ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের কুষ্টিয়ায় ফেন্সিডিল তৈরির সময় ফেন্সিডিল সহ আটক ২ অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনির খালাস তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ-নির্যাতনে গ্রেপ্তার যুবক কারাগারে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১২৬ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের ঘটনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ আগস্ট-২০২৩) সকালে জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগারের আদালত এ রায় দেন এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ প্রদান করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির চন্ডিদ্বার খিরনাল গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই ঘাতক রাসেল পলাতক রয়েছে।

আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে জেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার (২৫) কে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। বিয়ের সময় অটোরিকশাসহ প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন দেওয়া হয়। তবে বিয়ের পর থেকে রাসেল মিয়া বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সুমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালালে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল স্বামী রাসেল।

২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সুমা বাবার বাড়িতে রাতের খাবার পেয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাসেল ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাকে হত্যা করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামীপক্ষের নিয়োজিত কোন আইনজীবী কেউ ছিল না।

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ

Update Time : ০৮:১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের ঘটনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ আগস্ট-২০২৩) সকালে জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগারের আদালত এ রায় দেন এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ প্রদান করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির চন্ডিদ্বার খিরনাল গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই ঘাতক রাসেল পলাতক রয়েছে।

আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে জেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার (২৫) কে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। বিয়ের সময় অটোরিকশাসহ প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন দেওয়া হয়। তবে বিয়ের পর থেকে রাসেল মিয়া বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সুমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালালে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল স্বামী রাসেল।

২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সুমা বাবার বাড়িতে রাতের খাবার পেয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাসেল ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাকে হত্যা করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামীপক্ষের নিয়োজিত কোন আইনজীবী কেউ ছিল না।