আল্লাহ ভরসা।”

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি জানান, অস্ত্রোপচারের পর বোঝা যাবে এই পেসারের ফেরার সম্ভাব্য সময়। “ইবাদতের সার্জারি হচ্ছে। (সুস্থ হতে কত দিন লাগবে) আমরা এখনও জানি না। সার্জারি হওয়ার পর বলা যাবে কত দিন লাগতে পারে। সার্জারির পর আমরা আবার ওখানের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলব।” “আমরা দেশে কনজার্ভেটিভ ম্যানেজমেন্ট করে দেখেছি, ও (ইবাদত) সেরে উঠতে পারছে কি না। কিন্তু সেভাবে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এজন্য আমরা ওখানে পাঠিয়েছি দ্বিতীয় আরেকটি মতামতের জন্য। ওরা বলেছে, সার্জারি করলেই ভালো হবে। তাই এখন সার্জারি করা হচ্ছে।”

বাস্তবতা বিবেচনায় ইবাদতের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে নিতে চান না বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। “এসিএল হোক বা অন্য কোনো অস্ত্রোপচার, একেকজনের সুস্থ হওয়ার সময় লাগে একেকরকম। তাই আগে-ভাগেই বলা সম্ভব নয়, ইবাদতের ফিরতে কত দিন লাগবে। যিনি সার্জারি করেছেন, সেই সার্জনের কথা শুনে, তার বরাত দিয়ে আমরা ইবাদতের অবস্থা সম্পর্কে জানাব।”

গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিং করার সময় আম্পায়ারের সঙ্গে কনুইয়ের ধাক্কায় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান ইবাদত। ওই চোটে ম্যাচ থেকে তো বটেই, সিরিজ থেকেও ছিটকে যান ২৯ বছর বয়সী পেসার। এরপর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকায় জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পে থাকতে পারেননি ইবাদত। তবে দ্রæত সুস্থতার আশায় তাকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে নেন নির্বাচকরা। দলের সঙ্গে অনুশীলনও করছিলেন তিনি। কিন্তু আশানুরূপ উন্নতি হয়নি তার চোটের। কয়েক দফা স্ক্যান রিপোর্টে এসিএলের চোট শনাক্ত হওয়ায় তাকে এশিয়া কাপ থেকে বাইরে রাখার পরামর্শ দেয় বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ। পরে অবস্থা বোঝার জন্য পাঠানো হয় লন্ডনে।

এশিয়া কাপের পর যদি বিশ্বকাপেও না থাকেন ইবাদত, তাহলে বড় ধাক্কাই লাগবে বাংলাদেশের। স্বল্প সুযোগেই উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। ১২ ওয়ানডে খেলে তার উইকেট ২২টি। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে তার কার্যকরিতা দেখা গেছে বেশ কিছু ম্যাচে। গত অগাস্টে এই সংস্করণে তার অভিষেক। এরপর থেকে এই সময়টায় ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেননি বাংলাদেশের আর কেউ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

ইবাদতের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার

Update Time : ১০:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

হাঁটুর চোটে শল্যবিদের ছুরি কাঁচির নিচে যেতে হলো ইবাদত হোসেনকে। শুরুতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শের কথা বলা হলেও লন্ডনে শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারই করাতে হলো বাংলাদেশের এই পেসারকে।

তাতে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেলেন তিনি। ইবাদতের চোট মূলত হাঁটুর এসিএল-এ (এন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট)। এই চোটের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সময় লাগে আরও বেশি।

ইবাদতের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেল। গত মাসে পাওয়া হাঁটুর চোটে এশিয়া কাপের দল থেকে ছিটকে যান ইবাদত। তার হাঁটুর অবস্থা বোঝার জন্য পাঠানো হয় লন্ডনে।

বুধবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে হাসপাতালে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে ইবাদত লিখেন, “জীবনে প্রথমবার অপারেশন থিয়েটারে, সবার কাছে দোয়া চাইছি, আল্লাহ ভরসা।”

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি জানান, অস্ত্রোপচারের পর বোঝা যাবে এই পেসারের ফেরার সম্ভাব্য সময়। “ইবাদতের সার্জারি হচ্ছে। (সুস্থ হতে কত দিন লাগবে) আমরা এখনও জানি না। সার্জারি হওয়ার পর বলা যাবে কত দিন লাগতে পারে। সার্জারির পর আমরা আবার ওখানের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলব।” “আমরা দেশে কনজার্ভেটিভ ম্যানেজমেন্ট করে দেখেছি, ও (ইবাদত) সেরে উঠতে পারছে কি না। কিন্তু সেভাবে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এজন্য আমরা ওখানে পাঠিয়েছি দ্বিতীয় আরেকটি মতামতের জন্য। ওরা বলেছে, সার্জারি করলেই ভালো হবে। তাই এখন সার্জারি করা হচ্ছে।”

বাস্তবতা বিবেচনায় ইবাদতের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে নিতে চান না বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। “এসিএল হোক বা অন্য কোনো অস্ত্রোপচার, একেকজনের সুস্থ হওয়ার সময় লাগে একেকরকম। তাই আগে-ভাগেই বলা সম্ভব নয়, ইবাদতের ফিরতে কত দিন লাগবে। যিনি সার্জারি করেছেন, সেই সার্জনের কথা শুনে, তার বরাত দিয়ে আমরা ইবাদতের অবস্থা সম্পর্কে জানাব।”

গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিং করার সময় আম্পায়ারের সঙ্গে কনুইয়ের ধাক্কায় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান ইবাদত। ওই চোটে ম্যাচ থেকে তো বটেই, সিরিজ থেকেও ছিটকে যান ২৯ বছর বয়সী পেসার। এরপর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকায় জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পে থাকতে পারেননি ইবাদত। তবে দ্রæত সুস্থতার আশায় তাকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে নেন নির্বাচকরা। দলের সঙ্গে অনুশীলনও করছিলেন তিনি। কিন্তু আশানুরূপ উন্নতি হয়নি তার চোটের। কয়েক দফা স্ক্যান রিপোর্টে এসিএলের চোট শনাক্ত হওয়ায় তাকে এশিয়া কাপ থেকে বাইরে রাখার পরামর্শ দেয় বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ। পরে অবস্থা বোঝার জন্য পাঠানো হয় লন্ডনে।

এশিয়া কাপের পর যদি বিশ্বকাপেও না থাকেন ইবাদত, তাহলে বড় ধাক্কাই লাগবে বাংলাদেশের। স্বল্প সুযোগেই উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। ১২ ওয়ানডে খেলে তার উইকেট ২২টি। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে তার কার্যকরিতা দেখা গেছে বেশ কিছু ম্যাচে। গত অগাস্টে এই সংস্করণে তার অভিষেক। এরপর থেকে এই সময়টায় ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেননি বাংলাদেশের আর কেউ।