ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

শিশু রাফসান হত্যা: ৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৫৩ Time View

গাইবান্ধায় ৩ বছরের শিশু রাফসান সামী অপহরণ ও মুক্তিপণ না পেয়ে গলাটিপে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মফিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ম‌ফিদুল দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক ছি‌লেন।
মঙ্গলবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২।

র‌্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের মেজবাবুল ইসলামের ছেলে শিশু রাফসান সামীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ক‌রে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশু রাফসানকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুম করে।

ঘটনার একদিন পর স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মেজবাবুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার মফিদুল ইসলামসহ আরো দুজনকে আসামি করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে সোর্পদ করা হ‌লে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মফিদুল ইসলাম ৪৬ মাস কারাগারে থাকার পর নিয়মিত হাজিরা দেয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালত তাকে জামিন দেন। কিন্তু পরে আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক জীবন যাপন করেন।

পলাতক থাকাবস্থায় আদালত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেপ্তার মফিদুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেন। সর্বশেষ তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তথ্য পে‌য়ে মফিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিশু রাফসান হত্যা: ৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

Update Time : ১২:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

গাইবান্ধায় ৩ বছরের শিশু রাফসান সামী অপহরণ ও মুক্তিপণ না পেয়ে গলাটিপে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মফিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ম‌ফিদুল দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক ছি‌লেন।
মঙ্গলবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২।

র‌্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের মেজবাবুল ইসলামের ছেলে শিশু রাফসান সামীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ক‌রে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশু রাফসানকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুম করে।

ঘটনার একদিন পর স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মেজবাবুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার মফিদুল ইসলামসহ আরো দুজনকে আসামি করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে সোর্পদ করা হ‌লে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মফিদুল ইসলাম ৪৬ মাস কারাগারে থাকার পর নিয়মিত হাজিরা দেয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালত তাকে জামিন দেন। কিন্তু পরে আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক জীবন যাপন করেন।

পলাতক থাকাবস্থায় আদালত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেপ্তার মফিদুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেন। সর্বশেষ তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তথ্য পে‌য়ে মফিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।