ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকটক নিষিদ্ধ করলো নেপাল

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৩ Time View

টিকটকের কন্টেন্টগুলো ‘সামাজিক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর’ উল্লেখ করে চীনা অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে নেপাল।
দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রেখা শর্মা অভিযোগ করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি ‘দূষিত বিষয়বস্তু’ ছড়াচ্ছে।

টিকটকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরই মধ্যে টেলিকম কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালি মন্ত্রী।

তবে নেপালের জোট সরকারের শরিক নেপালি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গগন থাপা টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রোধ করার প্রয়াস। নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে সরকারের উচিত প্ল্যাটফর্মটি নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দেওয়া।

নেপালে জনপ্রিয়তার দৌড়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে টিকটক। তবে তরুণদের মধ্যে এটি বেশি জনপ্রিয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, নেপালে গত চার বছরে ১ হাজার ৬০০টিরও বেশি টিকটক-সম্পর্কিত সাইবার অপরাধের মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে ভারতসহ আরও অনেকে দেশেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে টিকটক নিষিদ্ধ করে মন্টানা। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে চীনা অ্যাপটি।

বিদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর আশঙ্কা, টিকটক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নেপালে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি টিকটক কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

টিকটক নিষিদ্ধ করলো নেপাল

Update Time : ০৫:০১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

টিকটকের কন্টেন্টগুলো ‘সামাজিক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর’ উল্লেখ করে চীনা অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে নেপাল।
দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রেখা শর্মা অভিযোগ করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি ‘দূষিত বিষয়বস্তু’ ছড়াচ্ছে।

টিকটকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরই মধ্যে টেলিকম কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালি মন্ত্রী।

তবে নেপালের জোট সরকারের শরিক নেপালি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গগন থাপা টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রোধ করার প্রয়াস। নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে সরকারের উচিত প্ল্যাটফর্মটি নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দেওয়া।

নেপালে জনপ্রিয়তার দৌড়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে টিকটক। তবে তরুণদের মধ্যে এটি বেশি জনপ্রিয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, নেপালে গত চার বছরে ১ হাজার ৬০০টিরও বেশি টিকটক-সম্পর্কিত সাইবার অপরাধের মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে ভারতসহ আরও অনেকে দেশেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে টিকটক নিষিদ্ধ করে মন্টানা। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে চীনা অ্যাপটি।

বিদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর আশঙ্কা, টিকটক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নেপালে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি টিকটক কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: বিবিসি