ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইবার নিরাপত্তা আইন সঠিক না বেঠিক দেখবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের

জান্নাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:২১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০১ Time View

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের (পরিবর্তন) জন্য ক্যাবিনেটে পাশ হয়েছে। জনগণ চায় আইন সংশোধন হোক, তাই আমরা এটা করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক না বেঠিক সেটা দেখবে জনগণ। ঢালাওভাবে যেন এ আইনের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রী সমাবেশে এসব বলেন ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চার-পাঁচদিন ধরে দেখছি বিএনপির একটু নরম সুর। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এক দফারও মনে হয় বেলা শেষ। দম ফুরিয়ে এসেছে। চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। শুকিয়ে গেছে চোখ-মুখ।

কাদের বলেন, আজকে রাজনীতিটা কেমন হয়ে গেছে। আদর্শ কোথায়? গণতন্ত্র কেথায়? মূল্যবোধ কোথায়? মানবাধিকার কোথায়? মনে মনে ভাবি আর অবাক হই। গতকাল সিএনএনের একটা রিপোর্ট দেখছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ যত বাড়ছে, ততই তার পক্ষে জনমত বাড়ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে্য ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি করবেন না বলে তারেক রহমান লিখিত মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে চলে গেছেন। অথচ তিনি লন্ডনে বসে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন, দেশের অপপ্রচার করেই যাচ্ছেন, নিজের দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আদালত বলেছে তারেক রহমান শাস্তিযোগ্য অপরাধী, তার কোনো বক্তব্য প্রচার করা যাবে না, অথচ সে প্রতিনিয়ত আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি মিথ্যাকে সত্য বলে বয়ান করেন, এমন ভাব দেখান যে আপনার মতো আস্থাভাজন কেউ হয় না। আপনাকে এর আগেও আমি অনেক প্রশ্ন করেছি আপনি জবাব দেননি। বঙ্গমাতার জন্মদিনে আমি জানতে চাই, আপনার নেত্রীর জন্মদিন ৬টি কেন? একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন হয়? বাংলাদেশের একটি দল কত নিষ্ঠুর, এরা রাজনীতিতে কতটা প্রতিশোধপরায়ন, সেটা সবাই জানে। অথচ এখন তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। বিদেশে গিয়ে দেশের নামে আপনারা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমাদের ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। অথচ বিদেশের কোনো প্রভু বা বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না। আমাদের পুনরায় ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ।

মানবাধিকার নিয়ে মার্কিনিদের কার্যক্রমের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যারা আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়, ছবক দেয়; আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে যারা সমালোচনা করে- সেই দেশের এই অবস্থা দেখে ব্যক্তিগতভাবে অসহায়বোধ করলাম। এটা দেখে আমি অবাকই হয়েছি। বিশ্ব রাজনীতিতে আজ যারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের মাতবর তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার কেমন আছে! তাদের দেশে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাকে ছবক দেয় তারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না কেন? নাইজারের চলমান সংকটের কোনো সমাধান নেই, আমেরিকা আর ইউএন (জাতিসংঘ) কি পারছে সুদানের দুই প্রেসিডেন্টের কলহ বন্ধ করতে? দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে তো কেউ কিছু বলেন না!

তিনি বলেন, আজ মার্কিন কিছু সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখেছেন যেন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়। কিন্তু তাদের দেশের এই ধরনের ছবি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।

বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের একটা দলের পাঁচজন মানুষকে কানাডা আশ্রয় দেয়নি। কারণ তাদের দল সন্ত্রাসী দল। তাদের এই দল বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে চায়। মির্জা ফখরুল কি আদালতের এ রায় দেখেননি? তিনি যখন লাফালাফি করেন, বড় বড় কথা বলেন, বেপরোয়া হয়ে মিথ্যাচার করেন, তখন তার দল সম্পর্কে পরপর পাঁচবার কানাডার আদালতের যে মন্তব্য- এই মন্তব্য কি তিনি উপলব্ধি করেন না? যদি করতেন তাহলে কি এমন হতো?

