ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

প্রেমিক যুগলকে গাছে বেধে নির্যাতন, অতঃপর প্রেমিক কারাগারে, প্রেমিকা হাসপাতালে 

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩১২ Time View

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রেম করার অপরাধে প্রেমিক যুগলকে সাবেক ইউপি মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়িতে সুপারি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছেন স্থানীয় মাতব্বররা।

ইতোমধ্যে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম।

এর আগে আজ সকালে উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য রাহেলার বাড়ির সামনে তাদের বেঁধে রাখা হয়।

তবে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে এখন অবদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। উল্টো ধর্ষণের মামলায় ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আর ওই মেয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নির্যাতনের স্বীকার হলেন, উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রের ছেলে তপন (২২) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে নুসরাত আক্তার (১৮)।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তপন ও নুসরাতের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এমতাবস্থায় বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে তপনের বাড়িতে আসেন নুসরাত। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বুঝতে পেয়ে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগিমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির সামনের সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় নুসরাতের বাবা তপনের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। সেই মামলায় তপনকে আটক দেখায় পুলিশ। আর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য নুসরাতকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তপন বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তারা আমাকে অন্যায়ভাবে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে নজরুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যাস্ত আছি, পরে কথা হবে।

এ বিষয়ে সিংগিমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, আমরা বেঁধে রাখিনি। নুসরাত আক্তারের ভাই তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সে সময় কেরামত চৌকিদার উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সিংগিমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, বিষয়টি রাতে শুনেছি। তবে সকালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম বলেন, ধর্ষণ মামলায় তপনকে আটক করা হয়েছে। আর নুসরাতকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রেমিক যুগলকে গাছে বেধে নির্যাতন, অতঃপর প্রেমিক কারাগারে, প্রেমিকা হাসপাতালে 

Update Time : ০২:০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রেম করার অপরাধে প্রেমিক যুগলকে সাবেক ইউপি মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়িতে সুপারি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছেন স্থানীয় মাতব্বররা।

ইতোমধ্যে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম।

এর আগে আজ সকালে উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য রাহেলার বাড়ির সামনে তাদের বেঁধে রাখা হয়।

তবে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে এখন অবদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। উল্টো ধর্ষণের মামলায় ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আর ওই মেয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নির্যাতনের স্বীকার হলেন, উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রের ছেলে তপন (২২) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে নুসরাত আক্তার (১৮)।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তপন ও নুসরাতের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এমতাবস্থায় বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে তপনের বাড়িতে আসেন নুসরাত। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বুঝতে পেয়ে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগিমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির সামনের সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় নুসরাতের বাবা তপনের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। সেই মামলায় তপনকে আটক দেখায় পুলিশ। আর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য নুসরাতকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তপন বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তারা আমাকে অন্যায়ভাবে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে নজরুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যাস্ত আছি, পরে কথা হবে।

এ বিষয়ে সিংগিমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, আমরা বেঁধে রাখিনি। নুসরাত আক্তারের ভাই তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সে সময় কেরামত চৌকিদার উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সিংগিমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, বিষয়টি রাতে শুনেছি। তবে সকালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম বলেন, ধর্ষণ মামলায় তপনকে আটক করা হয়েছে। আর নুসরাতকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।