ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সৌদিতে প্রথমবারের মতো সুইমস্যুট পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা ‘আয়রনম্যান’ চরিত্রে ফিরতে ‘আপত্তি নেই’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা কাঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২ বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়র তাপস মনগড়া ও অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন : সাঈদ খোকন

আনারসের স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো জানা জরুরি

নওরোজ স্বাস্থ্য ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪০ Time View

সুস্বাদু ফল আনারস। এর রয়েছে নানারকম গুণাগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এখন সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে।

সেই সঙ্গে করোনার প্রকোপ তো রয়েছেই। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আনারস খান। তবে আনারসের কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে। সেসব ঝুঁকি এড়াতে আনারস খাওয়ার সময় সতর্কতা বজায় রাখুন। আসুন দেখে নেই ঝুঁকিগুলো কি?
আনারসের আছে মাংস নরম করার ক্ষমতা। তাই মাংস রান্নায় আনারস দিলে দ্রæত সিদ্ধ হবে। কিন্তু এই দিকটি ক্ষতিকর হতে পারে আমাদের মুখগহŸরের স্বাস্থ্যের জন্য। আনারস বেশি খেলে তা অনেকেরই মুখ, ঠোঁট, জিহŸার ক্ষতি করতে পারে। তবে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে এই সমস্যা।

অনেকের আবার আনারসে এলার্জিও দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনরকম ত্বকে র‌্যাশ, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া বা নিঃশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন হলে দ্রæত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। আনারসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে ফেলাও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর। এতে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি, বমিভাব অথবা পেটব্যথা। তাই স্বাস্থ্যগুণের কথা বিবেচনা করে আনারস খেলেও একটু মেপেই খান।

অতিরিক্ত আনারস খাওয়ার কারণে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর কারণ, আনারসে থাকা উচ্চ মাত্রার ব্রোমেলেইন। অ্যান্টি-বায়োটিকস, ঘুমের ওষুধ এবং আরও কিছু ওষুধ চলাকালীনও ক্ষতিকর হতে পারে আনারসে থাকা ব্রোমেলেইন। তাই কোন ধরণের ওষুধ খাওয়াকালীন অবশ্যই আনারস খেতে পারবেন কিনা তা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন।

পাকা আনারস খেতে যেমন মজা, তেমনি তা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। কিন্তু কাঁচা আনারস হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এটি খেলে ভয়াবহ মাত্রার ডায়রিয়া বা বমি দেখা দিতে পারে। শুধু কাঁচা আনারসই নয়, পাকা আনারসের ভেতরে থাকা স্টেম বা সাদা অংশটিও খাবেন না। এটি খাদ্যআঁশ দলা পাকিয়ে হজমে বাঁধা দেয়। ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কাটার সময় আনারসের সাদা আর শক্ত অংশ কেটে ফেলে দিন।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

আনারসের স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো জানা জরুরি

Update Time : ০৮:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

সুস্বাদু ফল আনারস। এর রয়েছে নানারকম গুণাগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এখন সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে।

সেই সঙ্গে করোনার প্রকোপ তো রয়েছেই। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আনারস খান। তবে আনারসের কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে। সেসব ঝুঁকি এড়াতে আনারস খাওয়ার সময় সতর্কতা বজায় রাখুন। আসুন দেখে নেই ঝুঁকিগুলো কি?
আনারসের আছে মাংস নরম করার ক্ষমতা। তাই মাংস রান্নায় আনারস দিলে দ্রæত সিদ্ধ হবে। কিন্তু এই দিকটি ক্ষতিকর হতে পারে আমাদের মুখগহŸরের স্বাস্থ্যের জন্য। আনারস বেশি খেলে তা অনেকেরই মুখ, ঠোঁট, জিহŸার ক্ষতি করতে পারে। তবে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে এই সমস্যা।

অনেকের আবার আনারসে এলার্জিও দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনরকম ত্বকে র‌্যাশ, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া বা নিঃশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন হলে দ্রæত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। আনারসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে ফেলাও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর। এতে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি, বমিভাব অথবা পেটব্যথা। তাই স্বাস্থ্যগুণের কথা বিবেচনা করে আনারস খেলেও একটু মেপেই খান।

অতিরিক্ত আনারস খাওয়ার কারণে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর কারণ, আনারসে থাকা উচ্চ মাত্রার ব্রোমেলেইন। অ্যান্টি-বায়োটিকস, ঘুমের ওষুধ এবং আরও কিছু ওষুধ চলাকালীনও ক্ষতিকর হতে পারে আনারসে থাকা ব্রোমেলেইন। তাই কোন ধরণের ওষুধ খাওয়াকালীন অবশ্যই আনারস খেতে পারবেন কিনা তা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন।

পাকা আনারস খেতে যেমন মজা, তেমনি তা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। কিন্তু কাঁচা আনারস হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এটি খেলে ভয়াবহ মাত্রার ডায়রিয়া বা বমি দেখা দিতে পারে। শুধু কাঁচা আনারসই নয়, পাকা আনারসের ভেতরে থাকা স্টেম বা সাদা অংশটিও খাবেন না। এটি খাদ্যআঁশ দলা পাকিয়ে হজমে বাঁধা দেয়। ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কাটার সময় আনারসের সাদা আর শক্ত অংশ কেটে ফেলে দিন।