তিনি বলেন, এ বছর পৃথিবীর ২২ দেশে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ কী এমন অপরাধী দেশ যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা আর জাতিসংঘ ঘুরে ঘুরে সবাই শুধু বাংলাদেশে আসে। আমরা কি বিপদে আছি? ঘুরে ফিরে সবাই শুধু এখানে আসে। নাইজারের খবরই নেই। সোমালিয়া, সুদান বা কঙ্গোর খবরই নেই। এসব নিয়ে কার কী মাথাব্যথা।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনা এখনো আসেনি। কিন্তু এই সরকার জনগণের সরকার। বিবেকের সরকার। আমরা একটা কাজ করবো। এরপর এই সিদ্ধান্তটা সঠিক না বেঠিক সেটি আমি জনগণের কাছে শুনবো। সেখানে যদি কোনো কারেকশনের প্রয়োজন হয় সেটি আমি করে দেবো। এটাই জনগণের সরকার, এটাই শেখ হাসিনার সরকার। এ নিয়ে আবার তুচ্ছতাচ্ছিল্য শুরু করেছে! সাইবার অপরাধীদেরও মুক্ত করতে চান? ঢালাওভাবে এই আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয় সেজন্য নতুন করে রিকাস্ট হচ্ছে।

ভারতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিয়ম অনুযায়ী ওরা (ভারত) আসলে আমরা যাই। চীনের সঙ্গেও এটা হয়েছে। এবার ভারতেও গেছে আমাদের প্রতিনিধি দল। আমাদের পক্ষ থেকে এটা নিয়ম আছে যে, প্রতিনিধি তাদেরও আসবে, আমাদেরও যাবে। করোনার কারণে আমরা নিয়মটা দেরিতে পালন করছি। ভারতে প্রতিনিধি যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের চোখে মুখে সারারাত দুঃচিন্তায় ঘুম নেই। আওয়ামী লীগ ভারতে গিয়ে আবার কী করছে সেই চিন্তা করে তাদের ঘুম নেই।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কোনো বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সঙ্গে আমরা আছি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় ছাত্রী সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সাইবার নিরাপত্তা আইন সঠিক না বেঠিক দেখবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের

Update Time : ১০:২১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের (পরিবর্তন) জন্য ক্যাবিনেটে পাশ হয়েছে। জনগণ চায় আইন সংশোধন হোক, তাই আমরা এটা করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক না বেঠিক সেটা দেখবে জনগণ। ঢালাওভাবে যেন এ আইনের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রী সমাবেশে এসব বলেন ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চার-পাঁচদিন ধরে দেখছি বিএনপির একটু নরম সুর। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এক দফারও মনে হয় বেলা শেষ। দম ফুরিয়ে এসেছে। চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। শুকিয়ে গেছে চোখ-মুখ।

কাদের বলেন, আজকে রাজনীতিটা কেমন হয়ে গেছে। আদর্শ কোথায়? গণতন্ত্র কেথায়? মূল্যবোধ কোথায়? মানবাধিকার কোথায়? মনে মনে ভাবি আর অবাক হই। গতকাল সিএনএনের একটা রিপোর্ট দেখছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ যত বাড়ছে, ততই তার পক্ষে জনমত বাড়ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে্য ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি করবেন না বলে তারেক রহমান লিখিত মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে চলে গেছেন। অথচ তিনি লন্ডনে বসে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন, দেশের অপপ্রচার করেই যাচ্ছেন, নিজের দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আদালত বলেছে তারেক রহমান শাস্তিযোগ্য অপরাধী, তার কোনো বক্তব্য প্রচার করা যাবে না, অথচ সে প্রতিনিয়ত আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি মিথ্যাকে সত্য বলে বয়ান করেন, এমন ভাব দেখান যে আপনার মতো আস্থাভাজন কেউ হয় না। আপনাকে এর আগেও আমি অনেক প্রশ্ন করেছি আপনি জবাব দেননি। বঙ্গমাতার জন্মদিনে আমি জানতে চাই, আপনার নেত্রীর জন্মদিন ৬টি কেন? একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন হয়? বাংলাদেশের একটি দল কত নিষ্ঠুর, এরা রাজনীতিতে কতটা প্রতিশোধপরায়ন, সেটা সবাই জানে। অথচ এখন তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। বিদেশে গিয়ে দেশের নামে আপনারা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমাদের ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। অথচ বিদেশের কোনো প্রভু বা বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না। আমাদের পুনরায় ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ।

