ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাচাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০৪:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৮ Time View

রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় গত ৮ এপ্রিল বিকেলে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার ২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ আরাফাত উল্লাহ কাজীকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

র‍্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আরাফাত এবং ভিকটিম পরষ্পর চাচাতো ভাই-বোন। তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করার ফলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি তার চাচাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ভিকটিম তার চাচাতো ভাইকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে বিয়ে করবেনা বলে জানায়।

বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানা-জানি হলে পরিবারের সদস্যরা সালিশি বসলে আরাফাত তার চাচাতো বোনের গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে। ভিকটিম সম্মান ও সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আরাফাতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, কুমিল্লা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

চাচাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার

Update Time : ০৪:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় গত ৮ এপ্রিল বিকেলে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার ২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ আরাফাত উল্লাহ কাজীকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

র‍্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আরাফাত এবং ভিকটিম পরষ্পর চাচাতো ভাই-বোন। তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করার ফলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি তার চাচাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ভিকটিম তার চাচাতো ভাইকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে বিয়ে করবেনা বলে জানায়।

বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানা-জানি হলে পরিবারের সদস্যরা সালিশি বসলে আরাফাত তার চাচাতো বোনের গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে। ভিকটিম সম্মান ও সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আরাফাতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, কুমিল্লা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।