ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের সাজা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লাশ উদ্ধার হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উপর গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রপতির সাথে আইআইইউসি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার দৌলতপুরে আটকের পর মাদক বহনকারীকে ছেড়ে দেওযার অভিযোগ! টঙ্গীতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

বেরোবি অর্থনীতি বিভাগে গবেষণা উপস্থাপন সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৭:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬২ Time View

বাংলাদেশে ছোট খামার পরিবারের উপর করোনা মহামারী এর প্রভাব: সৌর সেচ প্রযুক্তি গ্রহণ কি কৃষককে আরও ভাল স্থিতিস্থাপক করে তোলে (The impacts of COVID-19 on smallholder farm households in Bangladesh: Does adoption of solar irrigation technology make farmer better resilient?) এর প্রতিপাদক নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের ৩য় তলায় অর্থনীতি বিভাগের গ্যালারী রুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনার অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: মোরশেদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক কাজী নেওয়াজ মোস্তফা এর সঞ্চালনায় গবেষণার প্রতিপাদটি উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: ফরিদ উদ্দিন খান। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা শালোয়া ডিনা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. আবু সায়েম।

গবেষণার প্রতিপাদটি ড. মো: ফরিদ উদ্দিন খান উল্লেখ করে বলেন, করোনা মহামারীতে কৃষকদের কার্যক্রমে কিভাবে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে করোনা মহামারীতে কৃষকদের জীবনযাপন ইনকাম কৃষি উত..পাদন লাভ্যাংশ কেমন, কিভাবে এবং তাদের দারিদ্রতা প্রকাশ পেয়েছে তা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

বর্তমানে কৃষি খাতে সাশ্রই জন্য সোলার ইরিগেশন টেকনোলজি নিয়ে এসেছে। করোনায় কৃষকরা সোলার ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন করেছে এবং করেনি তাদের মধ্যে প্রভাব আছে কিনা তাদের দারিদ্রতার ক্ষেত্রে সে কিনা তুলে ধরেছি। যারা এই টেকনোলজি গ্রহণ করেছে করেনি তাদের মধ্যে একটা আদর্শ মান বের করেছি। টেকনোলজি গ্রহণ করেছে ৫৪.৬%, টেকনোলজি গ্রহণ করেনি ৪৫.৪%।

কৃষি কাজের ব্যাঘাতের প্রধান উৎসের মধ্যে বেশি উল্লেখযোগ্য হলো: ২৫% বিক্রির জন্য বাজার পায়নি ১৫% মানুষ ব্যবসায়ী পাইনি। ১৬% পরিবহন সীমাবদ্ধতা। চলাচলের সীমাবদ্ধতা ৪৬%। খামারে অপ্রাপ্য ইনপুট ১৯%। খামার ইনপুটে খুব বেশি ব্যয়বহুল ৩২%। শ্রমশক্তির অভাব ছিল ৫%।

খামারের উপর করোনার প্রভাব: করোনার কারণে ফসল উৎপাদনের শতাংশ-ক্ষতি হয়েছে ৭২.৭১% এবং ক্ষতি হয়নি ২৭.২৯%। করোনার কারণে আয় পরিবর্তনের শতাংশ-তীব্রভাবে কমেছে ১৮.৮৭%, একটু কমেছে ৫৪.২৫%। একদম কমেনি ২৬.৮৯।

খামারী পরিবারের মোকাবিলার কৌশল: আমিষ হ্রাস ৩৭%, এনজিও লোন ৩১%, পছন্দের খাবার হ্রাস ২৬%, গবাদি পশু বিক্রি ২৪%, ধার করেছে ২৪%, খাবার এড়িয়ে গেছে বা এরচেয়ে কম খেয়েছে ১৩%, অত্যাবশকীয় খাবার কমানো হয়েছে ৯%, অন্যান্য ৮%, সঞ্চয় খরচ ৮%, পরিকল্পিত ব্যয় হ্রাস ৮%, মহাজন কর্তৃক ঋণ ৩%,ক্ষয়কারক বীজ মজুদ ২%, স্কুল বয়সী শিশুরা কর্মরত ১%।

