ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

ফেসবুকে প্রেম: দুই মাসে পালিয়ে বিয়ে করেছেন একই কলেজের ২০ ছাত্রী

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট
  • Update Time : ০৫:১৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৬০ Time View

বাগেরহাটের চিতলমারী সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ২০ জন ছাত্রী দুই মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) কলেজটির অধ্যক্ষ মো. বাবুল মিঞা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কলেজের শিক্ষকরা জানান, স্কুল কলেজে মেয়েরা মোবাইল নিয়ে আসে। চিতলমারীতে শতাধিক কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে।

অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে কলেজ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারে যায়। আবার অনেকে কোচিং সেন্টারের নামে বাইরে থেকে ফেসবুকে সময় কাটায়।

অধ্যক্ষ মো. বাবুল মিঞা বলেন, অনেকেই সম্মানের জন্য সত্য কথা স্বীকার করেন না। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। উঠতি বয়সী মেয়েরা প্রলোভনে পড়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর পরিবারের অজান্তেই পালিয়ে যায়। জুলাই ও আগস্ট মাসে ফেসবুক ব্যবহার করে কলেজের কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রী পালিয়ে বিয়ে করেছে। তাদের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক।

তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে এক ছাত্রীকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মাত্র সাত দিনের মাথায় আবার সে পালিয়ে যায়। এমন ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা খুবই প্রয়োজন।

উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) বেদবতী মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হোসেন খান, ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে নিজাম উদ্দীন শেখ, মাসুদ সরদার, কাজী আবু শাহীন, অলিউজ্জামান জুয়েল, অর্চনা দেবী বড়াল, সব অফিসের বিভাগীয় প্রধানরা।

উক্ত সভায় চুরি, মাদক, সুদ, কোচিং বাণিজ্য ফেসবুকে সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ২০ ছাত্রীর পালিয়ে বিয়েসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

ফেসবুকে প্রেম: দুই মাসে পালিয়ে বিয়ে করেছেন একই কলেজের ২০ ছাত্রী

Update Time : ০৫:১৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

বাগেরহাটের চিতলমারী সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ২০ জন ছাত্রী দুই মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) কলেজটির অধ্যক্ষ মো. বাবুল মিঞা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কলেজের শিক্ষকরা জানান, স্কুল কলেজে মেয়েরা মোবাইল নিয়ে আসে। চিতলমারীতে শতাধিক কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে।

অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে কলেজ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারে যায়। আবার অনেকে কোচিং সেন্টারের নামে বাইরে থেকে ফেসবুকে সময় কাটায়।

অধ্যক্ষ মো. বাবুল মিঞা বলেন, অনেকেই সম্মানের জন্য সত্য কথা স্বীকার করেন না। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। উঠতি বয়সী মেয়েরা প্রলোভনে পড়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর পরিবারের অজান্তেই পালিয়ে যায়। জুলাই ও আগস্ট মাসে ফেসবুক ব্যবহার করে কলেজের কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রী পালিয়ে বিয়ে করেছে। তাদের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক।

তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে এক ছাত্রীকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মাত্র সাত দিনের মাথায় আবার সে পালিয়ে যায়। এমন ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা খুবই প্রয়োজন।

উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) বেদবতী মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হোসেন খান, ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে নিজাম উদ্দীন শেখ, মাসুদ সরদার, কাজী আবু শাহীন, অলিউজ্জামান জুয়েল, অর্চনা দেবী বড়াল, সব অফিসের বিভাগীয় প্রধানরা।

উক্ত সভায় চুরি, মাদক, সুদ, কোচিং বাণিজ্য ফেসবুকে সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ২০ ছাত্রীর পালিয়ে বিয়েসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।