ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শোকজের বিষয় জানে না মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার

কিশোরগঞ্জে ৩ শিক্ষকের যোগসাজসে ১৯ বস্তা সরকারী বই বিক্রি

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬৫ Time View

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের চাঁদখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের যোগসাজসে ১৯ বস্তা সরকারী বই বিক্রি করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মাসের ২১ নভেম্বর গোপনে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান একটি ভটভটিতে করে সরকারী বই পাচার করছে।

খবর পেয়ে সংবাদকর্মী দ্রুত ওই স্কুলে গিয়ে বই পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমানকে বললে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়ে বলেন বই সৈয়দপুরে যাচ্ছে আপনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন।প্রধান শিক্ষককে কয়েকবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তড়িঘরি করে একটি দায়সারা কৈফিয়ত তলব করেন। সেই কৈফিয়ত তলব (শোকজ) পত্রে কি উল্লেখ করেছেন তিনি তা বলতে পারেন নি।

এদিকে বই বিক্রির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন,সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীপক কুমার ও সহকারী শিক্ষক মিলে ব্যাক ডেট (পূর্বের তারিখ) দিয়ে একটি ভূয়া ও বানোয়াট রেজুলেশন করেন। সেই রেজুলেশনেও বই বিক্রির কোন তথ্য উল্লেখ করা নাই বলেন জানান প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান,বই বিক্রির আগের দিন আমরা জানতে পারি যে আগামীকাল বই বিক্রি করা হবে। আর এ বই বিক্রিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী বই বিক্রি বা সরকারী সম্পদ বিক্রি করার বিষয়ে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি প্রধান শিক্ষক।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বলেন,আমরা রেজুলেশন করে বই বিক্রি করেছি। কোন ক্লাশের কতগুলো বই ও কোন বছরের কতগুলো বই সেটা বলতে পারবো না।

সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীপক কুমার বলেন, বই বিক্রি করেছি সাংবাদিকদের যা কিছু করার আছে করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ বলেন,আমি শোকজ করেছি,কিন্ত কি বিষয়ে শোকজ করেছি তা আমি জানি না। কাগজ না দেখে বলতে পারছি না।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন,আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আর আমাকে শোকজের চিঠির অনুলিপিও দেয়া হয়নি। আপনারা খবর নিয়েন আমি আগামীকাল রবিবার অফিসে গিয়ে দেখবো।

উল্লেখ্য যে,গত ২৩ তারিখ কয়েকটি জাতীয়,স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় ১৯ বস্তা বই বিক্রির সংবাদ প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত কোন বই উদ্ধার করতে পারেনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

Please Share This Post in Your Social Media

শোকজের বিষয় জানে না মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার

কিশোরগঞ্জে ৩ শিক্ষকের যোগসাজসে ১৯ বস্তা সরকারী বই বিক্রি

Update Time : ০৫:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের চাঁদখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের যোগসাজসে ১৯ বস্তা সরকারী বই বিক্রি করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মাসের ২১ নভেম্বর গোপনে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান একটি ভটভটিতে করে সরকারী বই পাচার করছে।

খবর পেয়ে সংবাদকর্মী দ্রুত ওই স্কুলে গিয়ে বই পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমানকে বললে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়ে বলেন বই সৈয়দপুরে যাচ্ছে আপনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন।প্রধান শিক্ষককে কয়েকবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তড়িঘরি করে একটি দায়সারা কৈফিয়ত তলব করেন। সেই কৈফিয়ত তলব (শোকজ) পত্রে কি উল্লেখ করেছেন তিনি তা বলতে পারেন নি।

এদিকে বই বিক্রির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন,সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীপক কুমার ও সহকারী শিক্ষক মিলে ব্যাক ডেট (পূর্বের তারিখ) দিয়ে একটি ভূয়া ও বানোয়াট রেজুলেশন করেন। সেই রেজুলেশনেও বই বিক্রির কোন তথ্য উল্লেখ করা নাই বলেন জানান প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান,বই বিক্রির আগের দিন আমরা জানতে পারি যে আগামীকাল বই বিক্রি করা হবে। আর এ বই বিক্রিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী বই বিক্রি বা সরকারী সম্পদ বিক্রি করার বিষয়ে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি প্রধান শিক্ষক।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বলেন,আমরা রেজুলেশন করে বই বিক্রি করেছি। কোন ক্লাশের কতগুলো বই ও কোন বছরের কতগুলো বই সেটা বলতে পারবো না।

সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীপক কুমার বলেন, বই বিক্রি করেছি সাংবাদিকদের যা কিছু করার আছে করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ বলেন,আমি শোকজ করেছি,কিন্ত কি বিষয়ে শোকজ করেছি তা আমি জানি না। কাগজ না দেখে বলতে পারছি না।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন,আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আর আমাকে শোকজের চিঠির অনুলিপিও দেয়া হয়নি। আপনারা খবর নিয়েন আমি আগামীকাল রবিবার অফিসে গিয়ে দেখবো।

উল্লেখ্য যে,গত ২৩ তারিখ কয়েকটি জাতীয়,স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় ১৯ বস্তা বই বিক্রির সংবাদ প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত কোন বই উদ্ধার করতে পারেনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।