ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

আইএমএফ : বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ, কমবে মূল্যস্ফীতি

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৫৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬৪ Time View

২০২৩ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এসময়ে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক বৈঠকে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক’ শীর্ষক আইএমএফের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে। তবে ২০২৮ সালে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আইএমএফের এ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশিত হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামতে পারে।

এছাড়া চলতি হিসাবে ভারসাম্যে ঘাটতি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য ও জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।

আইএমএফ বলছে, সব দেশে যে প্রবৃদ্ধি একই হারে হচ্ছে তা নয়। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি খুঁড়িয়ে চললেও একেবারে থেমে যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

আইএমএফ : বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ, কমবে মূল্যস্ফীতি

Update Time : ০৫:৫৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

২০২৩ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এসময়ে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক বৈঠকে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক’ শীর্ষক আইএমএফের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে। তবে ২০২৮ সালে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আইএমএফের এ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশিত হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামতে পারে।

এছাড়া চলতি হিসাবে ভারসাম্যে ঘাটতি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য ও জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।

আইএমএফ বলছে, সব দেশে যে প্রবৃদ্ধি একই হারে হচ্ছে তা নয়। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি খুঁড়িয়ে চললেও একেবারে থেমে যায়নি।