ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

বিএনপি নেতা সালাম জামিনে কারামুক্ত

নওরোজ রিপোর্ট
  • Update Time : ০৮:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৮৩ Time View

পুরান ঢাকার ধোলাইখাল মোড়ে দলীয় অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এসময় কারা ফটকের সামনে যুবদল নেতা সোহেল আহমেদ ও কামরুজ্জামানসহ অন্য নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ধোলাইখালে মোড়ে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে আব্দুস সালাম আজাদকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এ ঘটনায় করা মামলায় পরদিন ৩০ জুলাই জামিন নামঞ্জুর করে সালামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

একই মামলায় অন্য চার আসামি কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন, বিএনপির সক্রিয় কর্মী কবির, সোহাগ গাজী ও মো. রিয়াজ উদ্দিন রাজুকে রিমান্ডে দেন আদালত।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে। এছাড়া আরও ৩০০ থেকে ৪০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার ধোলাইখাল গোয়ালঘাট নাসির উদ্দিন সর্দার লেনের মনসুর মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন এবং যান চলাচলসহ সাধারণ জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে থাকেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী ও ইশরাক হোসেনদের অনুমতিবিহীন অবস্থান কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার অনুরোধ করে পুলিশ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার সময় নিপুণ রায় চৌধুরীর নির্দেশে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিসহ আশপাশে থেকে আসা অজ্ঞাতপরিচয় অন্য আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা বিশৃঙ্খলাকারী আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেলসহ সঙ্গে নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি নেতা সালাম জামিনে কারামুক্ত

Update Time : ০৮:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

পুরান ঢাকার ধোলাইখাল মোড়ে দলীয় অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এসময় কারা ফটকের সামনে যুবদল নেতা সোহেল আহমেদ ও কামরুজ্জামানসহ অন্য নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ধোলাইখালে মোড়ে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে আব্দুস সালাম আজাদকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এ ঘটনায় করা মামলায় পরদিন ৩০ জুলাই জামিন নামঞ্জুর করে সালামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

একই মামলায় অন্য চার আসামি কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন, বিএনপির সক্রিয় কর্মী কবির, সোহাগ গাজী ও মো. রিয়াজ উদ্দিন রাজুকে রিমান্ডে দেন আদালত।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে। এছাড়া আরও ৩০০ থেকে ৪০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার ধোলাইখাল গোয়ালঘাট নাসির উদ্দিন সর্দার লেনের মনসুর মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন এবং যান চলাচলসহ সাধারণ জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে থাকেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী ও ইশরাক হোসেনদের অনুমতিবিহীন অবস্থান কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার অনুরোধ করে পুলিশ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার সময় নিপুণ রায় চৌধুরীর নির্দেশে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিসহ আশপাশে থেকে আসা অজ্ঞাতপরিচয় অন্য আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা বিশৃঙ্খলাকারী আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেলসহ সঙ্গে নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন।