ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ১০১ Time View

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় তহবিল বিতরণ করে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধনী দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিত। অনেক দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। তাদের সহায়তা প্রয়োজন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নগরীর একটি হোটেলে ‘অ্যাকসিলারেটিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যেসব ক্ষেত্রে এখনও উন্নয়ন হয়নি বা যেগুলো স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি, সেখানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকে সহায়তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য তহবিল গঠন করা উচিত। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া এবং একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা করা উচিত। এরপর বোঝা যাবে কোন দেশের বেশি প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি নির্দিষ্ট করা যেতে পারে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলকে এক সাথে এটি করতে হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও, সিআরআই, সুচনা ফাউন্ডেশন ও চ্যাথাম হাউস লন্ডনের মতো বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইভেন্টের দুটি অংশ ছিল।

প্রথম অংশে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও বিশেষজ্ঞদের প্রশোত্তরপর্ব। মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালকের উপদেষ্টা এবং চ্যাথাম হাউস কমিশনের ইউনিভার্সাল হেলথ বিষয়ক সম্মানিত কমিশনার সায়মা ওয়াজেদ এটি পরিচালনা করেন। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও চ্যাথাম হাউস কমিশনের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্ক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব ক্ষেত্রে এখনও উন্নয়ন হয়নি বা যেগুলো স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি, সেখানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকে সহায়তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য তহবিল গঠন করা উচিত। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।’ সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া এবং একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা করা উচিত।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরপর বোঝা যাবে কোন দেশের বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘এটি নির্দিষ্ট করা যেতে পারে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলকে একসাথে এটি করতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইউএইচসি বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য ও যুব নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৯:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় তহবিল বিতরণ করে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধনী দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিত। অনেক দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। তাদের সহায়তা প্রয়োজন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নগরীর একটি হোটেলে ‘অ্যাকসিলারেটিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যেসব ক্ষেত্রে এখনও উন্নয়ন হয়নি বা যেগুলো স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি, সেখানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকে সহায়তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য তহবিল গঠন করা উচিত। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া এবং একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা করা উচিত। এরপর বোঝা যাবে কোন দেশের বেশি প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি নির্দিষ্ট করা যেতে পারে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলকে এক সাথে এটি করতে হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও, সিআরআই, সুচনা ফাউন্ডেশন ও চ্যাথাম হাউস লন্ডনের মতো বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইভেন্টের দুটি অংশ ছিল।

প্রথম অংশে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও বিশেষজ্ঞদের প্রশোত্তরপর্ব। মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালকের উপদেষ্টা এবং চ্যাথাম হাউস কমিশনের ইউনিভার্সাল হেলথ বিষয়ক সম্মানিত কমিশনার সায়মা ওয়াজেদ এটি পরিচালনা করেন। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও চ্যাথাম হাউস কমিশনের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্ক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব ক্ষেত্রে এখনও উন্নয়ন হয়নি বা যেগুলো স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি, সেখানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকে সহায়তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য তহবিল গঠন করা উচিত। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।’ সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া এবং একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা করা উচিত।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরপর বোঝা যাবে কোন দেশের বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘এটি নির্দিষ্ট করা যেতে পারে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলকে একসাথে এটি করতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইউএইচসি বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য ও যুব নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।