ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় গ্যাসের সন্ধান, দিনে মিলবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ঘনফুট

Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০৯ Time View

ভোলার ইলিশায় নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে জ্বালানি বিভাগ জানায়, এখান থেকে প্রতিদিন এক কোটি ৪৫ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে।

এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে ভোলার দক্ষিণে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান পায় বাপেক্স। এবার ইলিশা এলাাকায় ৩৪৭৫ মিটার গভীরে কূপ খনন করে বাপেক্স।

এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ৩ হাজার ৪৩২ থেকে ৩ হাজার ৪৩৫ মিটারেই গ্যাস চাপ পাওয়া যায়। ইলশা কূপে ৩৩৪৫ পিএসআই চাপে গড়ে ৯ দশমিক দুই-পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। যা পরবর্তীতে ১৪ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে বলে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে।

বাপেক্স বলেছে, ১৫ মের মধ্যে ইলিশা কূপ এর প্রস্তাবিত ৩টি জোনে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হবে।

বাপেক্স ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জিএম মো.আলমগীর হোসেন বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তেলন করা হবে। এখানে ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদের সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দৈনিক এই কূপে ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এখন টেস্টিং চলছে, মাটির ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। যা প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।

তিনি আরও বলেন, দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এর আলোকে গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আগামী অক্টোবরে নতুন করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ।

ভোলার শাহবাজপুরে ১৯৯৪-৯৫ সালে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলায় নতুন করে জেলায় বড় শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখছে ভোলাবাসী।

Please Share This Post in Your Social Media

ভোলায় গ্যাসের সন্ধান, দিনে মিলবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ঘনফুট

Update Time : ০১:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

ভোলার ইলিশায় নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে জ্বালানি বিভাগ জানায়, এখান থেকে প্রতিদিন এক কোটি ৪৫ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে।

এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে ভোলার দক্ষিণে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান পায় বাপেক্স। এবার ইলিশা এলাাকায় ৩৪৭৫ মিটার গভীরে কূপ খনন করে বাপেক্স।

এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ৩ হাজার ৪৩২ থেকে ৩ হাজার ৪৩৫ মিটারেই গ্যাস চাপ পাওয়া যায়। ইলশা কূপে ৩৩৪৫ পিএসআই চাপে গড়ে ৯ দশমিক দুই-পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। যা পরবর্তীতে ১৪ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে বলে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে।

বাপেক্স বলেছে, ১৫ মের মধ্যে ইলিশা কূপ এর প্রস্তাবিত ৩টি জোনে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হবে।

বাপেক্স ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জিএম মো.আলমগীর হোসেন বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তেলন করা হবে। এখানে ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদের সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দৈনিক এই কূপে ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এখন টেস্টিং চলছে, মাটির ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। যা প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।

তিনি আরও বলেন, দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এর আলোকে গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আগামী অক্টোবরে নতুন করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ।

ভোলার শাহবাজপুরে ১৯৯৪-৯৫ সালে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলায় নতুন করে জেলায় বড় শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখছে ভোলাবাসী।