ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

সমৃদ্ধ সাহিত্যের দৈন্যতা কাটাতে তরুণদের আহ্বান কবি কামাল চৌধুরীর

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি:
  • Update Time : ১১:২৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৮৯ Time View
কবিতার মধ্যেই কবির জন্ম হয়। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবিকে জন্ম দিতে পারে না। যারা কবিতাকে ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী। কামাল চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে সাহিত্যে এখন মসৃণ ও সমৃদ্ধ কবিতার সংকট। কারণ তরুণরা সাহিত্যে অমনোযোগী। সাহিত্য-শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে তরুণদের সাহিত্যে চর্চা বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক আলোচনা চক্র-৪ ‘কবিতার ভাষা’ সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় শিক্ষক সানজিদা মাসুদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাস।
কবি কামাল চৌধুরী বলেন, কবি ও কবিতার মননভেদে কবিতার ভাষা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাহিত্যে প্রত্যেক কবির নিজস্ব ভাষা থাকতে হবে। এখনকার লেখকেরা সাহিত্যে নতুনত্ব আনতে আগ্রহী নয়। সাহিত্যের দৈন্যতা কাটাতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এসময় উপাচার্য সাহিত্য বিষয়ক উক্ত সেমিনারের সমাদৃত করে বলেন, শিল্প সাহিত্য চর্চার মাধ্যমেই মানুষের মননশীল বিকাশ সাধন সম্ভব। ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে জাতির উন্নতি সাধন হবে। বাংলা বিভাগের ধারাবাহিক এই সাহিত্য সেমিনার শিক্ষার্থীদের বিকাশ ঘটাবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের শিল্প-সাহিত্য ও গবেষণায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য আমাদের নিয়মিত এই আয়োজন।
এছাড়া আলোচকবৃন্দ হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. মোছাঃ শামীম আরা, ড. রাজিব মন্ডল, ড. সাবিনা ইয়াসমিন, শাহ মোঃ আরিফুল আবেদ, মোঃ আসাদুল্লাহিল গালিব এবং সাবরিন নাহার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরে অংশ নেয় বিভাগের শিক্ষার্থী খবির উদ্দীন লানচু ও উর্মি শর্মা।

Please Share This Post in Your Social Media

সমৃদ্ধ সাহিত্যের দৈন্যতা কাটাতে তরুণদের আহ্বান কবি কামাল চৌধুরীর

Update Time : ১১:২৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
কবিতার মধ্যেই কবির জন্ম হয়। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবিকে জন্ম দিতে পারে না। যারা কবিতাকে ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী। কামাল চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে সাহিত্যে এখন মসৃণ ও সমৃদ্ধ কবিতার সংকট। কারণ তরুণরা সাহিত্যে অমনোযোগী। সাহিত্য-শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে তরুণদের সাহিত্যে চর্চা বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক আলোচনা চক্র-৪ ‘কবিতার ভাষা’ সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় শিক্ষক সানজিদা মাসুদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাস।
কবি কামাল চৌধুরী বলেন, কবি ও কবিতার মননভেদে কবিতার ভাষা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাহিত্যে প্রত্যেক কবির নিজস্ব ভাষা থাকতে হবে। এখনকার লেখকেরা সাহিত্যে নতুনত্ব আনতে আগ্রহী নয়। সাহিত্যের দৈন্যতা কাটাতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এসময় উপাচার্য সাহিত্য বিষয়ক উক্ত সেমিনারের সমাদৃত করে বলেন, শিল্প সাহিত্য চর্চার মাধ্যমেই মানুষের মননশীল বিকাশ সাধন সম্ভব। ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতা ও মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে জাতির উন্নতি সাধন হবে। বাংলা বিভাগের ধারাবাহিক এই সাহিত্য সেমিনার শিক্ষার্থীদের বিকাশ ঘটাবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের শিল্প-সাহিত্য ও গবেষণায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য আমাদের নিয়মিত এই আয়োজন।
এছাড়া আলোচকবৃন্দ হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. মোছাঃ শামীম আরা, ড. রাজিব মন্ডল, ড. সাবিনা ইয়াসমিন, শাহ মোঃ আরিফুল আবেদ, মোঃ আসাদুল্লাহিল গালিব এবং সাবরিন নাহার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরে অংশ নেয় বিভাগের শিক্ষার্থী খবির উদ্দীন লানচু ও উর্মি শর্মা।