ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সৌদিতে প্রথমবারের মতো সুইমস্যুট পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা ‘আয়রনম্যান’ চরিত্রে ফিরতে ‘আপত্তি নেই’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা কাঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২ বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়র তাপস মনগড়া ও অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন : সাঈদ খোকন

যুক্তরাষ্ট্রের ভাসমান ট্রেনের আবিষ্কারক যে বাঙালি বিজ্ঞানী

নওরোজ ফিচার ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৯৬ Time View

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী খ্যাতিমান বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম সবসময়ই নিজেকে প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন।

১৯৭৬ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই দেশে আসেন। তবে কিছুটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ড. করিমকে নিয়ে খুব একটা আগ্রহ পরিলক্ষিত হয় না।

তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ওপর ভিত্তি করে দেশের একটি সুপরিচিত প্রকাশনা সংস্থা চাইলে বের করতে পারে তার আত্মজীবনী। স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে অনায়াসেই জায়গা পেতে পারেন ড. করিম।

এতটুকু পড়ে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, কী এমন অসাধারণ কাজের জন্য এমন সম্মাননা দিতে হবে ড. করিমকে ? তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই বিজ্ঞানীর যতো কীর্তি-

১৯৫৩ সালের ৪ মে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় জন্ম ড. আতাউল করিমের। তার বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক। ড. করিমের পূর্বপুরুষরা ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন।

তার মা এদেশে এসেছিলেন বিয়ের পর। ছেলের গৃহশিক্ষক ছিলেন তিনিই। প্রাথমিক ও মৌলিক শিক্ষার জন্য ড. করিম সাতমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েন। এক বছর অধ্যয়ন করেন পাথারিয়া ছোটলেখা হাই স্কুলে।

এরপর ভর্তি হন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে যা তখন ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬৯ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় আতাউল করিম ৬৪ হাজার ৪৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।

১৯৭২ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে অংশ নিয়ে ৩৯,৮৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে।

১৯৭৬ সালে বিএসসি (সম্মান) পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান আতাউল করিম, ভর্তি হন সেখানকার আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে পদার্থবিদ্যায় এবং ১৯৭৯ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮২ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের ডার্থমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট ও নির্বাহী উপাচার্য।

আতাউল করিম ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস রাজ্যের রাজধানী লিটিল রকের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাসে শিক্ষকতা শুরু করেন। এখানে শিক্ষকতা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি (ওডিইউ) ইন নরফোকের গবেষণা বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে প্রতি বছর যে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে তার তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি।

এখানে যোগদানের আগে তিনি সিটি কলেজ অব নিউইয়র্কের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীনের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি নতুন তিনটি বিভাগ (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

সিটি কলেজ অব নিউ ইয়র্কে যোগদানের আগে ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত ড. করিম ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি’র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এরও আগে (১৯৯০-১৯৯৮) তিনি ওহিও রাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ডাইটনের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ইলেকট্রো-অপটিকস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সাল থেকে তিনি ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম কমিটি (আইপিসি) অব ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইসিসিআইটি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

২০০৫ সাল থেকে পালন করছেন টেকনিক্যাল কমিটি অব ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেক্ট্রনিক্স, টেকনোলজি অ্যান্ড অটোমেশনের (আইইটিএ) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।

প্রতি বছর গবেষণা জার্নালে প্রকাশের জন্য লেখা এক ডজনেরও বেশি নিবন্ধ পর্যালোচনা করেছেন তিনি।

ড. আতাউল করিমের গবেষণার পরিধিও ব্যাপক ও বিশাল। এরমধ্যে রয়েছে-অপটিক্যাল কম্পিউটিং, প্যাটার্ন/টার্গেট রিকগনিশন, নাইট ভিশন, বিভিন্ন প্রকার ডিসপ্লে, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেমস, সেন্সরস প্রভৃতি।

তার গবেষণামূলক কাজের পৃষ্ঠপোষক মার্কিন বিমান বাহিনী, মার্কিন নৌ-গবেষণা কেন্দ্র, ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন, মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্র (নাসা), যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ, ওহিও অ্যারোস্পেস ইনস্টিটিউট, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স ও রাইট প্যাটারসন এয়ার ফোর্স বেস।

ছাত্রজীবনেই তিনি ৫৭ জন এমএস বা পিএইচডি শিক্ষার্থীর রিসার্চ মেন্টর বা গবেষণা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। লেখালেখিতেও যথেষ্ট সফল তিনি। অপটিকস অ্যান্ড ল্যাসার টেকনোলজি ম্যাগাজিনের নর্থ আমেরিকান সম্পাদক ছিলেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