কোভিড-পরবর্তী খামার পরিবারের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক: এই সমীক্ষাটি ক্ষুদ্র ধারক খামার পরিবারের জন্য বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুমান করে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ দারিদ্র্যের জীবনযাত্রার মান তিনটি মাত্রা অন্তর্ভুক্ত।

দারিদ্র্যের প্রথম মাত্রা, স্বাস্থ্য, দুটি সূচক অন্তর্ভুক্ত করে: পুষ্টি এবং শিশুমৃত্যু। শিক্ষা হল দ্বিতীয় মাত্রা যা স্কুলে পড়ার বছর এবং স্কুলে উপস্থিতির উভয় সূচককে অন্তর্ভুক্ত করে।অবশেষে, রান্নার জ্বালানী স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ এর সূচক। আবাসন, এবং সম্পদ তৃতীয় মাত্রা জন্য বিবেচনা করা হয়।

খামার গৃহস্থদের কোভিড-পরবর্তী বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক: দারিদ্র্যের তিন মাত্রা; শিক্ষা- স্কুলে পড়ার বছর (১/৬), স্কুলে উপস্থিতি (১/৬)। স্বাস্থ্য-পুষ্টি (১/৬), শিশু মৃত্যুহার (১/৬)।বাসস্থান-রান্নার জ্বালানি (১/১৮), স্যানিটেশন (১/১৮), খাবার পানীয় (১/১৮), বিদ্যুৎ (১/১৮), বাসস্থান (১/১৮), সম্পদ (১/১৮)।

কোভিড-পরবর্তী ছোট খামার পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা: নিরাপদ খাদ্য- সোলার চালিত সেচ ব্যবহার ৭০.২৬%, চালিত হয়নি ৫৯.৭%। হালকা খাদ্য অনিরাপদ- সোলার চালিত ৮.১৯%, চালনা হয়নি ১১.৪%। মাঝারিভাবে খাদ্য অনিরাপদ- সোলার চালিত ১৩.৩৬%, চলনা হয়নি ১৭.৬২%। মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা- সোলার চালিত ৮.১৯%, চালোনা হয়নি ১১.৯২%।

প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা শালোয়া ডিনা বলেন, বৈশ্বিক মহামারী কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষিখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য আরো টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গবেষনার প্রজেক্টটি উত্তরবঙ্গের ৪টি জেলা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর ও কুড়িগ্রাম।

Please Share This Post in Your Social Media

বেরোবি অর্থনীতি বিভাগে গবেষণা উপস্থাপন সেমিনার অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৭:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

বাংলাদেশে ছোট খামার পরিবারের উপর করোনা মহামারী এর প্রভাব: সৌর সেচ প্রযুক্তি গ্রহণ কি কৃষককে আরও ভাল স্থিতিস্থাপক করে তোলে (The impacts of COVID-19 on smallholder farm households in Bangladesh: Does adoption of solar irrigation technology make farmer better resilient?) এর প্রতিপাদক নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের ৩য় তলায় অর্থনীতি বিভাগের গ্যালারী রুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনার অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: মোরশেদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক কাজী নেওয়াজ মোস্তফা এর সঞ্চালনায় গবেষণার প্রতিপাদটি উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: ফরিদ উদ্দিন খান। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা শালোয়া ডিনা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. আবু সায়েম।

গবেষণার প্রতিপাদটি ড. মো: ফরিদ উদ্দিন খান উল্লেখ করে বলেন, করোনা মহামারীতে কৃষকদের কার্যক্রমে কিভাবে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে করোনা মহামারীতে কৃষকদের জীবনযাপন ইনকাম কৃষি উত..পাদন লাভ্যাংশ কেমন, কিভাবে এবং তাদের দারিদ্রতা প্রকাশ পেয়েছে তা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

বর্তমানে কৃষি খাতে সাশ্রই জন্য সোলার ইরিগেশন টেকনোলজি নিয়ে এসেছে। করোনায় কৃষকরা সোলার ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন করেছে এবং করেনি তাদের মধ্যে প্রভাব আছে কিনা তাদের দারিদ্রতার ক্ষেত্রে সে কিনা তুলে ধরেছি। যারা এই টেকনোলজি গ্রহণ করেছে করেনি তাদের মধ্যে একটা আদর্শ মান বের করেছি। টেকনোলজি গ্রহণ করেছে ৫৪.৬%, টেকনোলজি গ্রহণ করেনি ৪৫.৪%।

