ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের কুষ্টিয়ায় ফেন্সিডিল তৈরির সময় ফেন্সিডিল সহ আটক ২ অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনির খালাস তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ-নির্যাতনে গ্রেপ্তার যুবক কারাগারে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

মিথ্যা মামলা দিয়ে, কারাগারে পাঠিয়ে আমাদের থামানো যাবে না : ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৯:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬৬ Time View

মিথ্যা মামলা দিয়ে, কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে হয়রানি করে বিএনপিকে থামানো যাবে না, বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার ৪ আগস্ট নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি আদালত কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একজন জনপ্রিয় নেতা। যার নেতৃত্বে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন যৌক্তিক পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেসময় এ ফ্যাসিস্ট সরকার তার বিরুদ্ধে একটি ফরমায়েসি রায় দিয়েছে। শুধু তারেক রহমান নয়, তার স্ত্রী এদেশের স্বনামধন্য ডা. জুবায়দা রহমানের বিরুদ্ধেও রায় দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজ তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমানসহ অন্যান্য যাদেরকে আপনারা সাজা দেওয়ার জন্য ঠিক করেছেন তাদের সাজা দেওয়ার আগে চিন্তা করবেন এ দেশের মানুষ আপনাদেরও হিসাব নেবে, জবাবদিহি করতে হবে একদিন।

বিচার বিভাগের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে বিচারকদের। সে যদি ন্যায়বিচার করে, অন্যায়ভাবে কাউকে শাস্তি দান করে, সেই বিচারককে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতের কথা স্মরণ করবেন। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এ দেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছেন এবং বিজয়ী হয়েছে। এদেশের মানুষ সেই পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গান বানিয়েছিল ’বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা’।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এবার সেই মরণপণ সংগ্রাম, মরণপণ যুদ্ধ। মরণপণ যুদ্ধ করে এবার আমাদের পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এদের পরাজিত করতে হবে, সরাতে হবে।’

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে আরেকটা ধাক্কা লাগাও, আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নাই। আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নাই। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, জাতির অস্তিত্বের জন্য আজ আমাদের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।

বৃষ্টির মধ্যে সমাবেশে বিপুল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন, পরিশ্রম করছেন। পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন, বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। রাতে ঘুমাতে পারেন না পুলিশ হানা দিচ্ছে।

এরআগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে আসে দলটির নেতাকর্মীরা। দুপুরে পর থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও তা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। নেতাকর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে, হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েই সমাবেশস্থলে অবস্থান করে আর স্লোগান দিতে থাকে। আড়াইটার দিকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় সোয়া ৩টার দিকে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী বলল বা যুক্তরাজ্য কী বলল বা ভারত কী বলল, এটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমাদের দরকার আমাদের জনগণ কী বলছে। জনগণ পরিষ্কার করে বলছে, বিদায় হও। যেতেই হবে তোমাদের।

আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। আমাদের মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে ঢাকায় একটা মাত্র উদ্দেশ্যে। আর তা হলো আমরা এই সরকারের পতন চাই। রিকশাচালক চায় এই সরকারের পতন। কারণ তারা এখন পরিবারকে দুই বেলা খাবার তুলে দিতে পারেন না। চাল-ডাল-তেলসহ প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।

আর অন্য কোনো পথ খোলা নেই উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অস্তিত্ব রক্ষায় ও দেশের স্বার্থে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা হাঁটু পানিতে দাড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশ স্থলে অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন  উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান,  মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে  বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

মিথ্যা মামলা দিয়ে, কারাগারে পাঠিয়ে আমাদের থামানো যাবে না : ফখরুল

Update Time : ০৯:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

মিথ্যা মামলা দিয়ে, কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে হয়রানি করে বিএনপিকে থামানো যাবে না, বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার ৪ আগস্ট নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি আদালত কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একজন জনপ্রিয় নেতা। যার নেতৃত্বে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন যৌক্তিক পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেসময় এ ফ্যাসিস্ট সরকার তার বিরুদ্ধে একটি ফরমায়েসি রায় দিয়েছে। শুধু তারেক রহমান নয়, তার স্ত্রী এদেশের স্বনামধন্য ডা. জুবায়দা রহমানের বিরুদ্ধেও রায় দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজ তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমানসহ অন্যান্য যাদেরকে আপনারা সাজা দেওয়ার জন্য ঠিক করেছেন তাদের সাজা দেওয়ার আগে চিন্তা করবেন এ দেশের মানুষ আপনাদেরও হিসাব নেবে, জবাবদিহি করতে হবে একদিন।

বিচার বিভাগের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে বিচারকদের। সে যদি ন্যায়বিচার করে, অন্যায়ভাবে কাউকে শাস্তি দান করে, সেই বিচারককে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতের কথা স্মরণ করবেন। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এ দেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছেন এবং বিজয়ী হয়েছে। এদেশের মানুষ সেই পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গান বানিয়েছিল ’বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা’।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এবার সেই মরণপণ সংগ্রাম, মরণপণ যুদ্ধ। মরণপণ যুদ্ধ করে এবার আমাদের পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এদের পরাজিত করতে হবে, সরাতে হবে।’

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে আরেকটা ধাক্কা লাগাও, আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নাই। আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নাই। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, জাতির অস্তিত্বের জন্য আজ আমাদের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।

বৃষ্টির মধ্যে সমাবেশে বিপুল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন, পরিশ্রম করছেন। পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন, বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। রাতে ঘুমাতে পারেন না পুলিশ হানা দিচ্ছে।

এরআগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে আসে দলটির নেতাকর্মীরা। দুপুরে পর থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও তা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। নেতাকর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে, হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েই সমাবেশস্থলে অবস্থান করে আর স্লোগান দিতে থাকে। আড়াইটার দিকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় সোয়া ৩টার দিকে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী বলল বা যুক্তরাজ্য কী বলল বা ভারত কী বলল, এটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমাদের দরকার আমাদের জনগণ কী বলছে। জনগণ পরিষ্কার করে বলছে, বিদায় হও। যেতেই হবে তোমাদের।

আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। আমাদের মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে ঢাকায় একটা মাত্র উদ্দেশ্যে। আর তা হলো আমরা এই সরকারের পতন চাই। রিকশাচালক চায় এই সরকারের পতন। কারণ তারা এখন পরিবারকে দুই বেলা খাবার তুলে দিতে পারেন না। চাল-ডাল-তেলসহ প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।

আর অন্য কোনো পথ খোলা নেই উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অস্তিত্ব রক্ষায় ও দেশের স্বার্থে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা হাঁটু পানিতে দাড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশ স্থলে অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন  উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান,  মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে  বক্তব্য রাখেন।