যুক্তরাষ্ট্রের ভাসমান ট্রেনের আবিষ্কারক যে বাঙালি বিজ্ঞানী

Update Time : ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী খ্যাতিমান বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম সবসময়ই নিজেকে প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন।

১৯৭৬ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই দেশে আসেন। তবে কিছুটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ড. করিমকে নিয়ে খুব একটা আগ্রহ পরিলক্ষিত হয় না।

তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ওপর ভিত্তি করে দেশের একটি সুপরিচিত প্রকাশনা সংস্থা চাইলে বের করতে পারে তার আত্মজীবনী। স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে অনায়াসেই জায়গা পেতে পারেন ড. করিম।

এতটুকু পড়ে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, কী এমন অসাধারণ কাজের জন্য এমন সম্মাননা দিতে হবে ড. করিমকে ? তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই বিজ্ঞানীর যতো কীর্তি-

১৯৫৩ সালের ৪ মে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় জন্ম ড. আতাউল করিমের। তার বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক। ড. করিমের পূর্বপুরুষরা ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন।

তার মা এদেশে এসেছিলেন বিয়ের পর। ছেলের গৃহশিক্ষক ছিলেন তিনিই। প্রাথমিক ও মৌলিক শিক্ষার জন্য ড. করিম সাতমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েন। এক বছর অধ্যয়ন করেন পাথারিয়া ছোটলেখা হাই স্কুলে।

এরপর ভর্তি হন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে যা তখন ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬৯ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় আতাউল করিম ৬৪ হাজার ৪৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।

১৯৭২ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে অংশ নিয়ে ৩৯,৮৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে।

১৯৭৬ সালে বিএসসি (সম্মান) পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান আতাউল করিম, ভর্তি হন সেখানকার আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে পদার্থবিদ্যায় এবং ১৯৭৯ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮২ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের ডার্থমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট ও নির্বাহী উপাচার্য।

আতাউল করিম ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস রাজ্যের রাজধানী লিটিল রকের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাসে শিক্ষকতা শুরু করেন। এখানে শিক্ষকতা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি (ওডিইউ) ইন নরফোকের গবেষণা বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে প্রতি বছর যে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে তার তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি।

এখানে যোগদানের আগে তিনি সিটি কলেজ অব নিউইয়র্কের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীনের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি নতুন তিনটি বিভাগ (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

সিটি কলেজ অব নিউ ইয়র্কে যোগদানের আগে ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত ড. করিম ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি’র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এরও আগে (১৯৯০-১৯৯৮) তিনি ওহিও রাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ডাইটনের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ইলেকট্রো-অপটিকস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সাল থেকে তিনি ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম কমিটি (আইপিসি) অব ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইসিসিআইটি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

২০০৫ সাল থেকে পালন করছেন টেকনিক্যাল কমিটি অব ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেক্ট্রনিক্স, টেকনোলজি অ্যান্ড অটোমেশনের (আইইটিএ) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।

প্রতি বছর গবেষণা জার্নালে প্রকাশের জন্য লেখা এক ডজনেরও বেশি নিবন্ধ পর্যালোচনা করেছেন তিনি।

ড. আতাউল করিমের গবেষণার পরিধিও ব্যাপক ও বিশাল। এরমধ্যে রয়েছে-অপটিক্যাল কম্পিউটিং, প্যাটার্ন/টার্গেট রিকগনিশন, নাইট ভিশন, বিভিন্ন প্রকার ডিসপ্লে, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেমস, সেন্সরস প্রভৃতি।

তার গবেষণামূলক কাজের পৃষ্ঠপোষক মার্কিন বিমান বাহিনী, মার্কিন নৌ-গবেষণা কেন্দ্র, ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন, মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্র (নাসা), যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ, ওহিও অ্যারোস্পেস ইনস্টিটিউট, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স ও রাইট প্যাটারসন এয়ার ফোর্স বেস।

ছাত্রজীবনেই তিনি ৫৭ জন এমএস বা পিএইচডি শিক্ষার্থীর রিসার্চ মেন্টর বা গবেষণা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। লেখালেখিতেও যথেষ্ট সফল তিনি। অপটিকস অ্যান্ড ল্যাসার টেকনোলজি ম্যাগাজিনের নর্থ আমেরিকান সম্পাদক ছিলেন তিনি।