ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

আওয়ামী লীগ উগ্রবাদী দলে পরিণত হয়েছে: চরমোনাই পীর

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৫৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬৬ Time View

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা আর সমঝোতার কোনো পথ খোলা নাই বলে জানান রেজাউল করিম।

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে উগ্রবাদী দলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মসূচির সাথে তাল মিলিয়ে আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিচ্ছে এবং সেইসব কর্মসূচির নামের সাথে ‘শান্তি’ থাকলেও কার্যত তা সন্ত্রাসের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, লাঠি নিয়ে মহড়া, যাকে তাকে তল্লাশি করা, আতঙ্ক তৈরি করার যে কাজ আওয়ামী লীগ করছে তা ‘৭১ এর শান্তিবাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।

একজন নেতা এবং একটি দলের গোঁয়ার্তুমির কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপাতিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা আমরা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম।

রেজাউল করিম বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আমরা কিছু যৌক্তিক দাবিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনোরূপ কর্ণপাত করেনি। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও দেশের গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও করণীয় নিয়ে আপনাদের অবহিত করতেই আজকের এই আয়োজন।

নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে সরকার পরিবর্তনে জনমতের মুখাপেক্ষী হওয়া আধুনিক বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত একটি রীতি উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, এই রীতি বাস্তবায়নে নির্বাচনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করা অতীব জরুরি। বোধহীন নিম্নস্তরের স্বৈরাচার ছাড়া আর কেউ-ই এই প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কার্যকর করা যায় নাই। যার ফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সার্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয় নাই বরং এই ইস্যুতে তাদের আচরণ, কথাবার্তা চূড়ান্তমাত্রায় অমার্জিত, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ। যে কারণে আজকে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশে পরাধীনতার কালো মেঘ আচ্ছন্ন দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের পরিস্থিতিকে এ পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতা আর নাই। এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে সেই প্রশ্নে বিদেশি শক্তির অবস্থানই প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। অবস্থা কতটা খারাপ হয়েছে যে, আমেরিকা-ভারতের মতো দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনা রাজনীতিতে গুরুত্ববহন করে। স্বাধীনতার জন্য এরচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি আর কিছু হতে পারে না। এদেশকে পরাধীনতার কালো মেঘে আচ্ছন্ন করার এ দায় আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা আর সমঝোতার কোনো পথ খোলা নাই জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে কম্প্রোমাইজেশন ও বোঝাপড়া, সমঝোতার জায়গা রুদ্ধ হয়ে গেছে। এর দায়ও বর্তমান সরকারের। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, ’জানোয়ারদের সাথে কোনো আলাপ-আলোচনা নাই’, যখন দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশকে গ্রেফতার করা হয়, যখন প্রতিবাদ-সমাবেশে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় তখন রাজনীতির প্রধান উপাদান আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়া ও সমঝোতার পথ আর খোলা থাকে না।

Please Share This Post in Your Social Media

আওয়ামী লীগ উগ্রবাদী দলে পরিণত হয়েছে: চরমোনাই পীর

Update Time : ০৮:৫৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে উগ্রবাদী দলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মসূচির সাথে তাল মিলিয়ে আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিচ্ছে এবং সেইসব কর্মসূচির নামের সাথে ‘শান্তি’ থাকলেও কার্যত তা সন্ত্রাসের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, লাঠি নিয়ে মহড়া, যাকে তাকে তল্লাশি করা, আতঙ্ক তৈরি করার যে কাজ আওয়ামী লীগ করছে তা ‘৭১ এর শান্তিবাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।

একজন নেতা এবং একটি দলের গোঁয়ার্তুমির কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপাতিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা আমরা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম।

রেজাউল করিম বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আমরা কিছু যৌক্তিক দাবিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনোরূপ কর্ণপাত করেনি। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও দেশের গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও করণীয় নিয়ে আপনাদের অবহিত করতেই আজকের এই আয়োজন।

নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে সরকার পরিবর্তনে জনমতের মুখাপেক্ষী হওয়া আধুনিক বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত একটি রীতি উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, এই রীতি বাস্তবায়নে নির্বাচনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করা অতীব জরুরি। বোধহীন নিম্নস্তরের স্বৈরাচার ছাড়া আর কেউ-ই এই প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কার্যকর করা যায় নাই। যার ফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সার্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয় নাই বরং এই ইস্যুতে তাদের আচরণ, কথাবার্তা চূড়ান্তমাত্রায় অমার্জিত, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ। যে কারণে আজকে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশে পরাধীনতার কালো মেঘ আচ্ছন্ন দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের পরিস্থিতিকে এ পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতা আর নাই। এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে সেই প্রশ্নে বিদেশি শক্তির অবস্থানই প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। অবস্থা কতটা খারাপ হয়েছে যে, আমেরিকা-ভারতের মতো দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনা রাজনীতিতে গুরুত্ববহন করে। স্বাধীনতার জন্য এরচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি আর কিছু হতে পারে না। এদেশকে পরাধীনতার কালো মেঘে আচ্ছন্ন করার এ দায় আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা আর সমঝোতার কোনো পথ খোলা নাই জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে কম্প্রোমাইজেশন ও বোঝাপড়া, সমঝোতার জায়গা রুদ্ধ হয়ে গেছে। এর দায়ও বর্তমান সরকারের। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, ’জানোয়ারদের সাথে কোনো আলাপ-আলোচনা নাই’, যখন দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশকে গ্রেফতার করা হয়, যখন প্রতিবাদ-সমাবেশে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় তখন রাজনীতির প্রধান উপাদান আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়া ও সমঝোতার পথ আর খোলা থাকে না।