ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা তদারকি করছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:২০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬৯ Time View

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আগামী ১৮ সেপেম্বর জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এমন একটি সময় স্থানীয় সরকার দিবস পালন করছেন, যখন ৬ শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মশক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম ঠিকমতো হয় না। ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন কি না; আমি জানি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় তারা আমাদের হাসপাতালগুলো দেখবে। মশক নিধনের দায়িত্ব আমাদের মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করবে।’

২০১৯ সাল থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা লক্ষ্য করছি, এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ বছর মাত্রারিক্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা আমাদের কাছে সত্যিকার অর্থে বেদনার, কষ্টের। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে আমরা তদারকি করছি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো সব মানুষের অংশগ্রহণ। যেহেতু আমাদের এখানে ডেঙ্গুর মারাত্মক বিস্তার ঘটেছে, সেহেতু অধিকাংশ এডিস মশাই জীবাণু বহন করে। এখন এই মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনগুলো কাজ করছে। জনগণও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে, তাদরে অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ অংশগ্রহণ দরকার, আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে না। গত বছর পর্যন্ত রোগটি ঢাকাসহ শহরে এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশে মশা নিধনে সারাবছর কার্যক্রম চলে বলেও এসময় দাবি করেন মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এখন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। বর্ষাকালের পরে এডিস মশা থাকে না, মানে খুবই কম থাকে। পাঁচ থেকে ১০ জন আক্রান্ত হতে পারে মাসে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা মশা মারার কার্যক্রম চালাই। পৃথিবীতে যত মশা মরার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো আমরা স্প্রে করি। আর এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারবো না, যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়।

মন্ত্রী বলেন, আমি যদি বাতাসেই মশাটি মেরে দিই, তাতে সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। তাতে মানুষের ক্ষতি হবে। আমরা তো এটি করতে পারি না। হয়ত এমন স্প্রে করে দিতে পারবো যে সারা বছর আর মশা আসবে না, কিন্তু মানুষ মরে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বলেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা তদারকি করছি

Update Time : ০৩:২০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আগামী ১৮ সেপেম্বর জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এমন একটি সময় স্থানীয় সরকার দিবস পালন করছেন, যখন ৬ শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মশক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম ঠিকমতো হয় না। ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন কি না; আমি জানি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় তারা আমাদের হাসপাতালগুলো দেখবে। মশক নিধনের দায়িত্ব আমাদের মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করবে।’

২০১৯ সাল থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা লক্ষ্য করছি, এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ বছর মাত্রারিক্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা আমাদের কাছে সত্যিকার অর্থে বেদনার, কষ্টের। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে আমরা তদারকি করছি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো সব মানুষের অংশগ্রহণ। যেহেতু আমাদের এখানে ডেঙ্গুর মারাত্মক বিস্তার ঘটেছে, সেহেতু অধিকাংশ এডিস মশাই জীবাণু বহন করে। এখন এই মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনগুলো কাজ করছে। জনগণও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে, তাদরে অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ অংশগ্রহণ দরকার, আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে না। গত বছর পর্যন্ত রোগটি ঢাকাসহ শহরে এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশে মশা নিধনে সারাবছর কার্যক্রম চলে বলেও এসময় দাবি করেন মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এখন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। বর্ষাকালের পরে এডিস মশা থাকে না, মানে খুবই কম থাকে। পাঁচ থেকে ১০ জন আক্রান্ত হতে পারে মাসে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা মশা মারার কার্যক্রম চালাই। পৃথিবীতে যত মশা মরার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো আমরা স্প্রে করি। আর এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারবো না, যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়।

মন্ত্রী বলেন, আমি যদি বাতাসেই মশাটি মেরে দিই, তাতে সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। তাতে মানুষের ক্ষতি হবে। আমরা তো এটি করতে পারি না। হয়ত এমন স্প্রে করে দিতে পারবো যে সারা বছর আর মশা আসবে না, কিন্তু মানুষ মরে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বলেন তিনি।