ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

মঠবাড়ীয়া পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমাদুল হক খান

মঠবাড়ীয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ২৪৮ Time View

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করে খুনী মোশতাক সরকার কতৃক গ্রেফতার দীর্ঘদিন বিশেষ ডিটেনশনে কারাবন্দী ও অমানুষিক নির্যাতন ভোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান আসন্ন মঠবাড়ীয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা/কর্মীদের ম‚ল্যায়ন করেন। এ বিশ্বাসকে বুকে ধারন করে ৫৩ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের শেষ বয়সে বর্ষিয়ান জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান মনোনয়নের বিষয় শতভাগ আশাবাদী। এমাদুল হক খান দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করেন, দলের প্রতি তার এই ত্যাগের কথা মাননীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা জানতে পারলে নিশ্চয়ই তিনি মনোনয়ন পাবেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খানকে মঠবাড়ীয়া পৌর সভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য মঠবাড়ীয়া উপজেলা সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা, মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন সমুহের সৎ ও ত্যাগী নেতা/ কর্মীরা আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবার নৃশংসভাবে হত্যা করায় খুনী মোশতাক সরকারকে উৎক্ষাত করার জন্য মঠবাড়ীয়া’র মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে, সুন্দরবন হয়ে ভারতে যাওয়ার প্রস্ততিকালে খুনী মোশতাক সরকার ১৯৭৫ সালের ২২ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খানকে গ্রেফতার করে, ডিটেনশন দিয়ে বরিশাল কারাগারে বন্ধী রেখে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। ১১ মাস কারাভোগ করারন পর ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ সালে তিনি কারামুক্তি পান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান ১৯৯০-৯১ সালে মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ও ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মঠবাড়ীয়া থানা ছাত্রলীগের যথাক্রমে আহবায়ক ও সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৬৯সালে মঠবাড়ীয়া থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মঠবাড়ীয়া থানা শাখার আহবায়ক ছিলেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের আমলনী বসীরহাট যুব প্রশিক্ষন ক্যাম্পের পলিটিক্যাল মটিভেটর ছিলেন।

তিনি “৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, ৮ দলীয় ঐক্য জোট, ১৫ দল তথা ২২ দলীয় ঐক্য জোটের আহবায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮ দলীয় ঐক্য জোট মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান একজন আপাদমস্তক সৎ,সাহসী, বঙ্গবন্ধুর খাঁটি সৈনিক। কর্মী বান্ধব ও পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগ নেতা। তার দীর্ঘ ৫৩ বছর বর্নাট্য রাজনৈতিক জীবনে কখনও দল বা দলীয় সরকারের কাছ থেকে কোন সুবিধা ভোগ করেন নাই। তার বাবা মরহুম শামসুল হক খান মঠবাড়ীয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

তারা ৬ ভাইই সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ৫ ম ভাই ওবায়দুল হক খান বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ১/১১ এর সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে দেশবরেণ্য সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক সহ ৮৫৫ সাংবাদিকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন।

দলীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের দুঃসময়ের নেতা/ কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে, ম‚ল্যায়ন করেন। মঠবাড়ীয়ার ত্যাগী নেৎ/কর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস দলীয় সভাপতির নজরে আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান তার যথাযথ মুল্যায়ন পাবেন।
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলা ৫ টি খাঁটি আওয়ামী পরিবারের অন্যতম। যা গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্টে তার যথাযথ প্রমান পাবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খানকে মঠবাড়ীয়া পৌর সভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে, দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য মঠবাড়ীয়া পৌর সভাকে উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করতে পারবেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মঠবাড়ীয়া পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমাদুল হক খান

Update Time : ০৬:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করে খুনী মোশতাক সরকার কতৃক গ্রেফতার দীর্ঘদিন বিশেষ ডিটেনশনে কারাবন্দী ও অমানুষিক নির্যাতন ভোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান আসন্ন মঠবাড়ীয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা/কর্মীদের ম‚ল্যায়ন করেন। এ বিশ্বাসকে বুকে ধারন করে ৫৩ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের শেষ বয়সে বর্ষিয়ান জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান মনোনয়নের বিষয় শতভাগ আশাবাদী। এমাদুল হক খান দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করেন, দলের প্রতি তার এই ত্যাগের কথা মাননীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা জানতে পারলে নিশ্চয়ই তিনি মনোনয়ন পাবেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খানকে মঠবাড়ীয়া পৌর সভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য মঠবাড়ীয়া উপজেলা সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা, মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন সমুহের সৎ ও ত্যাগী নেতা/ কর্মীরা আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবার নৃশংসভাবে হত্যা করায় খুনী মোশতাক সরকারকে উৎক্ষাত করার জন্য মঠবাড়ীয়া’র মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে, সুন্দরবন হয়ে ভারতে যাওয়ার প্রস্ততিকালে খুনী মোশতাক সরকার ১৯৭৫ সালের ২২ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খানকে গ্রেফতার করে, ডিটেনশন দিয়ে বরিশাল কারাগারে বন্ধী রেখে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। ১১ মাস কারাভোগ করারন পর ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ সালে তিনি কারামুক্তি পান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান ১৯৯০-৯১ সালে মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ও ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মঠবাড়ীয়া থানা ছাত্রলীগের যথাক্রমে আহবায়ক ও সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৬৯সালে মঠবাড়ীয়া থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মঠবাড়ীয়া থানা শাখার আহবায়ক ছিলেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের আমলনী বসীরহাট যুব প্রশিক্ষন ক্যাম্পের পলিটিক্যাল মটিভেটর ছিলেন।

তিনি “৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, ৮ দলীয় ঐক্য জোট, ১৫ দল তথা ২২ দলীয় ঐক্য জোটের আহবায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮ দলীয় ঐক্য জোট মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান একজন আপাদমস্তক সৎ,সাহসী, বঙ্গবন্ধুর খাঁটি সৈনিক। কর্মী বান্ধব ও পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগ নেতা। তার দীর্ঘ ৫৩ বছর বর্নাট্য রাজনৈতিক জীবনে কখনও দল বা দলীয় সরকারের কাছ থেকে কোন সুবিধা ভোগ করেন নাই। তার বাবা মরহুম শামসুল হক খান মঠবাড়ীয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

তারা ৬ ভাইই সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ৫ ম ভাই ওবায়দুল হক খান বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ১/১১ এর সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে দেশবরেণ্য সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক সহ ৮৫৫ সাংবাদিকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন।

দলীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের দুঃসময়ের নেতা/ কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে, ম‚ল্যায়ন করেন। মঠবাড়ীয়ার ত্যাগী নেৎ/কর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস দলীয় সভাপতির নজরে আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খান তার যথাযথ মুল্যায়ন পাবেন।
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলা ৫ টি খাঁটি আওয়ামী পরিবারের অন্যতম। যা গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্টে তার যথাযথ প্রমান পাবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমাদুল হক খানকে মঠবাড়ীয়া পৌর সভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে, দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য মঠবাড়ীয়া পৌর সভাকে উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করতে পারবেন।