ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্যাক্ট-চেক ও সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতা

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৬ Time View

প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হচ্ছে দিন দিন। সেইসাথে বাড়ছে প্রতারণা আর নানারকম ভুলের পরিধি। মিডিয়া কর্মীদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হয় সবচেয়ে বেশি। ভুল তথ্য ও ভুল বা ভুয়া ছবি প্রকাশিত হলে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হয় সংবাদকর্মীর গ্রহণযোগ্যতা তেমনি প্রতিষ্ঠানকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।

ভুল সংবাদ বা ভুয়া ছবি প্রকাশের বিষয়টি আগেও যে ছিলো না, তা নয়, কিন্ত্র বর্তমান সময়ের মত এত ব্যাপ্তি তখন ছিলো না। তথ্য প্রযুক্তি প্রসারের কল্যাণে সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে দিন দিন এর ভয়াবহতা বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভুল সংবাদ আর ভুয়া ছবি চিহ্নিতকরণের উপায় নিয়ে ফ্যাক্ট-চেক বিষয়ে একটি ধারণা সারা বিশ্বেই বর্তমানে জনপ্রিয় হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক গবেষণা এবং অ্যাকাডেমিক প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে আগ্রহীদের।

গত ৪ থেকে ৬ মার্চ প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের নিয়ে ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক ৩ দিনের একটি সময়োপযোগী প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। ডিআরইউ’র সদস্য হিসেবে ৩৫ জন অন্য মিডিয়াকর্মীর সাথে আমারও সুযোগ হয়েছিলো এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার।

বলতে দ্বিধা নেই গত প্রায় ২৮ বছর পর্যন্ত আমি কম্পিউটার বা তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকলেও এ বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো ধারণা ছিলো না। ৩দিনের এই প্রশিক্ষণে মোটমুটি একটা ধারণা পেলাম। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ফ্যাক্ট চেক বা গুজব প্রতিরোধে সরকারসহ গণমাধ্যমকর্মীদেরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ফলে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহজে গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পিআইবির সহকারি প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং বাংলাভিশনের সিনিয়র বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ। প্রশিক্ষকগণ বক্তব্য উপস্থাপনের সাথে ফ্লিপচার্ট ব্যবহার ছাড়াও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপানসহ মুক্ত আলোচনায় অনেক টুলস ব্যবহার করেছেন।

শেষের দিন সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু। ধন্যবাদ দিতে হয় ডিআরইউ’র সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলি শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমদ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লাকে। তাদের আন্তরিক চেষ্টায় এমন একটা প্রশিক্ষণের সাথে যুক্ত হয়েছি বলে।

Please Share This Post in Your Social Media

ফ্যাক্ট-চেক ও সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতা

Update Time : ০৮:০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হচ্ছে দিন দিন। সেইসাথে বাড়ছে প্রতারণা আর নানারকম ভুলের পরিধি। মিডিয়া কর্মীদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হয় সবচেয়ে বেশি। ভুল তথ্য ও ভুল বা ভুয়া ছবি প্রকাশিত হলে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হয় সংবাদকর্মীর গ্রহণযোগ্যতা তেমনি প্রতিষ্ঠানকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।

ভুল সংবাদ বা ভুয়া ছবি প্রকাশের বিষয়টি আগেও যে ছিলো না, তা নয়, কিন্ত্র বর্তমান সময়ের মত এত ব্যাপ্তি তখন ছিলো না। তথ্য প্রযুক্তি প্রসারের কল্যাণে সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে দিন দিন এর ভয়াবহতা বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভুল সংবাদ আর ভুয়া ছবি চিহ্নিতকরণের উপায় নিয়ে ফ্যাক্ট-চেক বিষয়ে একটি ধারণা সারা বিশ্বেই বর্তমানে জনপ্রিয় হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক গবেষণা এবং অ্যাকাডেমিক প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে আগ্রহীদের।

গত ৪ থেকে ৬ মার্চ প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের নিয়ে ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক ৩ দিনের একটি সময়োপযোগী প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। ডিআরইউ’র সদস্য হিসেবে ৩৫ জন অন্য মিডিয়াকর্মীর সাথে আমারও সুযোগ হয়েছিলো এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার।

বলতে দ্বিধা নেই গত প্রায় ২৮ বছর পর্যন্ত আমি কম্পিউটার বা তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত থাকলেও এ বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো ধারণা ছিলো না। ৩দিনের এই প্রশিক্ষণে মোটমুটি একটা ধারণা পেলাম। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ফ্যাক্ট চেক বা গুজব প্রতিরোধে সরকারসহ গণমাধ্যমকর্মীদেরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ফলে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহজে গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পিআইবির সহকারি প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং বাংলাভিশনের সিনিয়র বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ। প্রশিক্ষকগণ বক্তব্য উপস্থাপনের সাথে ফ্লিপচার্ট ব্যবহার ছাড়াও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপানসহ মুক্ত আলোচনায় অনেক টুলস ব্যবহার করেছেন।

শেষের দিন সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু। ধন্যবাদ দিতে হয় ডিআরইউ’র সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলি শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমদ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লাকে। তাদের আন্তরিক চেষ্টায় এমন একটা প্রশিক্ষণের সাথে যুক্ত হয়েছি বলে।