ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইবিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে অপহরণের অভিযোগ মেধা ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: ডিএনসিসি মেয়র রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে

সবাইকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান রিজভীর

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৭ Time View

বর্তমান সরকার সংবিধান, আইন, নিয়মনীতি সবকিছুতে একচ্ছত্র শাসন কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা নবায়ন করার শপথ নিতে গিয়ে তারা আইন ও সংবিধানের কবর রচনা করেছে।”

বিএনপির চলমান আন্দোলন সফল করতে সবাইকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ারও আহ্বান জানান রিজভী।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। সংবিধান অনুসারে এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। এ জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী । রাষ্ট্রপতিও এ দায় থেকে মুক্ত নন। ফলে অবৈধ মন্ত্রী পরিষদের কোনো অন্যায্য আদেশ–নির্দেশ দেশের জনগণ মানতে বাধ্য নয়।”

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের ভোট রঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গেজেট করা, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রী পরিষদের নাম ঘোষণা, মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের মতো প্রক্রিয়া অভাবনীয় দ্রুততায় মাত্র চার দিনেই সম্পন্ন করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “একাদশ সংসদের মেয়াদ আছে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই সংসদ ভেঙে না দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা অবৈধভাবে শপথ নিয়েছেন। ফলে দেশে এখন দুই সংসদের সংসদ সদস্য রয়েছেন।”

বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রপতি আগে সংসদ ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে।’ সংবিধানের এই বিধানমতে, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, সে কারণে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যাঁরা সংসদ সদস্য ছিলেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল আছেন।”

এসময় সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ হাজার হাজার রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে চলমান একদফার আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান রিজভীর।

Please Share This Post in Your Social Media

সবাইকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান রিজভীর

Update Time : ০৭:২২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

বর্তমান সরকার সংবিধান, আইন, নিয়মনীতি সবকিছুতে একচ্ছত্র শাসন কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা নবায়ন করার শপথ নিতে গিয়ে তারা আইন ও সংবিধানের কবর রচনা করেছে।”

বিএনপির চলমান আন্দোলন সফল করতে সবাইকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ারও আহ্বান জানান রিজভী।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। সংবিধান অনুসারে এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। এ জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী । রাষ্ট্রপতিও এ দায় থেকে মুক্ত নন। ফলে অবৈধ মন্ত্রী পরিষদের কোনো অন্যায্য আদেশ–নির্দেশ দেশের জনগণ মানতে বাধ্য নয়।”

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের ভোট রঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গেজেট করা, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রী পরিষদের নাম ঘোষণা, মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের মতো প্রক্রিয়া অভাবনীয় দ্রুততায় মাত্র চার দিনেই সম্পন্ন করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “একাদশ সংসদের মেয়াদ আছে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই সংসদ ভেঙে না দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা অবৈধভাবে শপথ নিয়েছেন। ফলে দেশে এখন দুই সংসদের সংসদ সদস্য রয়েছেন।”

বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রপতি আগে সংসদ ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে।’ সংবিধানের এই বিধানমতে, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, সে কারণে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যাঁরা সংসদ সদস্য ছিলেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল আছেন।”

এসময় সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ হাজার হাজার রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে চলমান একদফার আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান রিজভীর।