মানবাধিকার নিয়ে মার্কিনিদের কার্যক্রমের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যারা আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়, ছবক দেয়; আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে যারা সমালোচনা করে- সেই দেশের এই অবস্থা দেখে ব্যক্তিগতভাবে অসহায়বোধ করলাম। এটা দেখে আমি অবাকই হয়েছি। বিশ্ব রাজনীতিতে আজ যারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের মাতবর তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার কেমন আছে! তাদের দেশে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাকে ছবক দেয় তারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না কেন? নাইজারের চলমান সংকটের কোনো সমাধান নেই, আমেরিকা আর ইউএন (জাতিসংঘ) কি পারছে সুদানের দুই প্রেসিডেন্টের কলহ বন্ধ করতে? দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে তো কেউ কিছু বলেন না!

তিনি বলেন, আজ মার্কিন কিছু সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখেছেন যেন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়। কিন্তু তাদের দেশের এই ধরনের ছবি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।

বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের একটা দলের পাঁচজন মানুষকে কানাডা আশ্রয় দেয়নি। কারণ তাদের দল সন্ত্রাসী দল। তাদের এই দল বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে চায়। মির্জা ফখরুল কি আদালতের এ রায় দেখেননি? তিনি যখন লাফালাফি করেন, বড় বড় কথা বলেন, বেপরোয়া হয়ে মিথ্যাচার করেন, তখন তার দল সম্পর্কে পরপর পাঁচবার কানাডার আদালতের যে মন্তব্য- এই মন্তব্য কি তিনি উপলব্ধি করেন না? যদি করতেন তাহলে কি এমন হতো?

তিনি বলেন, এ বছর পৃথিবীর ২২ দেশে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ কী এমন অপরাধী দেশ যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা আর জাতিসংঘ ঘুরে ঘুরে সবাই শুধু বাংলাদেশে আসে। আমরা কি বিপদে আছি? ঘুরে ফিরে সবাই শুধু এখানে আসে। নাইজারের খবরই নেই। সোমালিয়া, সুদান বা কঙ্গোর খবরই নেই। এসব নিয়ে কার কী মাথাব্যথা।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনা এখনো আসেনি। কিন্তু এই সরকার জনগণের সরকার। বিবেকের সরকার। আমরা একটা কাজ করবো। এরপর এই সিদ্ধান্তটা সঠিক না বেঠিক সেটি আমি জনগণের কাছে শুনবো। সেখানে যদি কোনো কারেকশনের প্রয়োজন হয় সেটি আমি করে দেবো। এটাই জনগণের সরকার, এটাই শেখ হাসিনার সরকার। এ নিয়ে আবার তুচ্ছতাচ্ছিল্য শুরু করেছে! সাইবার অপরাধীদেরও মুক্ত করতে চান? ঢালাওভাবে এই আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয় সেজন্য নতুন করে রিকাস্ট হচ্ছে।

ভারতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিয়ম অনুযায়ী ওরা (ভারত) আসলে আমরা যাই। চীনের সঙ্গেও এটা হয়েছে। এবার ভারতেও গেছে আমাদের প্রতিনিধি দল। আমাদের পক্ষ থেকে এটা নিয়ম আছে যে, প্রতিনিধি তাদেরও আসবে, আমাদেরও যাবে। করোনার কারণে আমরা নিয়মটা দেরিতে পালন করছি। ভারতে প্রতিনিধি যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের চোখে মুখে সারারাত দুঃচিন্তায় ঘুম নেই। আওয়ামী লীগ ভারতে গিয়ে আবার কী করছে সেই চিন্তা করে তাদের ঘুম নেই।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কোনো বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সঙ্গে আমরা আছি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় ছাত্রী সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।