কৃষি কাজের ব্যাঘাতের প্রধান উৎসের মধ্যে বেশি উল্লেখযোগ্য হলো: ২৫% বিক্রির জন্য বাজার পায়নি ১৫% মানুষ ব্যবসায়ী পাইনি। ১৬% পরিবহন সীমাবদ্ধতা। চলাচলের সীমাবদ্ধতা ৪৬%। খামারে অপ্রাপ্য ইনপুট ১৯%। খামার ইনপুটে খুব বেশি ব্যয়বহুল ৩২%। শ্রমশক্তির অভাব ছিল ৫%।

খামারের উপর করোনার প্রভাব: করোনার কারণে ফসল উৎপাদনের শতাংশ-ক্ষতি হয়েছে ৭২.৭১% এবং ক্ষতি হয়নি ২৭.২৯%। করোনার কারণে আয় পরিবর্তনের শতাংশ-তীব্রভাবে কমেছে ১৮.৮৭%, একটু কমেছে ৫৪.২৫%। একদম কমেনি ২৬.৮৯।

খামারী পরিবারের মোকাবিলার কৌশল: আমিষ হ্রাস ৩৭%, এনজিও লোন ৩১%, পছন্দের খাবার হ্রাস ২৬%, গবাদি পশু বিক্রি ২৪%, ধার করেছে ২৪%, খাবার এড়িয়ে গেছে বা এরচেয়ে কম খেয়েছে ১৩%, অত্যাবশকীয় খাবার কমানো হয়েছে ৯%, অন্যান্য ৮%, সঞ্চয় খরচ ৮%, পরিকল্পিত ব্যয় হ্রাস ৮%, মহাজন কর্তৃক ঋণ ৩%,ক্ষয়কারক বীজ মজুদ ২%, স্কুল বয়সী শিশুরা কর্মরত ১%।

কোভিড-পরবর্তী খামার পরিবারের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক: এই সমীক্ষাটি ক্ষুদ্র ধারক খামার পরিবারের জন্য বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুমান করে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ দারিদ্র্যের জীবনযাত্রার মান তিনটি মাত্রা অন্তর্ভুক্ত।

দারিদ্র্যের প্রথম মাত্রা, স্বাস্থ্য, দুটি সূচক অন্তর্ভুক্ত করে: পুষ্টি এবং শিশুমৃত্যু। শিক্ষা হল দ্বিতীয় মাত্রা যা স্কুলে পড়ার বছর এবং স্কুলে উপস্থিতির উভয় সূচককে অন্তর্ভুক্ত করে।অবশেষে, রান্নার জ্বালানী স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ এর সূচক। আবাসন, এবং সম্পদ তৃতীয় মাত্রা জন্য বিবেচনা করা হয়।

খামার গৃহস্থদের কোভিড-পরবর্তী বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক: দারিদ্র্যের তিন মাত্রা; শিক্ষা- স্কুলে পড়ার বছর (১/৬), স্কুলে উপস্থিতি (১/৬)। স্বাস্থ্য-পুষ্টি (১/৬), শিশু মৃত্যুহার (১/৬)।বাসস্থান-রান্নার জ্বালানি (১/১৮), স্যানিটেশন (১/১৮), খাবার পানীয় (১/১৮), বিদ্যুৎ (১/১৮), বাসস্থান (১/১৮), সম্পদ (১/১৮)।

কোভিড-পরবর্তী ছোট খামার পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা: নিরাপদ খাদ্য- সোলার চালিত সেচ ব্যবহার ৭০.২৬%, চালিত হয়নি ৫৯.৭%। হালকা খাদ্য অনিরাপদ- সোলার চালিত ৮.১৯%, চালনা হয়নি ১১.৪%। মাঝারিভাবে খাদ্য অনিরাপদ- সোলার চালিত ১৩.৩৬%, চলনা হয়নি ১৭.৬২%। মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা- সোলার চালিত ৮.১৯%, চালোনা হয়নি ১১.৯২%।

প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা শালোয়া ডিনা বলেন, বৈশ্বিক মহামারী কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষিখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য আরো টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গবেষনার প্রজেক্টটি উত্তরবঙ্গের ৪টি জেলা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর ও কুড়িগ্রাম।