ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নববধূ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি কারাগারে

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৪০ Time View

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়াকে নববধূ ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ২৩ আগস্ট দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: মাহাবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। সাকিব মিয়া বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।

মামলায় ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ১৪ মে দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব তার দুই বন্ধু সাইদুল ও সাহেদকে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবার অজুহাতে ওই গৃহবধূর স্বামীর মোটরসাইকেল নিতে আসে। মোটরসাইকেল বের করে দেওয়ার পর বাড়ির বাইরে নিয়ে যান। পরে স্বামীকে ডেকে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে দিতে বলেন। স্বামী স্টার্ট দেওয়ার জন্য বাইরে এলে সাকিব কৌশলে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় গত ১৬মে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাকিব ও তার দুই সহযোগী সাইদুল ও শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তারা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাকিব মিয়া আদালতে হাজির হন। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জিনিয়া বখ্শ জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নববধূ গত ১৬ মে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রলীগ নেতা সাকিব (২৪) এবং তার দুই সহযোগী সাইদুল মিয়া (৩০) ও সাহেদের (২৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি লিপিবদ্ধ করার জন্য বাসাইল থানাকে নির্দেশ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নববধূ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি কারাগারে

Update Time : ০৬:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়াকে নববধূ ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ২৩ আগস্ট দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: মাহাবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। সাকিব মিয়া বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।

মামলায় ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ১৪ মে দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব তার দুই বন্ধু সাইদুল ও সাহেদকে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবার অজুহাতে ওই গৃহবধূর স্বামীর মোটরসাইকেল নিতে আসে। মোটরসাইকেল বের করে দেওয়ার পর বাড়ির বাইরে নিয়ে যান। পরে স্বামীকে ডেকে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে দিতে বলেন। স্বামী স্টার্ট দেওয়ার জন্য বাইরে এলে সাকিব কৌশলে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় গত ১৬মে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাকিব ও তার দুই সহযোগী সাইদুল ও শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তারা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাকিব মিয়া আদালতে হাজির হন। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জিনিয়া বখ্শ জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নববধূ গত ১৬ মে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রলীগ নেতা সাকিব (২৪) এবং তার দুই সহযোগী সাইদুল মিয়া (৩০) ও সাহেদের (২৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি লিপিবদ্ধ করার জন্য বাসাইল থানাকে নির্দেশ দেন।